বাপের মারা যাওয়ার পর,আমার মা ও ভাইবোনদের মধ্যে সম্পত্তি কি হারে ভাগ হবে।


শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Hasankic

Call

একজন পিতার যদি একজন ছেলে আর দুইজন মেয়ে থাকে তাহলে দুইজন মেয়ে যা পাবে ছেলে একাই তা পাবে। কিন্তু এই নারী নীতি যদি বাস্তবায়ন হয় তাহলে ছেলে এবং মেয়ে উভয়ই সমান অংশের ভাগ পাবে। অথচ কুরআনে সম্পূর্ণ এর বিপরীত বিধান দেয়া আছে। আর বর্তমান সরকার বলেছেন যে তাঁরা কুরআন বিরোধী কোন আইন করবেন না। পবিত্র কুরআনের সূরা নিসার ১১ নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন "আল্লাহ তায়ালা (তোমাদের উত্তরাধিকারে) সন্তানদের সম্পর্কে (এ মর্মে) তোমাদের জন্যে বিধান জারি করছেন যে, এক ছেলের অংশ হবে দুই কন্যা সন্তানের মতো, কিন্তু (উত্তরাধিকারী) কন্যারা যদি দু'য়ের বেশি হয় তাহলে তাদের জন্যে (থাকবে) রেখে যাওয়া সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ, আর (সে) কন্যা সন্তান যদি একজন হয়, তাহলে তার (অংশ) হবে (পরিত্যক্তসম্পত্তির) অর্ধেক, মৃত ব্যক্তির সন্তান থাকলে তার পিতা-মাতা প্রত্যেকের জন্যে থাকবে (সে সম্পদের) ছয় ভাগের এক ভাগ, (অপর দিকে) মৃত ব্যক্তির যদি কোন সন্তান না থাকে এবং পিতা-মাতাই যদি হয় (তার একমাত্র) উত্তরাধিকারী, তাহলে তার মায়ের (অংশ) হবে ছয় ভাগের এক ভাগ, (মৃত্যুর) আগে সে যে ওসিয়ত করে গেছে এবং তার (রেখে যাওয়া) ঋণ আদায় করে দেয়ার পরই (কিন্তু এসব ভাগ-বাটোয়ারা করতে হবে), তোমরা জানো না তোমাদের পিতা-মাতা ও তোমাদের সন্তান-সন্ততির মধ্যে কে তোমাদের জন্যে উপকারের দিক থেকে বেশী নিকটবর্তী, (অতএব) এ হচ্ছে আল্লাহর বিধান, অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা সকল কিছু সম্পর্কে ওয়াকেফহাল এবং তিনিই হচ্ছেন বিজ্ঞ, পরম কুশলী।" কুরআনের এই বিধান কে উপো করে একটি মুসলিম দেশে যে নারী নীতি হতে যাচ্ছে তা যে কেউই মেনে নেবে না তা সরকারের বোঝা উচিত। কারন কুরআন সকল মুসলমানের অন্তরের সাথে সম্পর্কিত। এই আইন বাস্তবায়ন করতে গেলে আবার হিতে বিপরীত না হয়ে যায় সেই চিন্তা সরকারের থাকা দরকার। সরকারের কেউ কেউ আবার বলছেন যে কুরআনের বিধানের সাথে এই আইন সাংঘর্ষিক নয়! অথচ তারা এর সঠিক কোন ব্যাখ্যাও দিচ্ছেন না। ইতোমধ্যে তো এই আইনের প্রতিবাদে কোন কোন ইসলামী দল হরতালেরও ডাক দিয়েছেন, এরপরও যদি সরকার সঠিক ব্যাখা না দেন তাহলে দেশে যে সমস্যা তৈরী হবে এর দায়ভার কিন্তু সরকার কিছুতেই এড়াতে পারবেন না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ