সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠতে হলে নিজের প্রতি নিজের নিয়ন্ত্রণ রাখতে হবে।
দেখে নিন ঘুম থেকে ওঠার কিছু কৌশল
অ্যালার্ম ঘড়ি বিছানা থেকে দূরে রাখুন
অনেকেই আছেন ভোরে ঘুম থেকে ওঠার জন্য ঘড়িতে কিংবা মোবাইলে ফোন অ্যালার্ম দিয়ে বিছানায় কিংবা বিছানার পাশে রেখে ঘুমান। এবং প্রতিদিনই অ্যালার্ম বাজার সাথে সাথে হাতের নাগালে পেয়ে অ্যালার্ম বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে পড়েন। এই সমস্যা দূর করতে আপনাকে একটু কষ্ট করে অ্যালার্ম ঘড়িটা বিছানা থেকে দূরে রাখুন। যাতে আপনাকে সকালে অ্যালার্ম বন্ধ করার জন্য বিছানা থেকে উঠে যেতে হয়। আর বিছানা থেকে ওঠা আপনার ঘুম দূর করতে সাহায্য করবে।
ঘরে ভোরের আলো ঢোকার ব্যবস্থা করুন
ভোরের আলো কিংবা সকালের কুসুম আলো ঘরে না ঢোকার ব্যবস্থা না থাকলে রাতের আভা ঘর থেকে বের হয় না। ফলে ঘুমও কাটে না সহজে। বিছানা সরাসরি জানালার পাশে রাখার চেষ্টা করুন। যাতে সকালের আলো আপনার ঘুম ভাঙতে সাহায্য করে। ঘরে সকালের কোমল আলোয় ঘুম ভাঙ্গার সাথে সাথে মনও ভালো হয়ে যাবে। দিনের শুরু হবে আনন্দে।
জরুরী কিছু প্ল্যান করুন সকালের জন্য
অনেকেই আছেন দরকার না হলে ভোরে ঘুম থেকে উঠেন না। তাদের জন্য ভোরে উঠার অভ্যাস করার একটি সহজ উপায় হচ্ছে ভোরের দিকে কোনো জরুরী কাজ করার প্ল্যান করা। কাজটির জন্য হলেও ঘুম থেকে উঠতে কষ্ট একটু কম হবে। আর এভাবে কিছুদিন নিয়মিত ভোরে উঠতে পারলে তা আপনা আপনিই অভ্যাসে পরিনত হবে।
অনিদ্রারোগ দূর করুন
অনেকেই রাতে দেরি করে ঘুমানোর অভ্যাসটির কারনে অনিদ্রারোগে ভুগে থাকেন। এই রোগটি দূর করতে হবে। অনিদ্রারোগটি প্রাথমিক পর্যায়ের হলে হালকা আলোয় কিংবা অন্ধকার ঘরে ঘুমুতে চেষ্টা করুন অথবা বই পড়ার অভ্যাস করুন বিছানায় শুয়ে। আর অনিদ্রা বেশী হলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে এই রোগটি অতি সত্বর দূর করুন।
ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরে ক্লান্তি আনুন
অনেকেই আছেন যারা সকালে উঠতে চান কিন্তু রাতে ঘুমুতে পারেন না বলে সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়। এবং এর ফলশ্রুতিতে অন্যান্য অনেক কাজে দেরি হয়। ঘুম আসলে তখনই আসে যখন শরীরে ক্লান্তি আসে। শরীরে ক্লান্তি ভর করে বলেই ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসে। সকালে ব্যায়াম করলে দুটি উপকার পাবেন। প্রথমত, সকালের ঘুম ঘুম ভাব দূর হয়। এবং দ্বিতীয়ত পুরো দিনের কাজ করার ক্ষমতা অর্জন করে রাতে শরীরে ক্লান্তি আনতে সাহায্য করে। তাই ব্যায়াম করুন ও ভোরে উঠার অভ্যাস করুন।
সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠা, অনেকের কাছে যুদ্ধজয়ের মতই কঠিন কাজ। এই কঠিন কাজটিকেও সহজ করে ফেলতে পারবেন শুধুমাত্র কিছু নিয়ম মেনে চললে। আগে আগে ঘুমিয়ে পড়ুন তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠার সহজ উপায় হল তাড়াতাড়ি বিছানায় যাওয়া । রাতে ১০টা কিংবা ১১টার মধ্যেই শুয়ে পড়ুন, যদি আপনার ঘুম না আসে তাও। আপনার যদি রাত জেগে টিভি দেখা কিংবা নেট ব্রাউজ করার অভ্যাস থাকে, তাহলে নতুন এই নিয়মটির চর্চা শুরু করুন, দেখবেন একদিন আপনার সকালে উঠার অভ্যাস তৈরি হয়ে গেছে, তাতে যত সময়ই লাগুক না কেন। অ্যালার্ম ঘড়িকে দূরে রাখুন আমরা অনেকেই অ্যালার্ম ঘড়িকে বিছানার কাছে রেখে ঘুমাই, ফলে অনেক সময় অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলেও আমরা অ্যালার্মটি বন্ধ করে আবার ঘুমিয়ে যাই। এর ফলে সকালে উঠতে আমাদের দেরি হয়ে যায়। এজন্য আপনার অ্যালার্ম ঘড়িটি বিছানা থেকে বেশ দূরে রাখুন, যাতে আপনাকে বিছানা থেকে উঠে অ্যালার্ম অফ করতে হয়, আর বিছানা থেকে উঠার পর দেখবেন পুনরায় আর বিছানায় যেতে ইচ্ছে করছে না। এমন কোন অ্যালার্ম ঘড়ি ব্যবহার করবেন না, যা আপনাকে রাগিয়ে তুলতে পারে। বিকল্প হিসেবে মোবাইল ফোনের রিংটোন বা অ্যালার্ম টোন ব্যবহার করতে পারেন। পর্দা সরিয়ে দিন আপনার রুমে সূর্যের আলো প্রবেশ করতে দিন। অ্যালার্ম বন্ধ করার সাথে সাথেই শোবার ঘর ত্যাগ করুন। মন না চাইলে নিজেকে বাধ্য করুন। এমন কোন কাজ করুন, যা আপনাকে পুনরায় বিছানায় যেতে নিরুৎসাহিত করবে যেমন- দাঁত ব্রাশ করতে কিংবা চা বানাতে পারেন। এতে আপানার ঘুম ঘুম ভাবটা কেটে যাবে। নিজেকে পুরস্কৃত করুন এক কাপ চা অথবা সুস্বাদু নাস্তা হতে পারে সময়মত সকালে উঠার পুরস্কার।প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠার পর নিজের পছন্দের যেকোনো একটি কাজ নিয়মিত করুন, সেটা হতে পারে যোগ ব্যায়াম, মেডিটেশন কিংবা জগিং...(সংগৃহীত )