শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

সুন্নি মুসলিমরা ইসলাম অনুসারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্প্রদায়। সুন্নিরা আরো পরিচিত আহল আস-সুন্নাহ ও'ল জামা'আ (আরবি ﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ ﻭﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ " হযরত মুহাম্মদ (সঃ) -এর ঐতিহ্যের ও সম্প্রদায়ের লোক") বা সংক্ষেপে আহল আস-সুন্নাহ (আরবি ﺃﻫﻞ ﺍﻟﺴﻨﺔ )। সুন্নি শব্দের উৎপত্তি সুন্নাহ (আরবি ﺳﻨﺔ) শব্দ থেকে যদ্বারা মুহাম্মদ হযরত মুহাম্মদ (সঃ)-এর বাণী ও কর্মকে বুঝায়। তারা ইসলামের সেই অংশকে প্রতিনিধিত্ব করে যারা সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে নির্বাচিত হওয়া খলিফা আবু বকরকে (রাঃ) মেনে নিয়েছিল। তাই প্রতিনিধিত্ব ব্যবস্থায় ( খিলাফত) নির্বাচন বা ‘শুরা’ সুন্নি ইসলামের একটা বড় বৈশিষ্ট্য। অধিকাংশ সুন্নি আইনজ্ঞরা নিজেদের পরিচয় দিতে চান সেই মুসলিম হিসেবে যাদের মূল গ্রন্থিত আছে সুন্নি আইনের চারটি ঘরানার (হানাফি, মালিকি , শাফি, হানবালি ) যেকোনো একটিতে। শিয়া ইসলাম (আরবি : ﺷﻴﻌﺔ , শীআ'হ্ ) ইসলামের দ্বিতীয় বৃহত্তম সম্প্রদায় । শিয়া ইসলাম অনুসরণকারীদের শিইতি বা শিয়া বলা হয়। "শিয়া" হল ঐতিহাসিক বাক্য "শিয়াতু আলী " ( ﺷﻴﻌﺔ ﻋﻠﻲ ) এর সংক্ষিপ্ত রূপ, যার অর্থ "আলী অনুগামীরা" বা "আলীর দল"। [১][২][৩][৪][৫] শিয়া মতবাদের মূল ভিত্তি হলো, আলী এবং তাঁর বংশধরেরাই হলো খিলাফতের শ্রেষ্ঠ দাবীদার। তাই আলী খিলাফতের প্রশ্নে আবু বকর, উমর ও উসমানের মুকাবেলায় অগ্রাধিকারী। মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকেই খিলাফতের জন্য মনোনীত করে গিয়েছিলেন।[৬] ইসলামের অন্য স্কুলের মত, শিয়া ইসলাম ইসলামিক ধর্মগ্রন্থ , পবিত্র কুরআন এবং ইসলামের সর্বশেষ নবী[৭] মুহাম্মদের বার্তা শিক্ষার উপর ভিত্তিক হয়। [৮] চিন্তনরীতির অন্যান্য স্কুলের মধ্যে পার্থক্য হল এই যে, শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, শুধুমাত্র আল্লাহই ইসলাম, কুরআন এবং শরীয়াত (কুরআনের আইন) রক্ষা করার জন্য একটি প্রতিনিধি নির্বাচন করত পারেন। [৯] শিয়ারা বিশ্বাস যে, কুরআনের আয়াতে পরিষ্কার করে দিয়েছে যে শুধুমাত্র আল্লাহই পৃথিবীতে একটি প্রতিনিধি পছন্দ করতে পারে সুতরাং, এই ব্যাপারে অন্য কেউ পছন্দ পারে না। এর অর্থ এই যে, আল্লাহই প্রতিনিধি ( নবী এবং ইমাম) নিবার্চন করতে পারে, সাধারণ মুসলমানরা পারে না। যার কারণে শিয়ারা ইসলাম এবং কুরআন প্রতিনিধিত্ব করার জন্য জনগণ যে আবু বকর, উমর এবং উসমান ইবন আফ্ফান নির্বাচন করেছেন তা অনুসরন করে না। এই জন্য শিয়ারা আলীকে চতুর্থ খলিফা হিসেব বিবেচনা করে না, বরং প্রথম ইমাম হিসেবে বিবেচনা করেন। শিয়ারা বিশ্বাস করে যে, অনেক বর্ণনা করছে যেখানে মুহাম্মদ তার উত্তরাধিকারী হিসাবে আলী নির্বাচিত করে ছিলেন। [১০][১১] ইসলামী ইতিহাসের আলোকে শিয়া সম্প্রদায়” “শিয়া” গোটা বিশ্বে পরিচিত একটি মুসলিম সম্প্রাদয় এর নাম। মূলতো শিয়া শব্দের অর্থ দল। হযরত আলী (রা) এর কোট্টর সমর্থকবাদী এই গোস্টিকে পূর্বে শিয়ানে আলী (আলীর দল) বলা হতো। পরবর্তিতে পরিভাষা হিসাবে তাদেরকে কেবল শিয়া নামে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। তাদের মূল কেন্দ্রস্থল ছিল কূফা নগরী। আমাদের এই বাংলাদেশেও এখন বিভিন্ন স্থানে শিয়া সম্প্রাদয়ের লোক দেখা যায়। এই শিয়া সম্প্রদায় এর বিষয়ে রয়েছে আমাদের মধ্য অনেক মতবিরোধ রয়েছে আনেক কৌতুহলী প্রশ্ন। থাকবেই বা না কেন মুহারম মাসের আগমন ঘটলেই তাদের কে দেখা যায় ভিন্ন রূপে। শিয়াদের এলাকা গুলো (যেমন হুসাইনি দালান,পুরান ঢাকা, মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ) পরিনত হয় রণক্ষেত্রে চলে বিভিষীখাময় কার্যকলাপ। নিজেদের শরিরের রক্ত আর বিভিন্ন কার্যক্রম দিয়ে চলে কারবালার শহীদ হযরত হুসাইন ইবনে আলী (রাঃ) এর শাহাদাতের শোক পালন। এই ধরনের কার্যকলাপ দেখে জনসাধারনের মধ্য প্রশ্ন জাগায়াটাই স্বাভাবিক। শুধু তাই নয় সুন্নীদের সাথে শিয়াদের পার্থক্যও ও মতবিরোধ রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ে। মূলত শিয়া সম্প্রদায়ে উত্তপ্তি কথাথেকে হলো কি তাদের ইতিহাস তার সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা নিম্নরুপ? বণি হাশেমের (একটি গোত্র) কিছু লোক এবং অন্যদের মধ্য এমন কিছু লোক ছিল যারা রাসূল (সাঃ) এর পরে হযরত আলী (রাঃ) কে খেলাফত এর জন্য বেশি যোগ্যতর ব্যক্তি মনে করত। তাদের মুল ধারনা ছিলো তিনিই প্রথম খেলাফতের দাবীদার। আনেকে এটাও ধারনা করতো যে রাসূল (সাঃ) এর সাথে তার আত্নিয়তার সম্পর্ক থাকার ফলে তিনিই প্রথম খলীফা হয়ার যোগ্য। তাদের অনেকে হযরত আলী (রাঃ) কে আন্যন্ন সাহাবা এবং বিশেষ করে ইসলামের তৃতীয় খলীফা হযরত ওসমান (রাঃ) থেকে স্রেষ্ঠ মনে করত। কিন্তু তা সত্যও সে সময় শিয়ানে আলীরা ইসলামের প্রথম,দ্বিতীয় ও তৃতীয় খলীফার হাতে বায়াত গ্রহন করে এবং তাদের আনুগত্য স্বীকার করে নেয়। এক্ষেত্রে তাদের মতামত ছিল এই যে যেহেতু হযরত আলী (রাঃ) তাদের হাতে বায়াত হয়েছেন এবং তাদের ঈমামতিতে নামাজ আদায় করেছেন তাই এই কাজে তাদের কোন দ্বীমত নেই। সে সময়ও তাদের কে ভিন্ন গোত্র বা ভিন্ন সম্প্রদায় ভাবে দেখা হত না। মূলত আলী (রাঃ) খেলাফত কালে বিভিন্ন উল্লেক্ষিত ঘটনা যেমন জামাল যুদ্ধে তালহা (রাঃ) ও যুবাইর (রাঃ) এর সঙ্গে, সিফফীন যুদ্ধে হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর সঙ্গে এবং নাহরাওয়ান যুদ্ধে খারেজীদের (শিয়া মতবাদের সম্পুর্ন বিরোধী একটি দল) সঙ্গে হযরত আলী (রাঃ) এর বিরোধ কালে বিশেষ মতবাদ সম্বলিত একটি দলের (সিয়া) উদ্বভব ঘটে। এবং পরবর্তিতে হযরত হুসেইন (রাঃ) এর শাহাদাত এর পরে তাদের মতবাদ একটি সুস্পষ্ঠ কাঠামো পায়। এছারাও উমাইয়া এবং আব্বাসীয়দের যুগে হযরত আলী (রাঃ) এর বংশধর এবং সমর্থকদের উপর অত্যচার ও জুলুম এর ফলে জনগনের মনে যে সমবেদনার উদ্ভব ঘটে তা শিয়াদের দাওয়াত কে অসাধারন শক্তি ও ইন্দন যোগায়। এবং তাদের কাছে তাদের মতবাদ কে আরও অনেক অগ্রগামী করে তুলে। তাদের মতবাদের মুল বিষয় ছিল পৃথীবিতে কোন খেলাফত থাকবে না থাকবে ইমামত। এবং আর ও কিছু এমন বিষয় তাদের মতবাদে রয়েছে যা অনেকটাই আমাদের শরিয়াতের বিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। অার বিস্তারিত https://bn.m.wikipedia.org/wiki/সুন্নি_(ইসলাম)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ