আমি এস এস সি পরিক্ষা দিচ্ছি। আমি এখন বুজতে পারচি না আমার জন্য কনটি ভাল হবে। আমার কি হলে ভাল হবে। ব্যাংকার নাকি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার? আমি কমার্স এর ছাত্র। আর কোনটা পডা সহজ আর কোনটার দাম বেসি? জানাবেন plz..
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার প্রধান শর্ত হল আপনাকে বিজ্ঞান বিভাগ নিয়ে পড়তে হবে। অর্থাৎ আপনার এসএসসি এবং এইচএসসি-তে বিজ্ঞান বিভাগ থাকতে হবে। আপনার সেটি নেই। আর যেহেতু আপনি কমার্স এর ছাত্র তাই ভবিষ্যতে বিবিএ, এমবিএ করে করে ব্যাংকার হওয়াটাই আপনার জন্য উপযুক্ত হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি যেহেতু কমার্স নিয়ে পড়ছেন সেহেতু আপনার জন্য ব্যাংকের চাকরি সহজ ও ভালো হবে। আমি ব্যাংকের চাকরি সম্পর্কে আপনাকে একটু ধারনা দিচ্ছি। ব্যাংকে চাকুরী পাওয়া কতটা কঠিন? প্রতি বছর অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী তাদের উচ্চ শিক্ষা শেষ করার পর চাকুরি নামক সোনার হরিণের পিছনে ছুটে থাকে। আর এই ক্ষেত্রে বেশীরভাগ মানুষের পছন্দের তালিকায় থাকে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী ব্যাংকে চাকুরী। তাছাড়া দক্ষ ও যোগ্য ব্যাংকার এর চাহিদাও কম থাকে না । এই মুহুর্তে সারাদেশে বিভিন্ন ব্যাংকের ৪১টি পোস্টে সার্কুলার আছে। সরকারী ও বেসরকারী ব্যাংকসমূহ প্রতি বছর ২০ থেকে ২৫ হাজারের মত লোক নিয়োগ করে থাকে। তাই চেষ্টা পরিশ্রম থাকলে আপনিও নিজেকে গড়ে তুলতে পারেন একজন সফল ব্যাংকার হিসেবে। সফল হতে হলে আপনাকে কিছু কষ্ট ও করতে হবে। আসুন আমরা জেনে নেই ব্যাংক জবের বিভিন্ন দিক ও এর প্রস্তুতির জন্য আমাদের করণীয় বিষয়াবলীঃ ব্যাংক জবের ধরনঃ সরকারী ও বেসরকারি ব্যাংকে পদ ও নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্থক্য দেখতে পাওয়া যায় । সাধারণত সরকারী ব্যাংক গুলোতে সকল অনুষদের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিতে পারে। সদ্য স্নাতক পাশরা মূলত সরকারী ব্যাংকে তিনটি পদের জন্য আবেদন করতে পারে। ১। সুপারভাইজার ২। অফিসার ৩। সিনিয়র অফিসার এছাড়াও কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু লোক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। যেমন- IT (Information Technology), Accounting ইত্যাদি শাখায় নিয়োগ। একে ব্যাংকিং এর ভাষায় বলা হয়ে থাকে 'Special Recruitment'। কিন্তু এ ধরনের নিয়োগ সচরাচর দেয়া হয়না। সাধারণত কোন একটি বিষয়ে পারদর্শী এবং অভিজ্ঞতা সম্পন্ন লোকদেরকে এক্ষেত্রে নিয়োগ করা হয়ে থাকে। অপরদিকে, বেসরকারী ব্যাংকগুলোতে ব্যবসায় শিক্ষার (BBA) ছাত্র ছাত্রীদেরকে বেশী প্রাধান্য দেওয়া হয়। সাধারণত বেসরকারী ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়া নির্ভর করে ব্যাংকগুলোর নিজস্ব (নীতিমালার) উপর। কিছু ব্যাংক আছে যাদের নিয়োগের প্রক্রিয়া অনেকটা একইরকম হয়ে থাকে, আবার কিছু কিছু ব্যাংক আছে, যারা নিজেদের মতো করে নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সাজিয়ে নেয়। মূলত চারটি এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বেসরকারী ব্যাংকগুলোতে কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে। এই এন্ট্রি পয়েন্ট গুলো হচ্ছে: Tailored Recruitment, General Banking Recruitment, Management Trainee Officer (M.T.O) or Probationary Officer (P.O) Recruitment, Lateral Recruitment। Tailored Recruitment, General Banking Recruitment এই দুই ক্ষেত্রে যে কোন বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রীধারীরা এ পদে আবেদন করতে পারে। তবে কিছু ব্যাংক নির্দিষ্ট বিষয়ে ডিগ্রীধারীদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে (যেমন-এম বি এম ডিগ্রী)। প্রত্যেক পরীক্ষায় কমপক্ষে ২য় শ্রেণী প্রাপ্ত হতে হবে। Management Trainee Officer (M.T.O) or Probationary Officer (P.O) Recruitment পদের জন্য বিশেষভাবে অত্যন্ত যাচাই-বাছাইয়ের মাধ্যমে কর্মী নিয়োগ করা হয়ে থাকে। আকর্ষণীয় বেতনের পাশাপাশি এই পদধারী ব্যক্তিদের পদোন্নতিও হয় খুব তাড়াতাড়ি। M.T.O ও Probationary Officer পদে নিয়োগ প্রাপ্তদের প্রাথমিক বেতন ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা হয়ে থাকে। অভিজ্ঞতার সাথে সাথে বেতনের পরিমাণ বাড়ে। সাধারণত সব বিভাগের ডিগ্রীধারী ছাত্র-ছাত্রীরা M.T.O বা P.O পদে আবেদন করতে পারেন। তবে কিছু কিছু বেসরকারী ব্যাংকে নির্বাচিত কিছু বিষয়ে ডিগ্রীধারীদের প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যেমন- ব্যবসায় প্রসাশন, ইংরেজি, পরিসংখ্যান, অর্থনীতি, গণিত ইত্যাদি। সাধারণত চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩০ বছর নির্ধারণ করা হয়। কেন ব্যাংকে চাকুরীঃ আজকাল ব্যাংকে চাকুরী অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এর পিছনে অবশ্য বেশ কিছু কারণ ও রয়েছে। কারণ গুলো হলঃ আকর্ষণীয় বেতনঃ প্রত্যেক স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পড়াশোনা শেষের পর আকর্ষণীয় বেতনের কোন চাকুরী করবে । আর তার জন্য সবার ব্যাংকে চাকুরির প্রতি ঝোঁক থাকে। কেননা শুধুই আকর্ষণীয় বেতন নয় এছাড়া রয়েছে মূল বেতনের পাশাপাশি আরও কিছু সুযোগ সুবিধা রয়েছে। সেগুলো হলো- - বছরে দু'টি আনুষ্ঠানিক ভাতা। - লভ্যাংশে বোনাস বছরে প্রায় দুই-তিনটি। - চাকরিজীবী ঋণ, কম্পিউটার ঋণ, গৃহ ঋণ ইত্যাদি। চাকুরী নিশ্চয়তাঃ ব্যাংকে চাকুরীজীবীদের চাকুরীর ক্ষেত্রে চাকুরী নিশ্চয়তা আরেকটি বড় কারণ । তাছাড়া একটি ব্যাংকে চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর বিভিন্ন প্রকল্প, বেসরকারী কোম্পানি, এবং অন্যান্য ব্যাংকেও চাকরির সুযোগ রয়েছে। সামাজিক মর্যাদাঃ বিশেষ সুযোগ সুবিধা ও আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো ব্যাংক চাকুরেদের সামাজিক মর্যাদা অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। সামাজিক ভাবে তাদের গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে বাড়িয়ে দিয়েছে। এই কারণ গুলোর কারণেই বর্তমানে তরুণ – তরুণীরা ব্যাংকে চাকুরীর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে থাকে ।আর দিন দিন এর চাহিদা বেড়ে চলছে। ব্যাংকে চাকুরী লাভের প্রস্তুতিঃ প্রস্তুতিবিহীন ভাবে ব্যাংকে চাকুরীর আশা করা আর ছেঁড়া কাথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা অনেকটাই একইরকম। বর্তমানে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতা মূলক চাকুরী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ