হাদিস থেকে জানা যায় যে আদম (আ.) কৃষিকাজ করতেন। তাকে এসব শিখিয়ে দেয়া হয়েছিলো। বলাবাহুল্য পর্যায়ক্রমে তিনি তার সন্তানদেরও তা শেখান। সম্ভবত পরবর্তীতে কিছু মানুষ আলাদা হয়ে গিয়েছিলো। শিকারে বা কোনো দরকারে কোথাও গিয়ে তখনকার মত প্রায় জনশূন্য ও জঙ্গলাকীর্ণ পরিবেশে হারিয়ে যাওয়াটা খুব একটা অসম্ভব ছিলোনা। তারপর তারাই হয়তো জঙ্গলে, গুহায় নিজেদের আস্তানা গড়ে তোলে। একটা কথা উল্লেখ্য যে, মানুষ আগে অসভ্য, গুহাবাসী ছিলো -এই ধারণাটা কেবল এবং কেবলমাত্র পাহাড়ের গায়ে খোদাই করা কিছু চিহ্ন, মূর্তি ইত্যাদি থেকে পাওয়া। আমরা নিশ্চিত করে কখনোই বলতে পারিনা যে মানুষ সম্পূর্ণ অসভ্য থেকে আজকের সভ্যতায় এসে পৌঁছেছে।
আদম আঃ এর পরবর্তী যুগকেই আদিম যুগ বলা হয়, তৌরাত শরীফের প্রথম সিপারা পয়দায়েশ নামক কিতাব থেকে পাওয়া যায় আদম ও তাঁর স্ত্রীর জন্য মাবুদ আল্লাহ্ পশুর চামড়ার পোশাক তৈরী করে তাঁদের পরিয়ে দিলেন পৃথিবীতে পাঠানোর সময়, হাদিস থেকে জানা যায় যে আদম (আ.) কৃষিকাজ.করতেন। তাকে এসব শিখিয়ে দেয়া হয়েছিলো অবাধ্যতার শাস্তি হিসেবে যে সারা জীবন ভীষণ পরিশ্রম করে তবে তুমি মাটির ফসল খাবে। তোমার জন্য মাটিতে কাঁটাগাছ ও শিয়ালকাঁটা গজাবে, কিন্তু তোমার খাবার হবে ক্ষেতের ফসল। যে মাটি থেকে তোমাকে তৈরী করা হয়েছিল সেই মাটিতে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তোমাকে খেতে হবে। তোমার এই ধুলার শরীর ধুলাতেই ফিরে যাবে। আল্লাহ আদম (আঃ) কে আল্লাহ সর্ব বিষয়ের জ্ঞান ও যোগ্যতা দান করেন এবং বিশ্বে আল্লাহর খেলাফত পরিচালনার জন্য বলেছেন তার সন্তানদের এবং বংশদর কে আল্লাহর ইবাদত করে আল্লাহর দেখানো পথে চলতে সঠিক দিক নিদর্শনা দিয়েছেন অতপর শয়তানের অনুপ্রেরণায় ধোঁকায় আদম সন্তান রা পৃথক হয়ে অন্যত্র চলে যায় ছহীহ মুসলিমের অপর বর্ণনায় এসেছে, ﻭَﺇِﻧِّﻰْ ﺧَﻠَﻘْﺖُ ﻋِﺒَﺎﺩِﻱْ ﺣُﻨَﻔَﺎﺀَ ﻛُﻠَّﻬُﻢْ ﻭَﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﺃَﺗَﺘْﻬُﻢْ ﺍﻟﺸَّﻴَﺎﻃِﻴْﻦُ ﻓَﺎﺟْﺘَﺎﻟَﺘْﻬُﻢْ ﻋَﻦْ ﺩِﻳْﻨِﻬِﻢْ ... ‘আল্লাহ বলেছেন, যে আমি আমার বান্দাদের ‘হানীফ’ অর্থাৎ ‘আল্লাহর প্রতি একনিষ্ঠ’ রূপে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর শয়তান তার পিছে লেগে তাকে আল্লাহর পথ থেকে দূরে নিয়ে গেছে। তারপর তারাই কেবল জঙ্গলে, গুহায় নিজেদের আস্তানা গড়ে তোলে আল্লাহর সঠিক নিদের্শনা না পাওয়ার ধরুন তারা পশু শিকার করতো কাঁচা মাংস, খেতো,গাছের লতাপাতায় নিজেদের লজ্জা ডাকতো এবং অসভ্য জাতীতে পরিণত হয় আর আল্লাহর নির্দেশ মত যে আদম সন্তান রা পরিচালিত হয়েছে তারাই কেবল ধীরে ধীরে নিজেদের উন্নত করে।