শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
manik

Call

  কিডনিতে যে পাথর হয় সেটি আসলে এক ধরনের স্ফটিক। বিভিন্ন কারণেই কিডনিতে পাথর হতে পারে। পানিশূন্যতা, বেশি মাত্রায় মদ্যপান, বাড়তি ওজন, বংশগত ইত্যাদি কারণে কিডনিতে পাথর হতে পারে।


তবে জীবনযাপনের ধরনের কিছু পরিবর্তন কিডনির পাথর প্রতিরোধে সাহায্য করে। কিছু খাবার এড়িয়ে গেলে বা কম খেলে কিডনি ভালোভাবে কাজ করতে পারে।


বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই জানিয়েছে কিছু খাবারের কথা, যেগুলো কম খেলে বা এড়িয়ে গেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি কমে।


১. লাল মাংস

গরুর মাংসে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন। এর মধ্যে থাকা ইউরিক এসিড কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই এই খাবারটি কম খাওয়ার পরামর্শই দেন বিশেষজ্ঞরা।


২. কার্বোনেটেড ড্রিংক

নিয়মিত কার্বোনেটেড ড্রিংক খাওয়া কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। যেমন : সোডা, শক্তিবর্ধক পানীয় ইত্যাদি। এগুলো খেলে দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ হতে পারে।


৩. পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট

পরিশোধিত কার্বোহাইড্রেট যেমন : সাদা ভাত, চিনি, সাদা আটা এগুলো উচ্চ পরিমাণ ইনসুলিন উৎপন্ন করে। এই পরিশোধিত কার্বোহাইট্রেড ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন তৈরি করতে পারে। এটি একপর্যায়ে কিডনির পাথর হওয়ার আশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়।


৪. কৃত্রিম চিনি

নিয়মিত কৃত্রিম চিনি খাওয়া কিডনির কার্যক্রমকে খারাপ করে দিতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, যেসব লোক কৃত্রিম চিনিযুক্ত পানীয় নিয়মিত খান তাদের কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ে। এ ছাড়া বেশি ক্যাফেইন গ্রহণও কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।


৫. মদ্যপান

অতিরিক্ত মদ্যপান কিডনির রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। এটি কিডনির স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ব্যাহত করে এবং কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়।


৬. লবণ

লবণে রয়েছে সোডিয়াম। এটি উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই খাবারে লবণ কম গ্রহণ করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HarryPotter

Call

যারা  কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগেছেন, তারাই জানেন এই ছোট জিনিসটি কতটা ব্যথা দিতে পারে। 


গবেষণায় বলা হয়, অন্তত ১১ জনের মধ্যে একজন জীবনে কখনো না কখনো এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। আগে বলা হতো, পুরুষদের এই সমস্যা বেশি হয়। তবে নতুন কিছু গবেষণায় বলা হচ্ছে এর অন্যতম কারণ হতে পারে ওজনাধিক্য।


মূলত কিডনির ভেতরে কঠিন পদার্থ জমা হয়ে কিডনিতে পাথর তৈরি হয়। প্রস্রাবে বিভিন্ন উপাদান তরল, খনিজ এবং অম্লের ভারসাম্যহীনতার কারণে কিডনিতে পাথর হয়। কিডনিতে পাথর হওয়ার কিছু কারণের কথা জানিয়েছে হেলথ ডট কম।


১. ক্যালসিয়ামের অভাবঃ কিডনির পাথরে মধ্যে ক্যালসিয়াম থাকে। তাই একসময় খাদ্যে ক্যালসিয়াম কমানোর পরামর্শ দিতেন গবেষকরা। তবে এটা ছিল পুরোনো ধারণা। এখন বিশেষজ্ঞরা বলেন, যারা কম ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খায়, তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, আসলে পুরো বিষয়টিই হলো ভারসাম্যের। বেশিও নয়, কমও নয়, পরিমাণ মতো খেতে হবে।  


২. সবজিঃ অক্সালেট পাওয়া যায় পাতাযুক্ত শাকসবজিতে। যেমন : পুঁইশাক, বিট পালং ইত্যাদি। এই অক্সালেট ক্যালসিয়ামের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অন্ত্রে ইউরিনারি ট্যাক্ট দিয়ে বের হয়ে যায়। তবে এই অক্সালেট যদি বেশি পরিমাণে হয়, এটি পাথর গঠন করতে পারে। এর মানে এই নয় যে আপনি সবজি খাবেন না। তবে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিয়ে কম অক্সালেট-সমৃদ্ধ সবজি খান।


৩. লবণঃ বেশি লবণ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। যদি আপনার সোডিয়াম গ্রহণ বেড়ে যায়, তবে কিডনি থেকে ক্যালসিয়াম নিঃসৃত হয়। প্রস্রাবে ক্যালসিয়াম বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, একজন সুস্থ মানুষ প্রতিদিন দুই হাজার ৩০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম গ্রহণ করতে পারবেন। তবে যারা উচ্চ রক্তচাপের রোগী, তারা এক হাজার ৫০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম প্রতিদিন গ্রহণ করতে পারবেন। 


৪. বেশি মাংস খাওয়াঃ অন্যদিকে বেশি লাল মাংস (গরু, খাসি) এবং পোলট্রির মাংস খাওয়া কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সবজি এবং মাছ বেশি খায় তাদের ৩০ থেকে ৫০ ভাগ কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে।


৫. ভৌগোলিক কারণেঃ দক্ষিণ-পূর্ব ইউনাইটেড স্টেটকে সাধারণত বাইবেল বেল্ট বলা হয়। তবে ইউরোলজিস্টরা একে কিডনি স্টোন বেল্ট হিসেবে বলে থাকেন। আমেরিকান জার্নাল অব এপিডেমোলজি ১৯৯৬ সালে জানিয়েছে, যারা এই এলাকায় থাকেন, তারা কিডনিতে পাথর হওয়ার দ্বিগুণ ঝুঁকিতে থাকেন। কারণ এসব অঞ্চলে তাপমাত্রা বেশি থাকে। এর ফলে এরা প্রচুর ঘামে এবং পানিশূন্যতায় ভোগেন। যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পান করেন, তবে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকে।


৬. বংশগত কারণেঃ যদি আপনার বাবা-মা কারো এই সমস্যা হওয়ার ঘটনা থাকে, তবে আপনারও কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা থাকবে। জিনগত কারণ এখানে কাজ করে। ওজনাধিক্য এবং ডায়াবেটিস হওয়ার ক্ষেত্রেও জিনগত কিছু কারণ কাজ করে


৭. আইবিডিঃ যেসব লোকের ইনফ্লামেটরি বাউয়েল রোগ থাকে, তারা কিডনির রোগ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। ২০১৩ সালের ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব নিউরোপ্যাথির একটি গবেষণায় এই তথ্য পাওয়া যায়।


৮. ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশনঃ ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন আরেকটি কারণ কিডনিতে পাথর হওয়ার। কেবল কিডনিতেই পাথর হয় না, ইউরিনারি ট্রাক্টেও পাথর তৈরি হতে পারে। 


৯. মাইগ্রেনের ওষুধঃ টপিরামেট জাতীয় (এটা টোপাম্যাক্স হিসেবে পাওয়া যায়) ওষুধ কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি বাড়ায়। এগুলো সাধারণত মাইগ্রেনের রোগে ব্যবহার করা হয়। ২০০৬ সালের আমেরিকান জার্নাল অব কিডনি ডিজিজের প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা যায়, টপিরামেট ইউরিনারি ট্র্যাক্টে পিএইচের পরিমাণ বাড়ায় যেটা কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার জন্য দায়ী। তাই এ ধরনের ওষুধ খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 


১০. ওজনঃ ২০১১ সালের জার্নাল অব ইউরোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়, পাতলা লোকদের থেকে ওজনাধিক্য নারীরা ৩৫ শতাংশ বেশি কিডনির পাথর হওয়ার ঝুঁকিতে থাকেন। বেশি ওজন ইউরিনারি ট্র্যাক্ট পরিবেশকে পরিবর্তন করে, যা কিডনির পাথর হওয়ার প্রক্রিয়া বাড়ায়। প্রস্রাবের পিএইচের মাত্রাকে পরিবর্তন করে, যা ইউরিক এসিড তৈরি করে এবং কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ