হযরত ইবরাজ ইবনে সারিয়া হতে বর্ণিত হযরত (সা:) ইরশাদ করেন, "তোমাদের মধ্যে যারা (আমার পরে) বেঁচে থাকবে,তারা অনেক মত পার্থক্য দেখতে পাবে। অতএব তোমাদের ওসিওত করছি, তোমরা আমার সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদিনের সুন্নাতকে একমাত্র মেনে চলবে। আমার সুন্নাতকে দাত দিয়ে আকড়ে ধরে থাকবে। তোমরা নব আবিস্কৃত কোন বস্তু থেকে দূরে থাকবে, কেননা প্রত্যেক বিদায়াতই পথভ্রান্ত"। মুসলিম শরিফে এক রিওয়ায়েতে বলা হয়েছে: প্রত্যেক পথভ্রান্তরাই জাহান্নামি। (আহমদ,আবু দাউদ, তিরমিজী, ইবনে মাজাহ ও মিশকাত শরীফ,পৃসঠা-২৯-৩০) মাইক তথা যান্ত্রিক ইবাদাত দ্বীনের ক্ষেত্রে নতুন সৃস্টি নয় কি? সুপ্রতিশঠিত সুন্নাত, মুকাব্বির, মিনারা ইত্যাদির মাইক বিদায়াত নয় কি? তাছাড়া আল্লাহ পাক পবিত্র কোরানে বলেছেন "আর তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং তার ইবাদাতে অন্য কোন কিছুকে শরিক করোনা। (সুরা নিসা- ৩৬) পবিত্র কোরানের এই আয়াতমতে ইবাদাত মাইক নামক বস্তুটি শরিক করার দ্বারা কি শিরক করা হলো না?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্কর, এ কথাটা কেনো বলা হয় জানেন তো!!!??? কখনো শুধু একটা দুইটা হাদীস দিয়ে ইসলামের কোনো ব্যাপারে সিদ্ধান্তে আসা যায়না। পবিত্র মক্কা থেকে শুরু করে পুরো পৃথীবি জুড়ে ইবাদতের জন্য মাইকসহ বিভিন্ন আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে। উক্ত হাদীসে নব আবিষ্কৃত বস্তু বলতে যে সকল নতুন বস্তুকে বোঝায় সেরকমটা ভাবা কিন্তু বোকামি। এখানে সেসব বস্তুকে বোঝানো হয়েছে যেগুলো ইবাদতের ধরনে ও নিয়মে পরিবর্তন করতে পারে। আর ইবাদতে অন্য কিছু শরীক না করা বলতে অন্য কারো বা কিছুর নামে বা উদ্দেশ্যে ইবাদত না করাকে বুঝানো হয়েছে। আর আপনি যদি আপনার মতের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকতে চান তাহলে শুধু মাইক না, হাতে লেখা কুরআন পড়ুন, হেটে হেটে হজ্জ্ব করতে যান, মসজিদে লাইট না জ্বালিয়ে প্রদীপ জ্বালান, মোবাইলে ইসলামিক কিচ্ছু শোনা থেকে বিরত থাকুন এরকম যত্তগুলো বিষয় আছে সেগুলো মেনে চলুন। কি মনে হয়? এটা কি ঠিক মনে হবে????? ইসলাম একমাত্র গতিশীল ধর্ম, সময়ের আবর্তনে যা কখনোই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়না। ইজমা, কিয়াস ইত্যাদি বিধি বিধানের মাধ্যমে ইসলামে যেকোনো নতুন বিষয়ের সংযোজন, পরিবর্তন, পরিবর্ধন করার অনুমতি রয়েছে। স্বল্প জ্ঞান দিয়ে ইসলামের হালাল হারাম, জায়েজ নাজায়েজ ইত্যাদি বুঝতে যাবেননা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

“আমি আপনার উপর এ কোরআন অবতীর্ণ করেছি যেটি এমন যে, তা প্রত্যেক বস্তুর বর্ণনা, হিদায়াত, রহমত এবং মুসলমানদের জন্ন সুসংবাদ”।(আল কোরআন, সুরা-নাহল, আয়াত-৮৯)। উক্ত আয়াতের তাফসিরে উল্লেখ রয়েছে, “ পৃথিবীর মধ্যে এমন কোন বস্তু নেই যা আল্লাহর কোরআনে উল্লেখ করা হয় নি। পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল সৃষ্টির জ্ঞানসমূহ পবিত্র কোরআনের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে।(কানযুল ইমান খাযাইনুল ইরফান, পাতা-৪৯৮, উর্দু, বোম্বাই, ভারত)। উল্লেখিত আয়াতে নিশ্চিত ভাবে প্রমানিত হল যে, মাইকের তথা যান্ত্রিক ইবাদাত জায়েজ বা নাজায়েজ সম্বন্ধে অবশ্যই অবশ্যই থাকবে। চাই প্রত্যক্ষ ভাবে থাকুক আর পরোক্ষ ভাবে থাকুক। “আর যখন কোরআন পাঠ করা হয় তখন তাতে কান লাগিয়ে শুন এবং নিশ্ছুপ থাক যাতে তোমাদের উপর রহমত হয়”। (আল কোরআন, সুরা-আরাফ, আয়াত-২০৪)। উক্ত আয়াতের তাফসিরে বলা হয়েছে, “ কোরআন পাঠ করার সময় দুটো কাজ ফরয, কান লাগিয়ে শোনা, এবং চুপ থাকা। যেখানে লোকজন শোয়ায় অথবা নিজ নিজ কাজকর্মে বেস্ত রয়েছে ওই সমস্ত স্থানে কোরআন তিলাওয়াত করবে না, কারন এতে লোকজনের কাজকর্মের ক্ষতি হবে উপরন্তু যারা চুপ রয়বে না তারা গুনাহগার হবে”। (তাফসির এ রুহুল মানি)। এই কারনে মাইকের সাহায্যে তারাবির নামায, সবিনা ইত্যাদি কখনও পড়া যাবে না। কেননা মানুষ নিদ্রা না যাওয়ার দরুন অসুস্ত হয়ে পড়বে। তা ছাড়া মাইকের ধ্বনি বিকৃত হওয়ার কারনে খারাপ আওয়াজের সৃষ্টি হয় (যা কোরআনের শানের বেইজ্জতি হয়)। মাইকের তিলাওয়াত সেজদার আয়াত সমস্ত শহরবাসি শ্রবণ করে কিন্তু কেও সেজদা আদায় করেন না। এই যে (আল্লাহর হুকুম) ফরয লঙ্ঘন করা হচ্ছে তা কত বড় জঘন্য গুনাহ চিন্তা করে দেখুন। (তাফসিরে নইমি, ৯ম খণ্ড, পৃষ্টা-৫১৬, লাহোর, পাকিস্তান)। ঠিক একই কথা সমর্থন করে তাফসিরে মারেফুল কোরআন লিখেছে, “নিরবতার সাথে কোরআন শ্রবণ করা ওয়াজিব, হৈ হুল্লোড় করা কাফেরদের অভ্যাস- আজকাল রেডিওতে কোরআন তিলাওয়াত করা হয় এবং প্রত্যেক হোটেল ও জনসমাবেশে রেডিও খুলে দেওয়া হয়। হোটেলের কর্মচারীরা তাদের কাজকর্মে এবং গ্রাহকেরা খানাপিনাই মশগুল থাকে। ফলে দৃশ্যত এমন পরিবেশের সৃষ্টি হয়ে যাই যা কাফেরদের আলামত ছিল। (তাফসিরে মারেফুল কোরআনের সংখিপ্ত তাফসির,পৃষ্টা-৫১২ ও ১২০৪)। উল্লেখিত তাফসিরে নইমিতে স্পষ্টভাবে “মাইকের নামায ও তিলাওয়াতে কোরআনকে ফরয লঙ্ঘন এবং জঘন্যতম গুনাহ” এবং মারেফুল কোরআনে রেডিওতে কোরআন তিলাওয়াতের সময় পরিবেশকে কুফরের আলামত বলে ঘোষণা করেছে। ফতওয়ায়ে আলামগিরিতে বলা হয়েছে, “ হাটে বাজারে বেহুদা গালগল্পের মাজলিশে কোরআন তিলাওয়াত করাতে কোরআনের বেইজ্জতি হয়। জেনেশুনে শোরগোল বা পাপের মাজলিশে কোরআন শুনালে তিলাওয়াতকারী গুনাহগার হবে। (ফতওয়ায়ে আলামগিরি, ৫ম খণ্ড, পৃষ্টা-৩২৭)। আত তাহতাবিতে বলা হয়েছে, “ কোরআন তিলাওয়াতকারীর জন্য কোরআনের সম্মান রক্ষা করা অবশ্যই কর্তব্য। অতএব বাজারসমূহ এবং এমন স্থানে উচ্চস্বরে কোরআন তিলাওয়াত করা সম্পূর্ণ অবৈধ, যেখানে লোকজন অন্য কাজে বেস্ত, এ সকল স্থানে কোরআন তিলাওয়াত করা হলে পাঠক কোরানকে বেইজ্জতি করার কারনে গুনাহগার হবে। কর্মবেস্ত লোকজন গুনাহগার হবে না কেননা কর্মবেস্ত লোকজন তাদের কাজকর্ম ত্যাগ করলে ক্ষতির সম্মুখীন হবে। (আত তাহতাবি, পৃষ্টা-১২৪, মিসর)। তাহলে সকালে রেডিওতে কোরআন তিলাওয়াততের পর গীতা পাঠ করা আর টিভি তে আযানের পর উলঙ্গ নৃত্য প্রদর্শন বুঝি কোরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন নাকি বেইজ্জতি করা? অবশ্যই কোরানকে বেইজ্জত করা। আর ইস্লামের রায় হল কোরআনের বেইজ্জতকারি বেইমান কাফির। (তাফসির এ ইবনে কাসির, হিদায়া, ও রদ্দুল মুহতার) “আর স্বীয় নামায খুব উচ্চস্বরে পড়বে না এবং চুপে চুপে পড়বে না, বরং উভয়ের মধম্পন্থা অবলম্বন করো। (সুরা-বনি ইস্রাইল, আয়াত-১১০)। এ আয়াতের তাফসির করতে গিয়ে প্রখ্যাত তাফসিরে নুরুল ইরফানে স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা দিচ্ছে, “এ কারনে বা এ আয়াত দ্বারা মাইকে নামায পড়া নিসেদ। কেননা এ দ্বারা প্রয়োজনের অতিরিক্ত আওয়াজ বের হয় যা নামাজের মধ্যে নিষিদ্ধ। (কানযুল ইমান নুরুল ইরফান,পৃষ্টা-৪৬৭, ৫নং পার্শ্ব টিকা, উর্দু, লাহোর, পাকিস্তান)। বিশ্ব ইসলাম মিশন কোরআন সুন্নির প্রেসিডেন্ট সইয়েদ আহমদ চোঃ এ আয়াতের ব্যাখ্যাই লিখেছেন, “অতএব নামাযে মাইকের ব্যাবহার আল্লাহপাকের পরিষ্কার নির্দেশের বিরুদ্ধে আচরণ। এবাদাত কথাটির অর্থ হল দাসত্ব। দাসের কাজ হল মনিবের হুকুম তামিল করা। আল্লাহ বলেন, “হে আমার বান্দা চড়া আওয়াজে নামায পরিও না এবং স্বাভাবিক মধ্যম গলার আওয়াজে নামােযর কিরাত পড়বে। আপনি তা মানলেন না বরং একটা মাইক লাগিয়ে কেরাতকে অস্বাভাবিক ভাবে চড়িয়ে দিলেন। এখন আপনি কি এ কাজের দ্বারা আল্লাহপাকের হুকুম পালন করলেন, না বিরোধিতা করলেন? আপনি নিজেই বিচার করুন। অতএব নামাযে মাইক ব্যাবহার করলে এবাদাত হয় না বরং আল্লাহ পাকের নাফরমানি হয়।কুফর কথাটির অর্থ হল নাফরমানি, আদেশ অমান্য, অবাধ্যতা যা ছিল ইবলিশের আচরন।আল্লাহ পাকের আদেশ হয়েছিল আদমকে সেজদা কর। সবাই করল কিন্তু ইবলিস তা করল না। তাই আল্লাহ পাক বললেন, সে অমান্য করিল এবং অহংকারি হইল- অতএব সে কাফেরদের অন্তর্গত হইল। (সুরা-বাকারা, আয়াত-৩৪)কুফরির মুল কথা হচ্ছে অবাধ্যতা। নামাযে মাইক ব্যাবহারে দেখা যাচ্ছে আল্লাহপাকের অবাধ্যতা। তাই বলছি নামাযে মাইক ব্যাবহার মুলত কুফরির শামিল। (নামায ও অন্যান্য ইবাদাতে মাইক ব্যাবহার, দ্বিতীয় সংস্করণ, ২৯ এপ্রিল, ১৯৮৪,পৃষ্টা-২১-২২) মাসজিদের ভেতরে আযান দেওয়া মাকরুহ (ফাতহউল কাদির, ১ম খণ্ড,পৃষ্টা-৪১৪, মিসর। ফত্বাহে তাহতাবি, ১ম খণ্ড, পৃষ্টা-১৬৮। বাহ্রুর রাইক, ১ম খণ্ড, পৃষ্টা-৪৬৮, মিশর। ফতওয়াহে কাযি খান, ১ম খণ্ড, পৃষ্টা-৭৮, মিশর) নামাযে কিভাবে আহবান করবে সেই সম্পর্কে হযরত আনাস রাদিয়াল্লাহুয়ানহু হতে বর্ণিত আছে- মদিনাই মুসলমানদের সংখ্যা বর্ধিত হলে নামাযের সময় জ্ঞাত করার আলোচনা হল, তখন সাহাবিগন রাদিয়াল্লাহুয়ানহুম উচ্চস্থানে অগ্নি জ্বালানোর বা “নাকুস” (ঘণ্টা) বাজানোর প্রস্তাব করল, কেও কেও এ বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন করল যে, এই সব তো ইয়াহুদি ও ক্রিস্তান্দের প্রথা!... (সাহিহ বুখারি সারিফ, বাবুল আযান, পৃষ্টা-৮৫), বুখারি শারিফের প্রখ্যাত ভাষ্যকার বদরুদ্দিন আইনি রাদিয়াল্লাহুয়ানহু উল্লেখিত হাদিসের ব্যাখ্যা প্রদানে মন্তব্য করেছেন, আব্দুল ওয়ারিস এই হাদিসটিকে সংক্ষেপে বর্ণনা করেছেন, আবু শাইখ রাদিয়াল্লাহুয়ানহু এর মতানুসারে হযরত রুহ বিন আতা রাদিয়াল্লাহুয়ানহু হতে বর্ণিত রয়েছে যে, সাহাবায়ে কেরাম রাদিয়াল্লাহুয়ানহুম বলেছেন, আমরা যদি নামাযের দিকে আহবান করার জন্য “নাকুস” ঘণ্টা ব্যাবহার করি? উত্তরে নবী কারিম সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, উহা ক্রিস্তান্দের জন্য। অতঃপর সাহাবাগন রাদিয়াল্লাহুয়ানহুম বলেন, “আমরা যদি “বুক” (শিঙ্গা) ব্যাবহার করি? উত্তরে নবী কারিম সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, উহা ইয়াহুদিদের জন্য। অতঃপর সাহাবাগন রাদিয়াল্লাহুয়ানহুম বলেন, “ আমরা যদি উচ্চস্থানে আগুন প্রজ্জলিত করি? উত্তরে নবী কারিম সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, “উহা অগ্নিপুজকদের জন্য। (আইনি শরহে বুখারি)। ১৯০০ সালে হরেস সর্ট দ্বারা আবিষ্কৃত মাইকে উপরোক্ত ঘণ্টি, শিঙ্গা, ও আগুন এই তিনটি জিনিসই বিদ্যমান রয়েছে যা বিশ্ব রাসুল সাল্লালাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম ক্রিস্তান্দের, ইয়াহুদিদের, অগ্নিপুজকদের বলে তা ইবাদাতে অত্যন্ত ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছেন। ঘণ্টির কাজ করে প্রথমে মাইকের মাইক্রোফোনে আঙ্গুল ঠুকার মাধ্যমে, শিঙ্গার কাজ করে মাইক্রোফোনে ফু দিয়ে, এবং আগুন তো আছেই। অতএব, ভেবে দেখুন- আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রাণকেন্দ্র ইস্তানবুল, তুরস্ক থেকে প্রকাশিত কিতাব ENDLESS BLISS এ উল্লেখ রয়েছে, As it is seen it is not permissible to say azan through radio or with loudspeakers on Minarats or to listen to it as Azan. It is not acceptable, plus the fact that it is sinful. It must be said again compatibly with its conditions.” Page-66. It is not compatible with the sunnah even if an “aqil” and “salih” muslim calls the Azan on the Minarat, but through the loud hailess.” Page-154. It is kafir to profane in this manner the Quranic recitationon Radio or through a loudspeaker. Page-156 (Endless Bliss (Second Edition) Page-154, Huseyn Hilmi Isik Kitabevi Istanbul. Turkey) অর্থাৎ মাইকের সাহায্যে মিনারার উপর থেকে দাড়িয়েও আযান দেওয়া জায়েজ নয়। বস্তুত এরূপ শব্দকে আযান হিসেবে শ্রবণ করাও জায়েজ নয়। ইহা কিছুতেই গ্রহণযোগ্য নয়। অধিকন্তু যন্ত্রের সাহায্যে আযান দেওয়া গুনাহের কাজ। কোথাও যন্ত্রের সাহায্যে আযান দেওয়া হলে অবশ্যই শারিয়াতের শর্ত মোতাবেক সঙ্গত ও শুদ্ধভাবে আযান দিতে হবে। এমনকি একজন আকিল ও ধার্মিক মুসলমান মাইকের সাহায্যে মিনারাই দাড়িয়ে আযান দিলেও তা শারিয়াত সম্মত হবে না। মাইকের সাহায্যে কোরআন তিলাওয়াত করা কুফরি কাজ। (endless bliss-page-66, 154, 156, Istanbul, turkey) বলা বাহুল্য, যে বেক্তি কুফরি করে তাকে কাফির বলে। প্রখ্যাত গ্রন্থ জাআল হক এর ২০৬ পাতায়- বিদাতে সাইয়েয়াহ ওই সব কাজকে বলা হয় যা কোন সুন্নাতের বিপরিত বা সুন্নাতকে বিলুপ্তকারি হিসাবে প্রতিভাত হয়। যেমন জুম্মা ও উভই ঈদ এ আরবি ভাষাই খুতবা বাদ দিয়ে অন্য কোন ভাষাই খুতবা পাঠ করা বা মাইকের সাহায্যে নামায পড়া বা পড়ান। কেননা এর মাধ্যমে আরবি ভাষাই খুতবা পাঠ করা এবং তাকবির দেওয়া অর্থাৎ (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর প্রবর্তিত সুন্নাতে মুয়াক্কাদা তথা মুকাব্বির এর মাধ্যমে তাকবিরের সাহায্যে আওয়াজ পোঁছান যে সুন্নাত তা লুপ্ত হয়ে যাই। (জা আল হক, ২০৬ পাতা, উর্দু, দিল্লি,ভারত) এবং জা আল হক, ২২৯ পাতা ক্যাসেটের কোরআন তেলওাতকে বেহুদা ও হারাম ঘোষণা করেছে। মিশকাত শারিফের বিখ্যাত শরাহ মিরাতুল মানাজিহ হাদিস গ্রন্থে মাইকের দরস (শিক্ষা) আত্বহনণকারী বিষের মত ইমান বরবাদকারি বলে বর্ণনা করেছেন। (মিরাতুল মানাজিহ মিশকাতুল মাসাবি, ১ম খণ্ড, ২২৯ পাতা, দিল্লি, ভারত)। এ কিতাব ও হাদিস গ্রন্থদ্বয় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা সহ অন্যান্য সুন্নি মাদ্রাসার পাঠ্য কিতাব ও হাদিস গ্রন্থ। পৃথিবীর সকল শীর্ষস্থানীয় ফিকাহের কিতাবসমুহে যথা মাজাবিহিল আরবাহা, দুররুল মুখতার ও ফাতওাহে শামিতে উল্লেখ রয়েছে যে, “প্রতিধ্বনি বক্তার মুল আওয়াজ নয়। কাজেই সেজদা ওয়াজিব হবে না” অতএব প্রতিধ্বনি শারিয়াতে কোনক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয়। অপরদিকে পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় প্রাই সকল ধ্বনি বিশেষজ্ঞগন একমত যে, মাইকের শব্দ বক্তার মুল শব্দ নয় বরং কৃত্রিম শব্দ, ইহা যন্ত্র কত্রিক নতুন করে সৃষ্ট সব্দ।সম্মানিত পাঠকবৃন্দ শারিয়াতে যেখানে প্রাকৃতিক প্রতিধ্বনি গ্রহন করে না শেখানে বৈদ্যুতিক মাইকের কৃত্রিম শব্দ কি করে গ্রহণযোগ্য হবে? মহান রাব্বুল ইজ্জাত আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআন মাজিদে স্পষ্ট ঘোষণা দিচ্ছেন, সাবধান, একমাত্র আল্লাহরই দ্বীন (ইসলাম) খাঁটি (আল কোরআন, সুরা-জুমার, আয়াত-৩) আর মাইকের শব্দ হল নিঃসন্দেহে কৃত্রিম বা ভেজাল। আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন- “নুরের উপর নুর। আল্লাহ যাকে চান (নুরের মাধ্যমে হেদায়াত করেন তাঁর নুরের দিকে (সুরা-নুর, আয়াত-৩৫) আর মাইকের চালিকাশক্তি হল নিঃসন্দেহে আগুন বা বিদ্যুৎ। আল্লাহ রাব্বুল ইজ্জাত পবিত্র কোরআনে ঘোষণা দিচ্ছেন নুরকে নুরের উপর রাখার জন্য, আর আপনি রাকছেন আগুন তথা বিদ্যুৎ দ্বারা পরিচালিত মাইকের উপর। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন (নুরের মাধ্যমে) নুরের দিকে আর আপনি হিদায়াত করছেন আগুনের মাধ্যমে। অথচ বিশ্ব বিখ্যাত তাফসিরে রুহুল বয়ান ঘোষণা দিচ্ছে, “নুর আর আগুন পরস্পর বিপরীতধর্মী। নুরের কাজ হল আল্লাহর একত্ব মেনে নেওয়া এবং আনুগত্য করা আর আগুনের কাজ হল শিরক করা এবং ইনকার করা (তাফসিরে রুহুল বয়ান, ৫ম খণ্ড, সুরা-মারিয়াম, পাতা-৩৫৯, বৈরুত, লেবানন) সুতরাং পবিত্র কোরআন তথা মহান নুর আগুনেতে প্রবেশ অসম্ভব। অতএব নুরি আজান, নামায, খুতবা, মিলাদ ও ওয়ায মাহফিল ইত্যাদি বিদ্দুতের কারনে আগুনি ইবাদাতে পরিনত হচ্ছে। নাউজুবিল্লাহ!নাউজুবিল্লাহ!!নাউজুবিল্লাহ!!!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
kazi570

Call

ইসলামের উপকারে আসে এমন কিছু ব্যবহার করতে ইসলামে নিষেধ নেই।আধুনিক যুগে এসব নিয়ে বিতর্ক করা উচিত হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রশ্নটি যে ভাই করেছেন সে ভাই আবার নিজেই কিছু উত্তর দিয়েছেন। তার মানে এখানে জানার জন্য প্রশ্ন করেনি। বরং নিজের পীরের দৃষ্টিভঙ্গি এখানে সাধারণ পাবলিককে গিলাতে এসেছেন। 

আমি এখানে উত্তরে তেমন কিছুই লিখবনা প্রশ্নকারীর জন্য। তবে একটি কথা লিখব। তা হলো,

"মাইক দিয়ে গান শোনলে গুণাহ হলে, তবে মাইক দিয়ে কোরান শোনলে সওয়াব হবে" তাতে কোন সন্দেহ নেই।

এই যুক্তিটি আমার নয় বরং আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা) এর। নবীজি (সা:) সাহাবিদের বলেন, স্ত্রীর সাথে সহবাস করলেও সওয়াব আছে। তাতে সাহাবিরা অবাক হয়ে বলেন, স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে সওয়াব হয়!! নবীজি (সা:) বলেন, কেন সে যদি জেনা করলে গুণাহ তবে স্ত্রীর সাথে সহবাস করলে সওয়াব হবেনা কেন?" 

দেখুন চেক করে: Book of Zakat

Reference  : Sahih Muslim 1006
In-book reference  : Book 12, Hadith 66
USC-MSA web (English) reference  : Book 5, Hadith 2198

আরেকটি কথা, এই বিষয়ে আমার দীরঘ লেখা আছে। গুগলে "ইবাদতে মাইক" লিখে সারচ দিলে প্রথমেই পাবেন।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ