শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

হেলিকপ্টার, প্লেন এবং রকেট তিনটিতেই নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র ব্যাবহার করা হয়েছে।

নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রে বলা হয়েছে, "প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে"। বুঝিয়ে বলি, প্রত্যেক ক্রিয়া অর্থাৎ প্রত্যেক কাজের একটি সমান ও ঠিক একই রকম বিপরীত আরেকটি প্রতিক্রিয়া আছে। 

যেমন মনে করি, একটি বাজারের ব্যাগের ওজন ২০ কেজি। অর্থাৎ ব্যাগটি ২০ কেজি ক্রিয়া করে মাটির দিকে বল নিয়ে বসে আছে। আমি ব্যাগটির উপর যদি ২১ কেজি বিপরীতমুখি বল প্রয়োগ করি, অর্থাৎ ব্যাগটি টেনে তুলি, তাহলে ব্যাগটি মাটি থেকে উপরে উঠে আসবে। কিন্তু আমি যদি ১৯ কেজি বল প্রয়োগ করতাম, তাহলে ব্যাগটি তুলতে পারতাম না, আমার কাছে ভারি মনে হতো।

তাহলে নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্র হেলিকপ্টারে কিভাবে ব্যাবহার করা হল?

একটি সাধারণ হেলিকপ্টারের ওজন ৩৩০০ থেকে ১০৬০০ পাউন্ডের মতো। তাহলে এত ওজনের একটি বস্তু আকাশে ওড়ে কি করে? হেলিকপ্টারের যে পাখা (Rotor) থাকে যার সাহায্যে হেলিকপ্টার আকাশে উড়ে তা একটি বিপরীতমুখি বল তৈরি করে। ধরি একটি হেলিকপ্টারে ওজন ৫০০০ পাউন্ড। এখন এর পাখা ঘুরার ফলে নিচের দিকে বাতাসের একটি চাপ তৈরি করবে। এবং বাতাসের চাপ বাড়তে বাড়তে এক সময় ৫০০০ পাউন্ডের বেশি চাপ নিচের দিকে দিবে। তখন হেলিকপ্টারটি মাটি ছেড়ে আকাশের বুকে উঠে যাবে।

image

চিত্রে (A) হল হেলিকপ্টারের নিন্মমুখি ওজন। (B) হল বাতাসের নিন্মমুখি চাপ আর (C) হল বাতাসের নিন্মমুখি চাপ (B) এর ফলে সৃষ্ট উদ্ধমুখি বল। 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ