পড়া শুরু করার আগে তিনবার " রাব্বি যিদনি ইলমা " পড়ে বিসমিল্লাহ বলে পড়া শুরু করেন। আপনার একটু ধীরে মুখস্থ হলে বারবার পড়ুন। এখানে পড়ার বিকল্প কিছুই নেই। পড়া শেষে একবার লিখুন। তাহলেই মনে থাকবে ইনশাআল্লাহ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আত্মবিশ্বাস যেকোনো কাজে সফল হওয়ার প্রথম ও প্রধান শর্ত। মনকে বোঝাতে হবে পড়াশোনা অনেক সহজ বিষয় আমি পারব, আমাকে পারতেই হবে। তাহলে অনেক কঠিন পড়াটাও সহজ মনে হবে। কোনো বিষয়ে ভয় ঢুকে গেলে সেটা মনে রাখা বেশ কঠিন। আর পড়ালেখা করার উত্তম সময? হচ্ছে ভোর। সকালে মস্তিষ্ক ফ্রেশ থাকে। পড়া মুখস্থ করার সময় উচ্চঃস্বরে পড়তে হবে। এই পদ্ধতিতে কথাগুলো কানে প্রতিফলিত হওয়ার কারণে সহজে আয়ত্ত করা যায়। শব্দহীনভাবে পড়ালেখা করলে একসময় পড়ার গতি কমে গিয়ে শেখার আগ্রহ হারিয়ে যায়। আর আগ্রহ না থাকলে পড়া শেখার কিছুক্ষণ পরই তা মস্তিষ্ক থেকে বিলুপ্ত হয়ে যায়। শেখা হয়ে যাওয়ার পর বারবার সেটার পুনরাবৃত্তি করতে হবে। এটাও পড়া মনে রাখার ক্ষেত্রে অনেক সাহায্য করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
ShiponChy

Call

পড়া শুরু করার সময়, নিন্মের দোয়া পড়বেন। সুবহানাকা লা ইলমা লানা ইল্লা মা আল্লামতানা ইন্নাকা আনতাল আলীমুল হাকীম। রাব্বিশ রাহলি সদরি..... এই দোয়াটিও পড়লে ভাল। সাথে, পড়া যা পড়বেন, বুঝে বুঝে পড়ার চেষ্টা করবেন। যতটা সম্ভব মনযোগ দিয়ে পড়বেন। এবং নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে আল্লাহর নিকট সাহায্য চাইবেন। রাব্বি যিদনি ইলমান.... এই দোয়াটি পড়ার চেষ্টা করবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

~ সঠিক নিয়মে পড়ালেখা - মনে রাখার সহজ উপায় ~ পড়া বুঝে মনে রাখার সহজ উপায়টা কী? মুখস্থবিদ্যা কোনো সমাধান না, আর মুখস্থ করা মানে সেটা বোঝা, মনে রাখা কোনোটাই না। কোনো কিছু পড়ে সহজে সেটা মনে রাখতে হলে আপনাকে স্মৃতি গড়ার কায়দা জানতে হবে। পরিচিত অনেক ছাত্রকেই দেখবেন, একবার পড়লেই মনে রাখতে পারে, সেখানে আপনি হয়তো ঘন্টার পর ঘণ্টা ঘষটে ঘষটেও কিছু মনে রাখতে পারছেন না। তাহলে কায়দাটা কী? আঁতেল ভালো ছাত্র কাউকে জিজ্ঞেস করলে বলবেনা হয়তো তাদের গোপন রহস্য, তাই এই লেখা থেকে জেনে নিন সেটা। ১) দেখা, দেখতে পারা ~ কোনো জিনিষ মনে রাখতে হলে সেটা দেখা অথবা কল্পনায় করাটা দরকারী। ধরা যাক, মোগল সম্রাট আকবরের শাসনামল মনে রাখতে হবে। বিরক্তিকর সব জিনিষ তোতাপাখির মতো মুখস্থ করার চাইতে চোখ বুঁজে একবার সম্রাট আকবরকে কল্পনা করেন, হাতির পিঠে বসে মোগলাই পরোটা খেতে খেতে কটকটে হলুদ পাঞ্জাবি পরা হিমুর সাথে যুদ্ধ করছে। পানিপথের যুদ্ধ আর তোতার মতো মুখস্থ করা লাগবেনা, এই দৃশ্যটা মনে করলেই বাকিটা মনে থাকবে আপনার। ২) সম্পর্ক -- কোনোকিছু পড়ার পরে সেটার সাথে আপনার পরিচিত কিছুর সম্পর্কটা চিন্তা করে নিন। যেমন ধরেন বয়েলের সূত্র দিয়ে গ্যাসের গতিবিধির তত্ত্ব মনে রাখতে হবে। বয়েল এর নামটা বয়লারের মতো, তাই না? আবার অনেকটা কয়েলের মতো লাগে। কয়েল থেকে ধোয়া টাইপের গ্যাস বের হয়, তাই না? এভাবে যেটাই পড়বেন, পরিচিত কিছুর সাথে সম্পর্ক বের করেন। আবার যেগুলা পড়ছেন, তাদের নিজেদের মধ্যে সম্পর্ক বের করেন। ৩) পড়ুন, লিখুন, আঁকুন, মনে রাখুন - ৫ মিনিটের বেশি কিছু পড়বেন না। ৫ মিনিট পড়ার পরে যেটা পড়লেন, সেটাকে লিখে ফেলেন, অথবা সেটা নিয়ে ছবি আঁকেন। চিন্তার কিছু নাই, ছবি আঁকতে না পারলেও কাকের ঠ্যাং মার্কা কিছু আঁকেন। তার পর পরের পড়ায় যান। কারণ মনে কিছু ঢোকার পরে সেটা যদি লেখার মাধ্যমে হাতে না আনেন, তাহলে মন থেকে কান দিয়ে সেটা বেরিয়ে পালাবেই। তাই পড়া, লেখা, মনে রাখা, এই চক্রে পড়ার অভ্যাস করেন, সহজেই মনে থাকবে সবকিছু। ৪) অল্প অল্পেও অনেক - একবারে গাছের আগায় উঠা যায় না। তাই একগাদা জিনিষ একবারে এক দফায় না পড়ে অল্প অল্প করে পড়েন। মনের জগতে ওভারডোজ সহ্য হয় না। ব্যাস, পেয়ে গেলেন তো ভালো ছাত্রদের গোপন রহস্য! এবারে পড়তে বসে এগুলাকে প্রয়োগ করে ফেলেন, সহজেই মনে রাখতে পারবেন সবকিছু।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ