shohanrand1

Call

 ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করে একটি ইউনিটে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য দেড় লাখ টাকা দিয়ে প্রক্সি পরীক্ষার্থী ব্যবহার করা হয়। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সি ইউনিটের মৌখিক সাক্ষাৎকার চলাকালে দ্বিতীয় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীর অসততা ধরা পড়ে। এর পর মওদুদ আহমেদ জীবন নামের ওই ছাত্রকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

 

জানা যায়, সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন ভবনে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত সি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় উত্তীর্ণদের মৌখিক সাক্ষাৎকার চলছিল। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পাওয়া মওদুদ আহমেদ জীবন সাক্ষাৎকার বোর্ডে উপস্থিত হন। এ সময় জীবনের কথাবার্তায় অসঙ্গতি লক্ষ্য করা যায়। বিষয়টি শিক্ষকদের সন্দেহ হলে তাকে নানা প্রশু করলে প্রক্সি পরীক্ষার মাধ্যমে মেধা তালিকায় স্থান পাওয়ার বিষয়টি সে স্বীকার করে।

 

জীবন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র রিপন তাকে দেড় লাখ টাকার বিনিময়ে দ্বিতীয় স্থান পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। রিপন বর্তমানে ঝিনাইদহ কারাগারে রয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে সেসহ তিন সদস্যের একটি জালিয়াতি চত্রক্র হাতেনাতে ধরা পড়ে। পরে তাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন। মওদুদ আহমেদ জীবন মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার শাহারবাড়ী গ্রামের মাসুদ পারভেজের ছেলে। তার পিতা একজন ডিশ ব্যবসায়ী।

 

সি ইউনিটের সমন্বয়কারী অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, 'ছেলেটিকে আমরা জিজ্ঞেস করেছি- সে কবে পরীক্ষা দিয়েছে, কত নম্বর পেয়েছে। কিন্তু সে একটি প্রশেুরও উত্তর দিতে পারেনি। এতে আমাদের সন্দেহ বেড়ে যায়। এক পর্যায়ে সে প্রকৃত ঘটনা স্বীকার করে।'

 

ইবি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কমলেশ শর্মা বলেন, 'ছেলেটিকে থানায় আনা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রত্রিক্রয়া চলছে।' সূত্র: সমকাল

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ