মাথা ব্যাথার কারন দুশ্চিন্তা ও মাইগ্রেন শতকরা ৯০ ভাগ মাথা ব্যথার জন্য দায়ী। মাথা ব্যথা নানা রকমের। টেনশন হেডেক বা দুশ্চিন্তাজনিত মাথা ব্যথা, মাইগ্রেন হেডেক, ক্লাস্টার হেডেক, সাইনাস হেডেক, আর্জেন্ট হেডেক, আইহেডেক বা চক্ষুজনিত মাথা ব্যথা, হরমোনজনিত মাথা ব্যথা। তাছাড়া মগজের টিউমার, মগজের ঝিল্লির ভিতর রক্তপাত, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি কারণেও মাথা ব্যথা হয়। চিকিৎসা যেসব কারণে মাইগ্রেনের আক্রমণ বৃদ্ধি পায়, তা পরিহার করতে হবে। স্বল্পস্থায়ী চিকিত্সা হিসাবে অ্যাসপিরিন বা প্যারাসিটামলের সাথে এন্টিইমেটিক যেমন প্রোক্লোরপেরাজিন, মেটাক্লোপ্র্যামাইড দেয়া যেতে পারে। তীব্র আক্রমণের চিকিত্সা হিসাবে সুমাট্রিপটিন, যা মাথার বাইরের ধমনীকে সংকুচিত করে, তা মুখে বা ইনজেকশনের মাধ্যমে দেয়া যেতে পারে। আর্গোটামিন বিকল্প হিসাবে দেয়া যেতে পারে। ঘন ঘন আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধকারী হিসাবে প্রোপানোলল, পিজোটিফেন বা অ্যামিট্রিপটাইলিন দেয়া যেতে পারে। এছাড়া একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
'মাথা ব্যাথা'- খুবই সাধারন অভিযোগ।মাথায় বিভিন্ন কারনে ও বিভিন্ন মাত্রায় ব্যাথা হতে পারে। ব্যাথা যদি খুব তীব্র ও প্রায়ই হয় তবে অবশ্যই ডাক্তারের সাহায্য নিতে হবে।আর যদি কাজের চাপ,দুশ্চিন্তা বা অনিয়ম জনিত কারনে ব্যাথা হয় তবে আমাদের খাবার মেনু কিছুটা পরিবর্তন করলেই এটা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দেখা যাক তাহলে: ১. কম এসিডিক ও উচ্চ এন্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল যেমন- বেরি জাতীয় ফল, নাশপতি,পেয়ারা, আম,তরমুজ ইত্যাদি ফল যোগ করুন খাবার তালিকায়। ২.আশঁযুক্ত সবজি মাথা ব্যাথা উপশমে বিশেষভাবে কার্যকরী। দৈনিক মেনুতে রাখুন- বাধাকপি,ব্রোকলি,গাজর,চালকুমড়া,মিষ্টি আলু, বিভিন্ন রকমের সবুজ শাক। ৩.লাল চাল, লাল আটা,ওট বিস্কুট ও অন্যান্য whole grain দ্রব্য ব্যবহার করুন। ৪.তাজা মাছ রান্না করুন low-fat cooking methods'এ (যেমন -baking, broiling, steaming and grilling )।সাথে রসুন ব্যবহার করুন। ৫.সয়াবিন থেকে প্রাপ্ত বিভিন্ন সয়া দ্রব্য যেমন- soy milk, tofu,soy nugget ইত্যাদি বেশ কার্যকরী। ৬.কাঠ বাদামে magnesium আছে যা blood vessels'কে relaxকরে,যার ফলে ব্যাথা উপশম হয় সহজেই। ৭. সালাদে তিল আস্ত বা মোটা গুড়া করে সামান্য পরিমানে ব্যবহার করুন, উপকৃত হবেন। ৮.দৈনিক কমপক্ষে ২.৫ লিটার পানি পান করুন।