কাবা শরীফের উপর দিয়ে আজ পর্যন্ত কোন পাখি ও দুনিয়ার কোন বিমানও পারেনি কেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

এর মালিক আল্লাহ নিজেই, তিনি যেভাবে চাইবেন সেভাবেই হবে, কাবা শরীফ এমন একটা জায়গা যার উপর দিয়ে আজ পর্যন্ত কোন পাখি উড়ে যায়নি, দুনিয়া কোন বিমানও তার উপর দিয়ে যেতে পারেনি।কুদরতী দৃষ্টিকোণ থেকেও তার অবস্থান এমনই যে, তার উপর চন্দ্র ও সূর্যও অবস্থান করতে পারে না। কুরআন এবং বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে,গোটা পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু ঐ স্থান যেখানে খানায়ে কা’বা শরীফ ।মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এ এক বিষ্ময়কর সৃষ্টি। বিস্তারিত এর জন্য দয়া করে লিংক এ যান http://bichitra24.com/bn/different-taste/9995

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কাবা শরীফ এমন একটাজায়গা যার উপর দিয়ে আজ পর্যন্তকোন পাখি উড়ে যায়নি, দুনিয়াকোন বিমানও তার উপর দিয়েযেতে পারেনি।কুদরতী দৃষ্টিকোণ থেকেও তারঅবস্থান এমনই যে, তার উপর চন্দ্র ওসূর্যও অবস্থান করতে পারে না।কুরআন এবং বিজ্ঞান প্রমাণকরেছে যে,গোটা পৃথিবীরকেন্দ্রবিন্দু ঐ স্থান যেখানেখানায়ে কা’বা শরীফ ।মহানআল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এ একবিষ্ময়কর সৃষ্টি।মুসলমানদের কেবলা কাবা শরীফ।প্রতিবছর লাখ লাখ মুসলমানকাবাঘর তাওয়াফ করতে মক্কা গমনকরেন। পৃথিবীতে সর্বপ্রথম মহানআল্লাহ তায়ালার নির্দেশেফেরেশতারা কাবাঘর নির্মাণকরেন। কাবাঘরকে উল্লেখ করেমহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্রকোরআনের সুরা আল-ইমরানের ৯৬আয়াতে বলেন, “নিশ্চই সর্বপ্রথম ঘরযা মানুষের ইবাদত রূপে নিরূপিতহয়েছে, তা ঐ ঘর যা মক্কাতেঅবস্থিত”।কাবাঘরটি আল্লাহ তায়ালারআরশে মুয়ালস্নাহর ছায়াতলেসোজাসুজি বাইতুল মামুরেরআকৃতি অনুসারে স্থাপন করেন। হযরতআদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.) উভয়ইআল্লাহ তায়ালার কাছেইবাদতের জন্য একটি মসজিদেরপার্থনা করেন। আল্লাহ তায়ালাতাদের দোয়া কবুল করেন এবংবাইতুল মামুরের আকৃতিতে পবিত্রকাবাঘর স্থাপন করেন। এখানেহযরত আদম (আঃ) সন্তুষ্টচিত্তেআল্লাহ তায়ালার ইবাদত করতেথাকেন (শোয়াব-উল-ঈমান,হাদিসগ্রন্থ) এর অনেকতফসিরবিদের মতে, মানব সৃষ্টির বহুআগে মহান আল্লাহ তায়ালাকাবাঘর সৃষ্টি করেন”।হফসিরবিদ মজাহিদ কলেন,“আল্লাহ রাব্বুল আলামিনবাইতুলল্লাহর স্থানকে সমগ্র ভুপৃষ্ঠথেকে দু’হাজার বছর আগে সৃষ্টিকরেন” মুসলিম শরিফের একটিহাদিসে হযরত আবুযর গিফারী হতেবর্ণনা হয়েছে, রাসূল (সঃ) তারএকটি প্রশ্নের উত্তরে বলেছিলেন,“বিশ্বের সর্বপ্রথম মসজিদ হলোমসজিদে হারাম। এরপরের মসজিদহলো মসজিদে আকসা। মসজিদেহারাম নির্মাণে ৪০ বছর পরমসজিদে আকসা নির্মিত হয়”।হযরত আদম (আঃ) কাবাঘর আল্লাহরআদেশে পুনঃনির্মাণ করেন। এরপরবহুদিন অতিক্রম হলো। শত শত বছরঅতিবাহিত হলো। আল্লাহরবান্দারা কাবাঘর জিয়ারতকরতো, আল্লাহর কাছেহাজিরা দিতো এ কাবাঘরেসমবেত হয়ে। কাবাঘরে এসে মহানআল্লাহর পবিত্রতা ওঅংশীদারহীনতা ঘোষণা দিত।“লাব্বাইক আলস্নাহুম্মা লাব্বাইক,ইন্নাল হামদা ওয়ান নেয়ামাতা,লাকাওয়ালা মুলক, লাশারিকা,লাকা লাব্বাইক”।এভাবে চলতে চলতে দিন গত হতেথাকলো। এরপর হযরত শীস (আঃ)কাবাঘর পুনঃনির্মাণ করলেন। দিনদিন একাতুবাদের সংখ্যা বাড়তেথাকলো। এরপর কাবা শরীফনির্মাণ বা পুনঃনির্মাণ করেনহযরত ইব্রাহীম (আ;)। হযরত ইব্রাহীম(আ•) হযরত ইসমাইল (আ•) কে সাথেনিয়ে কাবাঘর নির্মাণ বাপুননির্মাণ করেন। হযরত ইব্রাহীম(আ•) কাবাঘর সংস্কার করেআল্লাহর দরবারে দোয়া করলেন।‘হে আমার প্রতিপালক! আমাদেরউভয়কে আজ্ঞাবহ কর,। আমাদেরবংশ থেকে একটি অনুগত দল সৃষ্টিকর, আমাদের হজ্বের রীতিনীতিবলে দাও এবং আমাদের ক্ষমা কর।নিশ্চই তুমি দয়ালু। হে প্রতিপালক!তাদের মধ্যে থেকেই তাদেরকাছে একজন পয়গম্বর প্রেরণ করম্নন।যিনি তাদের কাছেতোমাদের আয়াত তেলাওয়াতকরবেন। তাদেরকে কিতাব ওহেকমত শিক্ষা দিবেন এবং পবিত্রকরবেন। নিশ্চই তুমিমহাপরাক্রমশালী”। আল্লাহ রাব্বুলইজ্জত হযরত ইব্রাহীম (আঃ) ও হযরতইসমাইল (আঃ)-এর বংশ হতে হযরতমোহাম্মদ (সঃ)-কে শেষ নবী ওরাসূল হিসাবে পৃথিবীতে প্রেরণকরেন। এরপর কয়েকশ’ বছর গত হলো।পবিত্র কাবাঘর সংস্কার করলোআমালিকা সম্প্রদায়। তারপরআরো শ’ শ’ বছর কিংবা হাজারহাজার বছর পরে কাবাঘর সংস্কারকরলো মক্কার জুরহাস সম্প্রদায়।আরবের অর্থাৎ মক্কায় যে সকলগোষ্ঠী বা সম্প্রদায়েরপ্রতিপত্তি ছিল, তাদের দায়িত্বথাকতো কাবা শরীফরক্ষণাবেক্ষণের। এ দায়িত্বপালনকে তারা সম্মানিত ওগর্বের মনে করতো। শতাব্দীর পরশতাব্দী অতিবাহিত হলো।কাবা শরীফ ও কাবাঘরকেসংস্কার করলেন মোযারসম্প্রদায়। মহানবী হযরত মোহাম্মদ(সাঃ) নবুয়্যত প্রাপ্তির ৫ বছর আগেকাবাঘর সংস্কার করে মক্কারবিখ্যাত কোরাইশ বংশ। একোরাইশ বংশেই মহানবী হযরতমোহাম্মদ (সাঃ) ৫৭০ খ্রীঃ •জন্মগ্রহণ করেন। কোরাইশরাকাবা শরীফ সংস্কারের পরহাযরে আসওয়াত স্থাপন নিয়েমতভেদ দেখা দেয়।সকলের সম্মতিক্রমে আল্লাহর রাসূলকাবাগৃহে হাযরে আসওয়াদ কাবাশরীফে স্থাপন করেন। মহানবী হযরতমোহাম্মদ (সাঃ) জীবিতঅবস্থায় ৬৪ হিজরীতে আব্দুল্লাহইবনে জোবায়ের (রাঃ) কাবাশরীফ সংস্কার করেন। হাজ্জাজবিন ইউসুফ ৭৪ হিজরীতে কাবাশরীফ সংস্কার করেন।সুদীর্ঘ ১৪শ’ বছরে কাবাগৃহেকোনো সংস্কারের প্রয়োজনহয়নি। শুধুমাত্র কাবাঘরেরচারপাশে অবস্থিত মসজিদেহারামের পরিবর্ধন, সংস্কার বাসৌন্দর্য বৃদ্ধি করা হয়েছে।কাবাঘরের রক্ষণাবেক্ষণেরদায়িত্ব সৌদি রাজপরিবারের।ভৌগলিক দিক দিয়ে মক্কা ওআরব উপদ্বীপ এশিয়া, ইউরোপ ওআফ্রিকার মধ্যস্থলে অবস্থিত।মক্কানগরী পৃথিবীর কেন্দ্রস্থলেহওয়ায় মহান আল্লাহ কাবাঘরমক্কাতেই স্থাপন করেন। পবিত্র হজ্বপালন করতে লাখ লাখ মুসলমানমক্কা শরীফে গমন করেন। জিলহজ্বমাসের ৮ থেকে ১২ তারিখেরমধ্যে মূল হজ্ব অনুষ্ঠিত হয়। জিলহজ্বমাসের ১০ তারিখ ঈদুল আযহারদিন। এ দিন কোরবানী দিতেহয়। যা হযরত ইব্রাহীম (আঃ)-এর ওহযরত ইসমাইল (আঃ)-এর স্মৃতি বহনকরে চলছে হাজার হাজার বছরধরে। যমযম কূপ ও ঠিক তেমনি হযরতইসমাইল (আঃ) ও তার মা বিবিহাজেরা (আঃ)-এর স্মৃতি বহন করেচলছে। এ যমযম কূপ মহান আল্লাহরকুদরতের অপরূপ ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশমাত্র। হজ্ব মুসলমানদের ঈমানেরঅন্যতম স্তম্ভ। আরবের মক্কা নগরীরপবিত্র কাবাঘর হেফাজতেরমালিক মহান আল্লাহ নিজে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কাবা শরীফ এমন একটা জায়গা যার উপর দিয়ে আজ পর্যন্ত কোন পাখি উড়ে যায়নি, দুনিয়া কোন বিমানও তার উপর দিয়ে যেতে পারেনি। কুদরতী দৃষ্টিকোণ থেকেও তার অবস্থান এমনই যে, তার উপর চন্দ্র ও সূর্যও অবস্থান করতে পারে না। কুরআন এবং বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে যে,গোটা পৃথিবীর কেন্দ্রবিন্দু ঐ স্থান যেখানে খানায়ে কা’বা শরীফ ।মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের এ এক বিষ্ময়কর সৃষ্টি।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ