হিজড়া দের সম্পরকে শরিয়ত কি বলে? তাদের নামায রোযা হজ্ব যাকাত সঠিক সমাধান চাই
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

কুরআন বা হাদীসে সুষ্পষ্ট কোন বিধান এ ব্যাপারে বর্ণিত হয়নি। তবে ফুক্বাহায়ে কেরাম মূলনীতির আলোকে উক্ত বিষয়টির সমাধান বের করেছেন।

ইবাদতের হুকুম ও বিধানের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষ যেমন কোন পার্থক্য নেই। তেমনি পার্থক্য নেই হিজড়াদের বেলায়ও। মৌলিকভাবে মানুষ দুই শ্রেণীর হয়, এক হল নারী। দ্বিতীয় হল পুরুষ। সকল প্রকার ইবাদতের ক্ষেত্রে উভয়ের জন্যই সমান বিধান, কিছু কিছু মাসআলা ছাড়া। আর ইবাদত আদায়ের পদ্ধতিতে নারী পুরুষের মাঝে পার্থক্য রয়েছে। যা সবার কাছেই স্পষ্ট।

আর হিজড়াদের ক্ষেত্রে বিধান হল তাদের নারী বা পুরুষের যে কোন একটি ক্যাটাগরিতে ফেলতে হবে। রাসূল সাঃ এ ব্যাপারে একটি মূলনীতি নির্ধারণ করে দিয়েছেন। সেটা হল, দেখতে হবে হিজড়ার প্রস্রাব করার অঙ্গটি কেমন? সে কি পুরুষদের গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? না নারীদের মত গোপনাঙ্গ দিয়ে প্রস্রাব করে? গোপনাঙ্গ যাদের মত হবে হুকুম তাদের মতই হবে। অর্থাৎ গোপনাঙ্গ যদি পুরুষালী হয়, তাহলে পুরুষ। যদি নারীর মত হয়, তাহলে নারী। আর যদি কোনটিই বুঝা না যায়। তাহলে তাকে নারী হিসেবে গণ্য করা হবে।

সুতরাং দাফন করার সময় দেখতে হবে পুরুষের ক্যাটাগরিতে অন্তুর্ভূক্ত না নারীর? যেটার অন্তুর্ভূক্ত সে অনুযায়ী দাফন হবে। আর যদি কোন ক্যাটাগড়িতেই না পরে, তাহলে নারীর মত কাফন দাফন করা হবে। তবে এক্ষেত্রে ফুক্বাহায়ে কেরাম একটি পার্থক্যের কথা বলেন যে, এরকম হিজড়াকে গোসল দেয়া হবে না। বরং তায়াম্মুম করানো হবে, যদি রক্ত সম্পর্কীয় আত্মীয় থাকে, তাহলে সে তাকে তায়াম্মুম করাবে। না থাকলে অন্যরা হাতে পট্টি লাগিয়ে তায়াম্মুম করাবে।

أن عليا رضي الله عنه : سئل عن المولود لا يدري أرجل أم امرأة فقال علي رضي الله عنه يورث من حيث يبول

হযরত আলী রাঃ রাসূল সাঃ কে প্রসূত বাচ্চা যে পুরুষ নারী তা জানা যায় না তার বিধান কি? জিজ্ঞাসা করলেন। রাসূল সাঃ জবাব দিলেন যে, সে মিরাস পাবে যেভাবে প্রস্রাব করে। {সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-১২৯৪, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-৩০৪০৩, মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-১৯২০৪}

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ