শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
5h40n

Call

স্বাস্থ্যোজ্জল, সুন্দর চুল পেতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরী পরামর্শঃ ১. সপ্তাহে তিন দিন চুলে শ্যাম্পু করবেন, তা না হলে ত্বকে ময়লা জমে খুশকি হতে পারে। ২. চুল এবং মাথার ত্বকের উপযোগী একটি শ্যাম্পু নির্দিষ্ট করুন। পাশাপাশি চুলকে নরম, মসৃণ ও ময়েশ্চারাইজ করতে ভাল ব্রান্ডের কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার চুলকে ভেঙ্গে যাওয়া, রুক্ষ হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। চুলকে জটহীন, নরম, মসৃণ ও আকর্ষণীয় করে তুলতে কন্ডিশনার খুবই জরুরী। ৩. প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ মিনিটের জন্য হলেও আপনার মাথার ত্বক ম্যাসাজ করুন। এর ফলে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে, ত্বকের মৃত কোষ ও খুশকি দূর হবে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে। ৪. চুলের মলিনতা ও রুক্ষতা দূর করতে সপ্তাহে অন্তত একদিন চুলে কুসুম গরম তেল ম্যাসাজ করুন। এটি চুল ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করে। নারকেল, জলপাই অথবা বাদাম তেল হালকা গরম করে আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মাথায় আলতোভাবে ম্যাসাজ করুন। এক ঘণ্টা রেখে ভাল করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। ৫. চুলের ধরন তৈলাক্ত হলে, শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে খানিকটা লেবুর রস অথবা খানিকটা ভিনেগার মিশিয়ে পুরো চুল ধুয়ে ফেলুন। চুল ঝলমলে ও উজ্জ্বল দেখাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

চুলের সৌন্দর্য ও নমনীয়তা বজায় রাখতে সপ্তাহে অন্তত দুইবার হেয়ার মাস্ক লাগান। এর ফলে চুল প্রয়োজনীয় পরিমাণ ময়েশ্চার পাবে এবং চুল ফাটা বা রুক্ষতা দূর হয়ে চুল সুন্দর থাকবে। মধু এবং কলার হেয়ার মাস্কঃ -আধা কাপ মধু - ২ টি পাকা কলা -১/৪ কাপ অলিভ অয়েল এবার সবগুলো উপকরণ একসাথে ব্লেন্ডারে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো মতো লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। ডিম এবং মধুর হেয়ার মাস্কঃ - দুইটি ডিম - আধা কাপ মধু - আধা কাপ টক দই প্রথমে ডিম নিয়ে ভালো মতো ব্লেন্ড করে এর সাথে মধু যোগ করুন। ডিম এবং মধু ভালো মতো মিশে গেলে এটি সারা চুলে লাগিয়ে চুলে হেয়ার ক্যাপ লাগিয়ে রাখুন। ৩০-৪৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
arif900822

Call

ঘন, কালো এবং লম্বা চুলের জন্য অবশ্যই ডায়েটের প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে সকলেই সুন্দর স্বাস্থ্যকর চুলের অধিকারী হতে চান বিশেষ করে, নারীদের মাঝে সুন্দর ঘন চুল পাবার আগ্রহ বেশি তাহলে জেনে নিন, আপনার খাদ্যাভ্যাস চুলের বৃদ্ধিতে প্রভাব ফেলে কারণ, সঠিক পুষ্টি শরীরের সকল কর্ম ভালভাবে সম্পাদন করে

গবেষকেরা দেখতে পেরেছেন, সঠিক পুষ্টি গ্রহণের মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধির হার ঠিক রাখা যায়। চুলের বৃদ্ধিতে যেসব পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিৎ নিম্নে তা দেয়া হল-

.শাক:
শাকের মধ্যে অত্যাধিক পরিমাণে ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফ্যাটি এসিডের মত ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ রয়েছে। চুল এসব পুষ্টিকে অনেক ভালবাসে। আপনার যদি সেদ্ধ করা শাক খেতে ভালো না লাগে, তাহলে আপনি বিভিন্ন ধরণের রেসিপি ব্যবহার করতে পারেন। এতেও আপনার চুলের উপকার হবে

.জই:
জই বা ওটস হল আপনার চুল বৃদ্ধির জন্য অন্যতম একটি খাবার। আপনার সকালের নাস্তায় তালিকাভুক্ত করা যেতে পারে, এটি সবচেয়ে ভালো খাবার। কারণ, ওটস চুলের প্রয়োজনীয় সকল ধরণের পুষ্টি বিদ্যামান। এর মাঝে কপার, জিংক, ভিটামিন বি এবং প্রোটিন বিদ্যামান। সেরা খবর হল, ওটস খেতে সুস্বাদু, তৈরি করতেও সহজ। শুধুমাত্র দারুচিনি মিশিয়ে মিষ্টি স্বাদের সাথে প্রতিদিন সকালে খেতে পারেন। এছাড়াও, চীনাবাদামের মাখনের সাথে খেয়ে নিতে পারেন এই সুস্বাদু জই

.ডিম:
ডিমে যে পুষ্টি রয়েছে, তা চুলের স্বাস্থ্য উন্নয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করে ডিম দুইভাবে চুলের জন্য উপকার করে। আমরা ডিম খেতে পারি, আবার চুল ঝলমলে করার জন্য চুলে মেখে দিতে পারি। চুল ভঙ্গ না করে ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি করার জন্য যে পুষ্টির প্রয়োজন, তা ডিমে বিদ্যামান। জলপাইয়ের তেল এবং ডিম একত্রিত করে মাস্ক তৈরি করে চুলে লাগাতে পারেন

.সবুজমটর:
আপনার চুলের স্বাস্থ্য পরিকল্পনার জন্য সবুজ মটর একটি ভালো উৎস। এতে বেটা- ক্যারোটিন, ভিটামিন সি এবং প্রোটিন রয়েছে। মজাদারভাবে রান্না করে সবুজ মটর খেতে পারেন

.গরুরমাংস:
আয়রন এবং প্রোটিনের ঘাটতির কারণে মূলত চুলের ক্ষতি সবচেয়ে বেশি সাধিত হয়। চুলের এসকল পুষ্টির জন্য গরুর মাংস অপরিহার্য। গরুর মাংস মাথার খুলিতে রক্ত সরবরাহ করে, চুলের ক্ষতির বিরোধিতা করে এবং চুলকে মজবুত করে

.গাজর:
গাজর ভিটামিন এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। এতে তৈলাক্ত রাসায়নিক উপাদান রয়েছে, যা মাথার খুলিকে জলয়োজিত রাখতে সাহায্য করে। সপ্তাহে অন্তত একবার গাজর খাওয়া উচিৎ। গাজরকে স্ন্যাক, কাঁচা বা হালুয়া তৈরি করে খেতে পারেন

.সূর্যমুবীজ:
সূর্যমুখীর তেল চুলের জন্য ভালো, তা আমরা প্রায় সকলেই জানি। কিন্তু, সূর্যমুখীর বীজে ম্যাগনেসিয়াম, প্রোটিন, বায়োটিন, ভিটামিন বি, আয়রন, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এর মত পুষ্টি রয়েছে। তাই, সূর্যমুখীর বীজ সন্ধ্যার স্ন্যাক হিসেবে খেতে পারেন

.বাদাম:
বাদামে যে অত্যাবশ্যক পুষ্টি উপাদান রয়েছে, তা আমাদের ব্রেন, চুল, ত্বক এবং হার্টের জন্য অনেক উপকারী। বিভিন্ন খাবারের সাথে বাদাম যুক্ত করে খাওয়া যায়। এছাড়াও, সালাদে বাদাম যুক্ত করে খেতে পারেন

.মিষ্টিআলু:
মিষ্টি আলুতে যে বেটা-ক্যারোটিন বিদ্যামান, তা কোষের বিকাশ সুস্থভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। এতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন রয়েছে, তা চুলের জন্য উপকারী

১০.ঘৃতকুমারীররস:
ঘৃতকুমারী মূলত অ্যালোভেরা নামেই বেশি পরিচিত। চুল ঘন করার জন্য ঘৃতকুমারীর রস সবচেয়ে বেশি উপকারী। ঘৃতকুমারীর রস দিয়ে শরবত তৈরি করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি খুশকি দূর করে এবং মাথার খুলি জলয়োজিত রাখতে সাহায্য করে

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

লেবু চুলকে প্রাকৃতিকভাবে সুন্দর রাখতে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন লেবুর রস। লেবুর রসের প্রাকৃতিক সুবাস আপনার চুলকে সব সময় রাখবে ফ্রেশ ও সুরভিত। প্রতিদিন গোসলের পরে এক মগ পানিতে কিছুটা লেবুর রস চিপে নিন। সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুলের দুর্গন্ধ, খুশকির সমস্যা ও চুলের রুক্ষতা দূর হবে যাবে। গোলাপজল গোলাপজল ব্যবহারেও চুল সুন্দর হয়ে উঠবে। গোসলের পর মগের পানিতে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এরপর সেই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। তাহলে চুলে বহুক্ষণ থাকবে গোলাপজলের সৌরভ। বেলিফুলের নির্যাস চুলকে সুরভিত করতে তাজা বেলিফুল থেকে নির্যাস বের করে ব্যবহার করতে পারেন। অথবা খাঁটি বেলিফুলের তেলও ব্যবহার করতে পারেন। সুরভিত ধোঁয়া প্রাচীনকালে চুল শুকাতে ব্যবহার করা হতো সুরভিত ধোঁয়া। বিশেষ করে ধূপের ধোঁয়া ব্যবহার করে চুল শুকানোর প্রচলন ছিল অনেক বেশি। এতে চুল সুরভিত থাকতো বেশি সময়। চা পাতা নিয়মিত চা পাতার লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে নিলেও চুল সুন্দর থাকে। গোসলের পর ঠান্ডা চায়ের লিকার দিয়ে চুল ধুয়ে নিন প্রতিদিন। এটা প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের কাজ করবে এবং চুল হবে উজ্জ্বল। মেহেদী প্রাচীনকাল থেকেই চুল রাঙাতে এবং চুলের যত্নে মেহেদীর ব্যবহার হয়ে আসছে। চুলের যত্নে মেহেদীর তুলনা নেই। সেই সঙ্গে চুলকে সুরভিত রাখতেও মেহেদী কার্যকরী। তাই চুলকে প্রাকৃতিকভাবেই সুরভিত রাখতে চাইলে মাঝে মাঝেই মেহেদী ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া চুলের যত্নে আরো কিছু সচেতনতা বাড়াতে হবে। যত্ন নিতে আরো যা করতে পারেন- তেল চুলের যত্নে তেলের কোন বিকল্প নেই। ভালো চুল পেতে হলে সপ্তাহে ৪ দিন আপনাকে চুলে তেল দিতে হবে। চেষ্টা করুন রাতে ঘুমানোর আগে তেল দেয়ার। নারিকেল তেলের পাশাপাশি আমন্ড অয়েল, ক্যাস্টর অয়েল, তিল তেল এগুলো মিশিয়ে চুলে দিবেন। ক্যাস্টর অয়েল নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ১ দিন চুলে অবশ্যই হট অয়েল মাসাজ করবেন। চুলের যত্নে 'হেয়ার মাস্ক' আপনার চুলের পুষ্টির জন্য কিছু ঘরোয়া মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন, যেগুলো খুবই সহজলভ্য এবং নিয়মিত ব্যবহার করলে চুলের সমস্যা দূর হয়। ডিম চুলের যত্নের একটি অনন্য উপাদান। সপ্তাহে ২ দিন নাহলে অন্ততপক্ষে ১ দিন চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ডিম ফেটিয়ে চুলে দিয়ে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। তারপর, প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে এক মগ পানিতে ২/৩ চা চামচ ভিনেগার মিশিয়ে চুলে দিয়ে ২ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। যারা চুলের কালার এবং পুষ্টি দুটোই চান, তারা মেহেদি পাতা বাটাএবং ৪ চা চামচ কফি পাউডার মিশিয়ে চুলে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করবেন না ঐদিন। মাথায় খুশকি বা ফুসকুড়ি থাকলে নিমপাতা ও মেথি একসাথে বেটে সপ্তাহে ২ দিন লাগালে খুব তাড়াতাড়ি ফল পাবেন। চুল সিল্কি করতে চাইলে ডিম ফেটিয়ে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। ডিম এবং মধুর মাস্ক চুলের ভলিউম বাড়াতে সাহায্য করে। মাথার তালু ঠাণ্ডা রাখার একটি অব্যর্থ উপাদান হলো আলভেরার শাঁস বা জুস। এর সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে মাথায় ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলবেন। পেঁয়াজের রস চুল গজাতে সাহায্য করে। ১৫ দিনে ১ বার মাথার তালুতে তুলোয় করে পেঁয়াজের রস লাগাবেন। যারা কেমিক্যাল-যুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করতে চান না, তারা রিঠা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরদিন সেটার পানি ছেঁকে শ্যাম্পুর বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে শুধু চুলের উপরীভাগের পরিচর্যাই নয় ,ভালো চুল পেতে হলে খাওয়া দাওয়াতেও নিয়ম মেনে চলতে হবে। প্রোটিন যেমন মাছ, ডিম এবং ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার চুলের জন্য ভালো। শাক সবজি এবং ফল ও খেতে হবে প্রচুর। পেটের সমস্যা থেকে অনেক সময় চুল পড়ে, তাই সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

মাথায় শ্যাম্পু তো করছেন কিন্তু ঠিক মতো করছেন কি? আমাদের চুলের ধরন সবার এক নয়, আলাদা। যেমন কারোর চুল রুক্ষ, কারোর চুল তৈলাক্ত কারোর চুল কোকরা তাহলে শ্যাম্পু একই ধরনের হবে কেন? চুলের ধরন আলাদা আলাদা হলে শ্যাম্পু করার ধরন ও আলাদাই হওয়া উচিত|

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ