আপনি অফিসের কর্মকর্তাদের একটু ভালো করে বুঝানোর চেষ্টা করুন, তবুও তাদের আপত্তি থাকলে আপনি কষ্ট করে হলেও অফিসে যান (যদি আপনার কাজটা বসে বসে করার মত হয়), সেখানে আপনার অসহায়ত্ব দেখলে হয়তো তারা ছুটি দিতেও পারে। তবে আপনার মূল প্রশ্নের ক্ষেত্রে আমি বলবো অবশ্যই পেটের চিন্তা আগে, কিন্তু তার জন্য পা যদি মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয় তাহলে পায়ের চিন্তাই করবেন। আরেকটা বিষয়ও ভেবে দেখুন, এই চাকরীটা হারালে আপনি আরেকটা চাকরী পাবেন কি?
যেহেতু আপনি অসুস্থ তাই, সুস্থ না হয়ে অফিসে যাওয়া ঠিক হবে না। কেন না এতে করে আপনার সমস্যা আরও বাড়তে পারে, আপনার অফিসে বুঝিয়ে বলুন না মানলে আপনি পেমেন্ট ছাড়া ছুটি নিতে পারেন। তার পরও যদি চাকরিটা চলে গেলে কিছু করার নাই, কিন্তু আপনি যদি এই অবস্থায় যান তাহলে আরও বেশি সমস্যা হতে পারে, চাকুরি গেলে চাকুরি পাবেন, কিন্তু পা গেলে তো পা পাবেন না।
আফিসের বস এর কাছে একটু বিনয়ের সাথে বলুন যদি তাতেও রাজি না হয় তাহলে অফিসের সকল কর্মচারী আপনাকে একটু সাহায্য করতে বলুন।মানে সবাই যেন আপনার বস এর কাছে গিয়ে আপনার ছুটিটা মন্জুর করার জন্য একটু আবেদন করে।হয় তো তিনি এতগুলো লোকের কথা ফেলতে পারবে না।আর তাছাড়া মানুষের মন কিন্তু এত বেসি কঠিন না।উনি রাজি হয়ে যাবে বলে আশা করি।
আমাদের সমজটা এমন হয়েছে যে কেউ কারো উপর বিশ্বাস করতে চায় না। অফিসের বস হয়ত ভাবছেন আপন মিথ্যা আজুহাত দেখিয়ে কাজ ফাকি দেওয়ার চেষ্টা করছেন। আর চিন্তা করবেই বা না কেন আমরা কি সেটা করি না? হয়ত আপনি করেন না কিন্তু বেশির ভাগই করে।
যাই হোক আপনার যদি পেটটা বাচাতে হয় তাহলে আপনাকে কষ্ট করে হলেও অফিসে যাওয়া উচিৎ । কারণ পেটের চিন্তা আগে তবে অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে আপনার পায়ে কোনো আঘাত না লাগে। সেখানে যাওয়ার পর তারা আপনার অবস্থা দেখে হয়ত না আসার জন্য বলবে।
কিন্তু হুট হাট করে চাকুরী ছাড়বেন না , এতে করে আপনি আপনার পরিবার উভয়ই গভীর সমুদ্রে পড়বেন। কারণ আমাদের দেশে একটা চাকুরী পাওয়া যে কত কষ্টের সেটা একজন বেকার কে জিঙ্গেস করলেই বুঝা যায়।
মনে রাখবেন ভাই "অভাব যখন আসে ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়" কথাটা একটু তিতা হলেও সত্য।