Masumakonda

Call

কিভাবে তাদের আহ্বান করবেন তা নিম্নে দেখুন : মহানবী সা: যেভাবে মানুষকে সত্বের পথে আহবান করেছিলেন। . . তখন বর্বর যুগ। অন্ধকার যুগ। প্রশ্ন : কিসের বর্বরতা ? কিসের অন্ধকার ? উত্তর: অন্যায় ,অবিচার, অশ্লিলতা, বেহায়াপনা, মারামারি, হিংসা, দলাদলি , নিজ কন্যা সন্তানকে জীবন্ত কবর দেয়া , গোত্রে গোত্রে যুদ্ধ ইত্যাদি এমন অপরাধ বাকী নাই যার বর্বরতা তখনকার আরব যুগে ছিল না। সুর্য ছিল তাহলে কিসের অন্ধকার ? হ্যাঁ অন্ধকার তবে আলোর নয় জ্ঞানের অন্ধকার। শ্রষ্টাকে চেনার অন্ধকার। সত্যকে উপলব্দি করার অন্ধকার। মানবতার অন্ধকার। একত্ববাদের অন্ধকার। আরো শত অন্ধকার যে অন্ধকারের মধ্যে পতিত হইলে মানব জীবন বিপন্ন । যে জাতীকে অন্য জাতী শাসন করার সাহস পায়নি তাদের বর্বরতা ও অন্ধত্বের কারনে। সেই যুগের মধ্যে আল্লাহ পাক একজন মাত্র ব্যক্তিকে (মহানবী সা:) সত্বের বাহক, আলোর ঝান্ডা নিয়ে আরবের মধ্যে পাঠিয়েছিলেন। যার পাশে দাড়াবার মত কোন মানুষ প্রথমে ছিল না। সেই এক মহাব্যক্তি আমাদের মহানবী সা: । তখন শিরক ও মুর্তি পুজায় ভরপুর আরব জাতি। ৩৬০ টি মুর্তি কাবার ভিতরে। আল্লাহ পাক মহানবী সা: কে নবুয়তি দান করে কালেমার / একত্ববাদের দাওয়াত দিতে নির্দেশ দান করেন। আল্লাহ পাক ই্চ্ছা করলে বাতাস দিয়ে কাবা থেকে ৩৬০ টি মুর্তি উড়িয়ে দিতে পারতেন। তা করেননি। মহানবী সা: কে নবী করে পাঠিয়েছেন। তাকেও নির্দেশ দিলেন না মুর্তিগুলি ভাংগার জন্য বা ফেলে দেবার জন্য। আল্লাহ পাক মহানবী সা: কে বললেন আপনি কালেমার/ আমার একত্ববাদের পরিচয় মানুষের সামনে তুলে ধরুন। আসল মুর্তি মানুষের দ্বীলের ভিতরে। মানুষের নিকট যখন আমার একত্ববাদের পরিচয় দিবেন, সত্যের আহবান করবেন, পরকালের ভয় প্রদর্শন করবেন তখন তাদের অন্তর থেকে বর্বরতা ও অন্ধকার বিদুরীত হবে। মানুষের অন্তরের মুর্তি বেড় হলে তারা নিজেরাই কাবার মুর্তি বেড় করে ফেলবে। মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশ মোতাবেক মহানবী সা: কালেমার / একত্ববাদের দাওয়াত দিতে শুরু করলেন। ক্রমে ক্রমে হযরত আবু বকর রা:, হযরত বেলাল রা:, আরো অনেক সাহাবাগন কালেমা কবুল করে ইসলামের মধ্যে চলে আসতে শুরু করলেন। আর কিছু অন্ধকারতো থাকবেই । কারন রাত না থাকলে দিনের আলো উপলব্দি করা যেত না। তাই কাফেররা বিরোধীতা করলো । আল্লাহ পাকের ইচ্ছা এই অন্ধকারের মধ্যেই তার দ্বীন ইসলামের আলো প্রজ্জলীত করবেন মহানবী সা: এর মাধ্যমে। তাই নির্মম অত্যাচারের মধ্য দিয়েও কালেমার/একত্ববাদের দাওয়াত সামনের দিকে এগিয়ে চলছে। অবশেষে মহানবী সা: কে আল্লাহ পাক মদীনায় হিজরতের জন্য নির্দেশ দিলেন। কাবা থেকে বিদায় নেয়ার সময় মহানবী সা: বার বার ব্যথিত মনে কাবার দিকে ফিরে তাকাচ্ছিলেন। আল্লাহ পাক তাকে শান্তনা দিয়ে বললেন, হে আমার নবী পূনরায় আপনাকে আমি কাবায় আপনাকে বিজয়ের ঝান্ডা দিয়ে ফিরিয়ে আনবো্। এবং কাবার মধ্যে কাফেররা ৩৬০ টি মুর্তি ঢুকিয়ে শিরক করছে তারাই ঈমান আনার পর তাদের নিজের হাতেই কাবার মুর্তি বিদুরীত করবে। ঘটনা আল্লাহ পাকের ইচ্ছামতই ঘটলো । ঐ কাফেররাই পর্যায়ক্রমে ঈমান এনে মক্কা বিজয়ের পর কাবার ভিতরের ৩৬০ মুর্তি বিদুরীত করেছে। কেয়ামত পর্যন্ত ইনসআল্লাহ কাবার মধ্যে মুর্তি ঢুকবে না। সেই অন্ধকার যুগের কাফেররাই পর্যায়ক্রমে ইসলামের আলো গ্রহন করে স্বর্নের মানুষে পরিনত হয়েছেন। হযরত আবু বকর,রা:, হযরত ওমর রা: : (যিনি নবী কে নাউযুবিল্লাহ কতল করবার জন্য উদ্যত্ব হয়েছিল) ইসলামে শ্রেষ্ট খলিফা হয়ে সাড়া বিশ্বের বাদশাহী করেছিলেন। যার খেলাফতে অন্যায় অবিচার তো দূরের কথা বাঘে মহিষে এক ঘাটে পানি খেত। স্বর্নের যুগে পরিনত হয়েছে। আল্লাহ পাক আমাদেরকে সত্য পথে চলার জন্য সঠিক ও সহিহ পথে পরিচালিত করুন । আমিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ