আমার মায়ের মাথার চুল এখন স্বাভাবিক এর তুলনায় বেশি চুল ঝরে যায় । এক বার আড়ালে অনেক চুল চিরুনি তে চলে আসে । এতে কি করণীয় হতে পারে ...? যাতে এই সমস্যার পুনরাবৃত্তি না ঘটে ।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

http://www.ruplabonno.com/wp-content/uploads/2014/12/hair-fall-and-food-300x167.jpg চুল পড়া রোধ করতে প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কী কারণে আপনার চুল পড়ছে। কারণটা খুঁজে বের করে আগে সেই সমস্যার সমাধান করতে হবে। তখন আপনা-আপনিই চুল পড়া বন্ধ হবে। চুল পরা রোধ করনীয় চুল পড়া রোধ করতে হলে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নিজে নিজে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিচে চুল পড়া রোধের কিছু টিপস দেওয়া হলো- ১।ধূমপান ত্যাগ করুন।এর কারনে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় , রক্ত নালিকাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় । এর কারনে চুল পড়া বেড়ে যায় এবং চুল বাদামি বর্ণ ধারন করে । ২। অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না। চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী, তাই মাত্রাতিরিক্ত চা, কফি পান করবেন না। ৩। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। আয়রনের অভাবে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে। ৪। ভিটামিন-ই চুল পড়া রোধে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী, তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খান। ভিটামিন-ই চুলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় যা চুল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি চুল পড়া রোধ করে। ভিটামিন-ই এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্ষতিকারক ফ্রি র্যাডিকেল অপসারণের মাধ্যমে স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে। নাশপাতি, বাদাম ও জলপাই তেলে প্রচুর ভিটামিন-ই থাকে। অন্যদিকে ভিটামিনের সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি। ৫। স্বাস্থ্যকর খাবার বা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল গজাতেও সহায়তা করে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবারও পরিহার করুন। ৬। ওমেগা- থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে খুব কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এই উপাদানটি থাকে। তবে আমাদের দেশে এসব স্যামন, ম্যাকারেল মাছ পাওয়া যায় না। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড তিসির তেলে পাওয়া যায়। আর এই তেল পাবেন স্থানীয় বাজারেই। মনে রাখবেন, এই তিসির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয় অথবা রান্নায় ব্যবহার করার জন্যও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ তিসির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসতে পারে। এছাড়া প্রচলিত চুল সুরক্ষার তেল ব্যবহার করার মাধ্যমেও চুলের প্রতি যত্নশীল হোন। ৭। নতুন চুল গজাতে উদ্দীপনা দেবার জন্য প্রতি সপ্তাহে চুলের ত্বক ম্যাসেজ করুন। ৮। চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত আচরানো পরিহার করুন। গরম পানি, ড্রায়ার বা এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা চুলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে। ৯। চুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। ১০। পর্যাপ্ত ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HarryPotter

Call

দুটি পদ্ধতির কথা বলবো আমি যা উপকারী---- চুলের গোঁড়ায় হেয়ার ফলিকল থাকে। ভাইব্রেশনের মাধ্যমে যদি ফলিকল উদ্দীপিত করা যায় তবে নতুন চুল গজানো সম্ভব। বাজারে ভাইব্রেটিং ম্যাসেজার কিনতে পাওয়া যায়। এর সাহায্যে আপনি স্ক্যাল্পে চক্রাকারে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মাথায় ভাইব্রেটিং ম্যাসাজ নিতে পারেন। যে জায়গায় বেশি চুল পড়ে যাচ্ছে, তাতে বেশি মনোযোগ দিন। এভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট আপনার স্ক্যাল্প ভাইব্রেট করুন। ভালো ফল পেতে এটাও আপনাকে দিনে ৩ বার করতে হবে। আরেকটি পদ্ধতি হল মেডিকেশন । চুলের জন্য ওষুধ। অনেক গবেষণার পর ফেনাস্টেরাইড আর মিনোক্সিডিল নামের দুটো ওষুধ চুল গজানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। দুটি ওষুধের-ই সাইড ইফেক্ট আছে। মিনোক্সিডিল এর দুইটা কনসেনট্রেশন পাওয়া যায়। ২% আর ৫%। ২% মিনোক্সিডিল মেয়েদের জন্য আর ৫% মিনোক্সিডিল ছেলেদের জন্য। এটা বাজারে জেনোগ্রো নামে পাওয়া যায়। স্প্রে করে মাথার স্ক্যাল্পে দিতে হয়।খাদ্যাভ্যাসঃ ০১. প্রোটিনঃ পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন – আমাদের চুল মূলত কেরাটিন দিয়ে গঠিত। এটি অ্যামিনো এসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। তাই নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন। তবে নন-ভেজিটেরিয়ান খাবারে প্রোটিনের পরিমাণ তুলনামূলক বেশি। ০২. আয়রন আর জিঙ্কঃ আয়রন আর জিঙ্ক আপনার মাথার কোষে অক্সিজেন পরিবহন করে নিতে সহায়তা করবে আর নতুন টিস্যু তৈরিতে এবং ক্ষয়রোধে সহায়তা করবে। পরিমিত পরিমাণে আয়রন আর জিঙ্ক নতুন এবং দ্রুত চুল গজানোর জন্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান। ০৩. ভিটামিন সিঃ পেয়ারা, লেবু, কমলা, আনারস, কামরাঙা, কাঁচা মরিচে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। আপনার চুলের বৃদ্ধি এবং গজানোর জন্য সহায়ক। ০৪. কালোজিরাঃ কালোজিরা নতুন চুল গজানোর জন্যে সহায়ক। মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করা আর খাবারে কালোজিরা ব্যবহার খুব ভালো ফল দেয়।এই পদ্ধতি ছাড়াও আপনাকে খাদ্যাভ্যাস আর কিছু সাধারণ যত্ন নিতে হবে। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

চুল পরার একটা স্বাভাবিক স্কেল আছে। দৈনিক যদি ১০০ টা চুল পরা টা স্বাভাবিক কারণ এসব ঝরে পরে আবার নতুন চুল ওঠে তবে নিশ্চিত করতে হবে চুল নতুন গজাচ্ছে কিনা l ১০০ টার বেশি চুল পড়লে সেটা ভয়াবহ ধরনের খারাপ l এর জন্যে জেন্টস পার্লার থেকে হেয়ার ট্রিটমেন্ট নিতে পারেন । বাসায় করতে চাইলে মেতি, আমলকির রস, টকদই, ডিম, কলা একসাথে পেস্ট করে সপ্তাহে ২ দিন দিতে পারেন পরে অবশ্যই ভালো করে শ্যাম্পু করতে হবে l আর গরম তেল ভালো করে ম্যাসেজ করতে পারেন l এটি নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুব ই উপকারী

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

চুল পড়া বর্তমান সময়ের একটি খুব সাধারণ কিন্তু ভয়াবহ সমস্যা হিসেবে দেখা দিয়েছে। তবে এটা যে কেবল নারীদের সমস্যা তাই নয়। অল্প বয়সে মাথার চুল পড়ে যাওয়া ছেলেদের জন্য ভীষণ দুশ্চিন্তার একটি কারণ। কেনোনা বয়সের সাথে সাথে মাথার চুল কমে আসা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া হলেও টিনেজার বা কিশোর ছেলেদের মাথায় টাক পড়তে দেখা একটি অন্যতম বিব্রতকর ও যন্ত্রণাদায়ক ব্যাপার। চুল পড়ার জন্য অনেকাংশে দায়ী থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ। রক্তস্বল্পতা, ওজন কমানোর জন্য খাওয়াদাওয়া একদম কমিয়ে দেওয়াও চুল পড়ার কারণ হতে পারে। সুষম খাবারের বদলে অতিরিক্ত ফাস্টফুড, চকলেট ইত্যাদি খেলে প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি হয়েও চুল পড়ে যেতে পারে। ছেলেদের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাকব্রাশ করে চুল আঁচড়ালে সাধারণত কপাল চওড়া হয়ে থাকে। ব্যাকব্রাশ করার কারণে অনেকের মাথায় টাক পড়তেও দেখা যায়। আসুন জেনে নিই কি উপায়ে ছেলেদের চুল পড়া সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। চুল পরিষ্কার রাখা চুল পড়ার অন্যতম কারণ হতে পারে আপনার নিয়মিত চুল পরিষ্কার না করার বাজে অভ্যাস। চুল পড়া রোধে নিয়মিত চুলের যত্ন নিন। নিয়মিত চুল না ধুলে মাথার ত্বকে ময়লা জমে খুশকির জন্ম হয় যা কিনা চুল পড়ার অন্যতম কারণ। আর খেয়াল রাখুন চুল ধোয়ার জন্য আপনার ব্যবহার করা শ্যাম্পু যেন অবশ্যই হালকা হয়। পর্যাপ্ত পরিমাণ প্রোটিন গ্রহণ করা আমাদের চুলের গঠনের অন্যতম উপাদান হল কেরাটিন, যা কিনা অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি এক ধরণের প্রোটিন। নতুন চুল গজানোর জন্যে অবশ্যই আপনার শরীরকে পর্যাপ্ত অ্যামিনো এসিড সরবরাহ করতে হবে। মাছ, মাংস, পনির, দুধ, ডিম – আপনার খাদ্য তালিকায় প্রতিদিনই এগুলোর অন্তত একটি রাখার চেষ্টা করুন। সয়াবিন, মটরশুঁটি, কলা, বাদাম ইত্যাদি থেকেও পেতে পারেন এ উপাদান। মনে রাখবেন ভেতর থেকে পুষ্টি না সরবরাহ করতে পারলে বাইরের কোন কিছুই আপনাকে চুল পড়া থেকে রক্ষা করতে পারবেনা। ভিটামিন ভিটামিন কেবল মাত্র আমাদের দেহের সুস্থতার জন্যই জরুরী নয় বরং আমাদের চুলের জন্য ও এটা ভীষণ জরুরী। ভিটামিন- এ মাথার ত্বক থেকে উপকারি সিরাম সরবরাহ করে আর ভিটামিন এ মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। তাই চুল পড়া রোধ করতে চাইলে আগে সবার আগে নিশ্চিত করুন আপনার শরীর যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন পায়। জিঙ্ক ও আয়রন গ্রহণ জিঙ্ক আর আয়রন আমাদের মাথার ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সবচেয়ে বেশী ভূমিকা রাখে। আর মাথার চুল পড়ে যাওয়ার জন্য দায়ী কারণ গুলোর একটি হলম মাথার ত্বকে অক্সিজেনের সল্পতা। তাই চুল পড়া বন্ধ করতে জিঙ্ক আর আয়রন বেশী বেশী গ্রহণ করুন। যেমন মটরশুঁটি, বাদাম, কলিজা, মাংস, দুধে আপনার প্রয়োজনীয় জিংক আর আয়রন বিদ্যমান। আপনি আপনার খাবার তালিকায় এই খাবারগুলো রাখতে ভুলবেন না। পানি চুল পড়ার জন্য দায়ী কারণ হিসেবে প্রতীয়মান হতে পারে আপনার শরীরের পানি ঘাটতি বা কম পানি পান করার প্রবণতা। চুল পড়া রোধ করতে চাইলে সবার আগে শরীরকে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করুন। আপনার এই ছোট্ট চেষ্টা টুকুই চুল পড়া কমিয়ে তুলবে। তেল ম্যাসাজ চুল পড়া কমাতে আপনার জন্য আরও একটি কার্যকরী টিপস হলো চুলে তেল ম্যাসাজ করা। দিনে কিছুটা সময় নিয়ে আপনার মাথায় এসেন্সিয়াল অয়েল যেমন বাদাম তেল, অলিভ অয়েল বা নারিকেল হালকা ম্যাসাজ করুন। এতে মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে ও চুল পড়ার পরিমাণ কমে আসবে। ভেজা চুল না আঁচড়ানো যাদের চুল পড়ার পরিমাণ বেশী তাদের জন্য একটাই পরামর্শ তা হল ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। ভেজা অবস্থায় চুল ভীষণ দুর্বল থাকে আর অল্প একটু টান পড়লেই চুল গোঁড়া থেকে উঠে আসে। তাই চুল আগে ভালভাবে শুকিয়ে তারপর আঁচড়ান। আর চেষ্টা করুন বড় দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করা। পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের রস চুল পড়া প্রাকৃতিক উপায়ে বন্ধ করতে চাইলে পেঁয়াজ, আদা ও রসুন এই তিন উপাদানের যে কোন একটি বেছে নিন চুলের যত্ন করার জন্য। আপনি চাইলে শুধুমাত্র পেঁয়াজের রস নিয়ম করে চুলে লাগিয়েই উপকার পেতে পারেন। গ্রিন টি চুল পড়ার বিরুদ্ধে আপনার খুব কাজের অস্ত্র হিসেবে আপনার সাহায্য করতে পারে গ্রিন টি। গ্রিনটির দুইটি টি- ব্যাগ এক কাপ পরিমাণ পানিতে ফুটিয়ে ফুটন্ত পানি ঠাণ্ডা করুন। এরপর এই ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়া পানিটুকু আপনার চুলের গোড়াসহ সারা চুলে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন এবং পড়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে একবার এই পদ্ধতি অবলম্বন করুন। মেথি চুল পড়া বন্ধ করতে মেথি আপনার উপকারে আসতে পারে। ১ টেবিল চামচ মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে উঠে বেঁটে তা মাথায় লাগান। হালকা ম্যাসাজ করে আধাঘণ্টা পর চুল ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন চুল পড়ার পরিমাণ কমে আসছে। নিমপাতা চুল পড়া বন্ধ করতে নিমপাতার জুড়ি নেই। তাজা নিমপাতা নিয়ে বেঁটে তাতে সামান্য অ্যাপেল সিডার ভিনেগার মিশিয়ে মাথায় লাগান। কিছুক্ষণ পর হালকা কোন শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়তে ফেলুন। সপ্তাহে এক থেকে দুইবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করলে চুল পড়া কমে আসবে। কালোজিরা মাথায় নতুন চুল গজাতে কালোজিরার তুলনা হয়না। এখন বাজারে হরহামেশাই কালোজিরার তেল কিনতে পাওয়া যায়। আপনি চাইলে মাথায় কালোজিরার তেল ব্যবহার করতে পারেন আবার ইচ্ছে করলে কালোজিরা খেতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
BidhanDey

Call
আপনি  কিছু সহজ কাজ করে দেখতে পারেন, আপনি  প্রতি সপ্তাহে  দুইবার চুলে ক্লিয়ারম্যান দিয়ে শ্যাম্পু করুন। পরে পিয়াজের রস দিন গোসলের পরে, এভাবে প্রতিদিন পিয়াজের রস দিবেন, পরে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ১৫ থেকে ১মাস ব্যাবহার করুন।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি পাঁচ থেকে সাতদিন মেহেদি পাতা পিষে পুরো মাথায় লাগিয়ে দিন। এতে আপনি ভাল ফলাফল পাবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

চুলপড়া সমস্যা যে শুধু শারীরিক সমস্যার কারণে হয় তাই নয়, যথাযথ পরিচর্যার অভাব এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের অভাবেও পুরুষ ও মহিলাদের চুল পড়ে। শারীরিক সমস্যা যেমনঃ থাইরয়েড গ্রন্থির সমস্যা, টাইফয়েডসহ কিছু রোগ-ব্যাধি, শরীরে ইনজেকশন, মাথায় খুশকি ও চর্মরোগ, দীর্ঘমেয়াদী এন্টিবায়োটিক সেবন, মহিলাদের হরমোন ট্যাবলেট সেবন, নারী-পুরুষের শরীরে একটি বিশেষ হরমোনের আধিক্য (এন্ড্রোজেনেটিকে এলোপেসিয়া), মাত্রাতিরিক্ত দুশ্চিন্তা, হতাশা, পিতা-মাতার চুল পড়ার সমস্যা ইত্যাদি নানা কারণে চুল পড়তে পারে। এছাড়া বিবাহিত মহিলাদের সন্তান ধারণের সময়ও চুল পড়তে পারে। যদি চুল পড়ার প্রকৃত কারণ সনাক্ত করে চিকিৎসা ও প্রতিকারের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে অবশ্যই চুলপড়া সমস্যা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। তবে মনে রাখতে হবে চুলপড়া সমস্যার তাৎক্ষণিক কোন চিকিৎসা ও প্রতিকার নেই। ক্ষেত্রবিশেষ চুলপড়া সমস্যা রোধের জন্য ৬ মাস থেকে ১ বছর পর্যন্ত সময় লাগে। এছাড়া চুলপড়া রোধ ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে হাতেগোনা মাত্র দুই-চারটি ওষুধ বের হয়েছে মাত্র। মনে রাখতে হবে চুলপড়া সমস্যা রোধে শুধু ওষুধই একমাত্র পন্থা নয়। চুলের পরিচর্যা, স্বাস্থ্যসম্মত জীবন-যাপন এবং চুলবান্ধব আহারের মাধ্যমে চুলপড়া অনেকখানি রোধ করা যায়। আমি প্রায় ক্ষেত্রে লেখার সময় দুই-একটা উদাহরণ দিয়ে থাকি। আজো একটা উদাহরণ দেবো। আমি তিনজন সুপার স্পেশালিস্টের তত্ত্বাবধানে চুলপড়া সমস্যার চিকিৎসা ও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সম্পর্কে খানিকটা জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ পাই। আমি আগেও উল্লেখ করেছি এরা হলেন আমেরিকার বিখ্যাত হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন ডাঃ বার্নার্ড কোহেন ও ট্রাইকোলজিস্ট ডাঃ উলারি এবং সিঙ্গাপুরে ডাঃ লি। ডাঃ কোহেন বয়সে প্রায় আমার দেড়গুণ বড়। কিন্তু হ্নদয়ের দিক থেকে আমার চেয়েও কোমল। মায়ামির অপরূপ নৈসর্গিক অভিজাত এলাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে ডাঃ কোহেনের ডাক্তারী চেম্বার। অন্যরকম ব্যাপার। হোটেলটির একটি ফ্লোর ডাক্তারদের চেম্বার হিসেবে ভাড়া দেয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, মায়ামি হার্ট ইনস্টিটিউটের একটি ফ্লোরে রয়েছে লেসার ও কসমেটিক সেন্টার। আমি আমেরিকার ডাঃ উলারি ও সিঙ্গাপুরের ডাঃ লি-এর প্রসঙ্গে আলোচনা আর একদিন করবো। শুধু বার্নার্ড কোহেনের একটি কথা বলতে চাই। ডাঃ কোহেন আমেরিকার প্রখ্যাত হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট এন্ড ডার্মার্টো সার্জন। ক্যারিয়ার শুরু করেন ডার্মাটোলজিস্ট হিসেবে। প্রতিদিন ৪/৫টার বেশি রোগী দেখেন না। প্রতিদিন দুইটি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করেন। এই হচ্ছেন ষাটোর্ধ্ব বিশেষজ্ঞ ডাঃ কোহেন। আমাকে প্রায়ই বলতেন রোগীদের কখনো চুল নিয়ে কোন গ্যারান্টি দেবে না। চিকিৎসার পাশাপাশি চুলের পরিচর্যা, খাবার-দাবার এবং শৃঙ্খল জীবন-যাপনের পরামর্শ দেবে। ডাঃ কোহেন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ডার্মাটোলজির ভলান্টারি প্রফেসর। আমি ডাঃ কোহেনের পরামর্শ অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করি। আমি রোগীদের কখনো আশার বাণী শুনাই না। আমি চুলপড়া সমস্যাকে কোন রোগের পর্যায়ে বিবেচনা করতে চাই না। তবে চুলের পরিচর্যা এবং যথাযথ খাদ্য তালিকা অনুসরণ করেও বহুক্ষেত্রে চুলপড়া সমস্যা রোধ করা যায়। চুলের পরিচর্যার বিষয়টি আর একদিন আলোচনা করবো। আজ শুধু চুলের জন্য সহায়ক খাবার নিয়ে লিখতে চাই। চুলের সহায়ক খাবার রান্নাঘর থেকেই শুরু করুন। মনে রাখতে হবে সবুজ শাক-সবজির মাইক্রো নিউট্রিয়েন্টস বা পুষ্টি উপাদান চুলের জন্য খুব উপকারী। শাক-সবজি কখনো অধিক ফুটিয়ে রান্না করবেন না। এতে ভিটামিন ও প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান নষ্ট হয়ে যায়। খাবারে লবণ কম খাবেন। লবণ মাথার ত্বকের কোষে পানি জমে থাকতে সাহায্য করে। মাথার ত্বকের কোষে পানি জমে থাকলে চুলের গোড়া নরম হয়ে অধিক চুল পড়তে সাহায্য করে। গরীব-মধ্যবিত্তের চুলের সহায়ক খাবার হচ্ছে সবুজ শাক-সবজি। দেশীয় ফল-মূল, প্রচুর পানি পান, প্রোটিন যেমন- প্রতিদিন একটা করে ডিম খাওয়া ইত্যাদি। তবে সামর্থøবানরা আঙ্গুরের রস (গ্রেপ ফ্রুইট ককটেল), আলু, বাঁধাকপি, মিক্সড সালাদ, কলা, মুরগির মাংস, ডিম খেতে পারেন। ইটিং ফর হেয়ার পলিসিঃ যা খাবেনঃ কম চর্বিযুক্ত খাবার যেমন-কম চর্বির চিজ, মাছ, মুরগি, রেড মিট, ডিম, দই, বাদামী চালের ভাত, বাদাম, তাজা ফল ও শাক-সবজি, গ্রীন সালাদ, হোলমিল ব্রেড এবং সিরিয়াল, মাখন নেই এমন দুগ্ধ ইত্যাদি। যা খাবেন নাঃ আইসক্রিম, পেস্ট্রি কেক, লবণ, ফাস্টফুড, জাংক ফুড, চিনি, পশুর চর্বি, বাটার, ক্রিম, অধিক চর্বিযুক্ত চিজ, হুয়াইট ব্রেড ও ময়দা, ভাজা ও প্রক্রিয়াজাত খাবার, চকলেট এবং হোল মিল্ক ইত্যাদি। পাশাপাশি ধূমপান সম্পূর্ণরূপে পরিত্যাগ করতে হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ