আগে তো ডি ভি ছিলো! এখন বাংলাদেশীদের জন্য তাও বন্ধ! আর ওখানে যারা পড়াশুনো করে এইচ ১ বি ভিসার জন্য আশা করছেন তারা জেনে রাখেন যে, ইদানিং এইচ ১ বি ভিসার কোম্পানী স্পন্সরশীপ পাওয়া অনেক ই কস্টকর। প্রতি বৎসর এইচ ১ বি ৬৫,০০০ ভিসা + ২০,০০০ ভিসা (যারা আমেরিকান উচ্চ ডিগ্রী নিয়েছেন তাদের জন্য সংরক্ষিত) ভিসা দেয়া হয় যা আবেদনের তুলনায় খুবই কম! অবশ্য এ কোটার বাইরেও এইচ ১ বি ভিসা আছে তাদের জন্য যারা মুলত শিক্ষা ক্ষেত্রের সাথে জড়িত। তবে বাবা, মা বা ছেলে মেয়ে যদি আমেরিকান সিটিজেন হয়ে থাকেন তবে আপনি খুব তাড়াতাড়িই গ্রীন কার্ড পেতে পারেন। ভাই বোন এর মাধ্যমে আবেদন করলেও গ্রীন কার্ড পাওয়া সম্ভব তবে তা অনেক ই সময় সাপে্ক্ষ ব্যাপার। আপনি যদি আমেরিকার গ্রাম অন্চলে হাফ মিলিয়ন ডলার বা শহর এলাকায় এক মিলিয়ান ডলার বিনিয়োগে কোনো ব্যবসা করতেন চান তবে EB-5 ভিসা পেতে পারেন। তবে এতে ১০ জন আমেরিকান নাগরিকদের জন্য স্হায়ী চাকরীর ব্যবস্হা করা বাধ্যতামূলক! তবে এতে সুবিধা হচ্ছে এতে গ্রীন কার্ড পেতে পারেন। এই ভিসা সরাসরি আমেরিকা থেকে আসবে। তবে ভিসা পাবার আরেকটা উপায় হচ্ছে E-2 ভিসা। এর মাধ্যমে আপনি ৪০,০০০-১,০০,০০০ ডলার বিনিয়োগ করে ব্যবসা করবেন। প্রতি ২ বৎসর পর পর এটা আপনাকে দেশে এসে নবায়ন করতে হবে। এতে গ্রীন কার্ড পাবার কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে পরিবার নিয়ে থাকতে পারবেন! এর জন্য আপনাকে বাংলাদেশ মার্কিন দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। সব দেশের জনগন কিন্তু এর জন্য যোগ্য নয়। তবে আমেরিকার সাথে যে কটা হাতে গোনা দেশের এ ব্যাপারে চুক্তি আছে শুধুমাত্র তারাই পারবেন আবেদন করতে। বাংলাদেশ অবশ্য তাদের মধ্যে অন্যতম! এ ব্যপার সম্বন্ধে আরো ভালো জানবার জন্য http:// www.uscis.gov এ দেখতে পারেন! এগুলো আমার ইন্টারনেট থেকে পাওয়া তথ্য। যারা ওখানে আছেন তারা আরো জানাতে পারেন সবাইকে!
উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর প্রথম পছন্দ আমেরিকা বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আমেরিকায় প্রচুর আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত বিশ্ববিদ্যালয় এবং পাশাপাশি সহজে চাকরির নিশ্চয়তা থাকায় শিক্ষার্থীরা সহজেই আমেরিকাকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বেছে নেয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও প্রতিবছর বেশ কিছুসংখ্যক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে আমেরিকায় পাড়ি জমায়। আমেরিকার উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে এসোসিয়েট ডিগ্রী, ব্যাচেলরডিগ্রী, মাষ্টার্স, পি,এইচ,ডি বা ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করা হয়। আমেরিকায় জানুয়ারী থেকে মে পর্যন্ত স্প্রিং সেমিষ্টার, মে থেকে জুলাই পর্যন্ত সামার সেমিষ্টার এবং আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ফল সেমিষ্টার এ ভর্তি কার্যক্রম চলে। কীভাবে আবেদন করবেন: আপনার কাঙ্খিত বিভাগে আবেদনপত্র জমা দেয়ার শেষ সময়সীমা প্রথমে যাচাই করুন। আবেদন ফরম ও অন্যান্য তথ্যের জন্য সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডমিশন অফিস বরাবর লিখুন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকেও আপনি আবেদন ফরম ডাউনলোড করতে পারেন। অ্যাডমিশন অফিস আপনাকে ভর্তি সংক্রান্ত সবধরনের তথ্য জানাবে। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির পদ্ধতি চালু আছে। আপনি অন্তত: ১ বছর সময় হাতে রেখে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়াটি শুরু করুন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাধারণত ৬ থেকে ৮ মাসের মধ্যে তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন।