আমার সাথে একটি ছেলের প্রায় দুই বছর হল সম্পর্ক চলছে। আমরা আল্লাহকে স্বাক্ষী রেখে নিজেদের মধ্যে বিয়ে করি। আমি ভেবেছিলাম সম্পর্কটা তেমন কিছু না। ও বলেছিল তখন, স্বামী স্ত্রীর মধ্যকার সব অধিকার আমাদের মধ্যে থাকবে। মানে আমার প্রতি তার সব রকম অধিকার রয়েছে। আর আমারও তার প্রতি। এটা আমিও মেনে নেই। আমাদের পারিবারিক বিয়ে হতে সন্দেহ নেই। সে দেখা হলেই আমার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করত। এর ছবি চাইত। কিন্তু কখনও সে এর বেশি কিছু চায়নি। আর আমি নিশ্চিত পারিবারিক বিয়ের আগে সে ঐদিকে যাবেনা। সে আমাকে স্ত্রী হিসেবেই দেখে এসেছে। স্ত্রীর প্রতি সব দায়িত্ব সে ঠিকভাবেই পালন করেছে। সবকিছু ঠিক ই চলছিল। কিন্তুু আমি আর এসব মেনে নিতে পারছিনা। ও যত ভালোই হোক আমার কাছে শুধু মনে হয় আমি ঠিক করছিনা। এতে আমি অনেক বড় গুনাহ্ করছি। এটা আমি ওকে জানালে ও আমাকে বলে আমি তাকে কখনও স্বামী বলে ভাবিনি। ইসলামে বিয়ের আগে প্রেম হারাম। তাই বিয়ে করেছি। আর আজ এতদিন পর যখন তুমি এটা বলছ তখন তুমি আমাকে স্বামী না বি এফ ভেবেছ। তাই এই সম্পর্ক কোনো সম্পর্ক নয়। আমাদের সম্পর্কটা এখন ভাঙ্গার পর্যায়ে। এখন এমন অবস্থায় আছে যে যদি আমি আগের মত তাকে অধিকার দেই তাহলে সম্পর্ক আগের মত হবে। যদি না দিই তবে ভেঙ্গে যাবে। আমি ওকে হারাতেও চাইনা। কি করা উচিৎ এখন আমার???????
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ইসলাম‌ে দুইজন প্রাপ্ত বয়স্ব ব্যক্ত‌ি সাক্ষি র‌‌েখে দেনমোহর ধার্য ও তা পরিশোধের নিশ্চয়তার পরেই ব‌িয়ে হালাল হয় তাই অাপনাদ‌ের তথাকথিত ব‌িয়েটা অবৈধ। অাপনারা পুনরায় ব‌ৈধভাব‌ে বিয়ে কর‌ে সংসার করুন। অার চেষ্টা করুন বাবা-মাকে রাজি করিয়ে বিয়ে করতে এটাই দৃষ্টিনন্দন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রথম বলি, তাকে আপনি পূর্বের অধিকার দিবেন না । কেননা, ইসলামি বিধি বিধান অনুযায়ী আপনারা এখনো স্বামী-স্ত্রী নন। ইসলামে বিবাহের ৪টি শর্ত আছে। যেগুলো পূরন না হওয়া পর্যন্ত তাকে বিয়ে বলা যাবেনা । শর্তগুলোঃ (১) ইশারা করে দেখিয়ে দেয়া কিংবা নাম উল্লেখ করে সনাক্ত করা অথবা গুণাবলী উল্লেখ অথবা অন্য কোন মাধ্যমে বর-কনে উভয়কে সুনির্দিষ্ট করে নেয়া। (২) বর-কনে প্রত্যেকে একে অপরের প্রতি সন্তুষ্ট হওয়া। এর দলীল হচ্ছে নবী (সাঃ) বাণী। নবীজী (সা.) বলেছেন, ‘স্বামীহারা নারী (বিধবা অথবা তালাকপ্রাপ্ত) কে তার সিদ্ধান্ত জানা ছাড়া (অর্থাৎ সিদ্ধান্ত তার কাছ থেকে চাওয়া হবে এবং তাকে পরিষ্কারভাবে বলতে হবে) বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি ছাড়া (কথার মাধ্যমে অথবা চুপ থাকার মাধ্যমে) বিয়ে দেয়া যাবে না। লোকেরা জিজ্ঞেস করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! কেমন করে তার সম্মতি জানবো (যেহেতু সে লজ্জা করবে)। তিনি বললেন, চুপ করে থাকাটাই তার সম্মতি।” [সহীহ বুখারী, (৪৭৪১)] (৩) বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হবে। যেহেতু আল্লাহ তা’য়ালা বিয়ে দেয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, “আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিবাহ দাও।” [সূরা নূর, ২৪:৩২] নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিয়ে করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।” [হাদিসটি তিরমিযি (১০২১) ও অন্যান্য গ্রন্থকার কর্তৃক সংকলিত এবং হাদিসটি সহীহ] (৪) বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে। দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,“অভিভাবক ও দুইজন সাক্ষী ছাড়া কোন বিবাহ নেই।” [তাবারানী কর্তৃক সংকলিত, সহীহ জামে (৭৫৫৮) ]। সে আপনার স্বামী হিসেবে কি কি দায়িত্ব পালন করছে আমি বুঝতেছিনা । কিন্তূ স্বামী (প্রকৃতপক্ষে স্বামী না) হয়ে সে আপনার কাছে যে অধিকার দাবী করছে, সেটা কখনোই সন্তোষজনক নয় । স্বামী হয়ে স্ত্রীর কাছে এমন নোংরা দাবী কেন করবে? আপনি নিজেকে এসব থেকে দূরে রাখুন। কেননা, এতে আপনার মারাত্বক গুনাহ্ হচ্ছে। ইসলামে নারীদের লজ্জাস্থান হেফাজতের ব্যাপারে কঠোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই, তাকে বুঝিয়ে বলুন, এসব না করতে। আর আপনারা যদি প্রাপ্ত বয়স্ক হয়ে থাকেন তাহলে অভিবাবকদের সম্মতিতে বিয়ে করুন ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ