কি-বোর্ড শর্টকাট কাজ করবে কমান্ড প্রম্পটেঃ বর্তমানে কমান্ড প্রম্পটে (CMD) কি-বোর্ড শর্টকাট করা করে না। ctrl+ v এবং ctrl+c এর মতো শর্টকাটগুলো কাজ করবে উইন্ডোজ ১০ এর কমান্ড প্রম্পটে। ফলে কমান্ড ব্যবহার করা আরও সহজ হবে যে কোন ব্যবহারকারীদের জন্য। স্ন্যাপ অ্যাসিস্টঃ পরিবর্তন আনা হয়েছে উইন্ডোজের স্ন্যাপিং ফিচারেও। স্ক্রিনের পুরোটা জুড়ে রাখার জন্য উইন্ডোগুলোকে স্বয়ংক্রিয় ভাবে রিসাইজ করবে এই ফিচারটি। আলাদা উইন্ডোতে ইউনিভার্সাল অ্যাপঃ ইউনিভার্সাল অ্যাপগুলো চালানো যাবে আলাদা আলাদা উইন্ডোতে। উইন্ডোজ ৮-এর ‘মডার্ন’ অ্যাপের সঙ্গে প্রচলিত উইন্ডোজের অনুভূতির সংশ্রিশন ঘটানোর চেষ্টাও করেছে উইন্ডোজ ১০ এ। ইউনিভার্সাল অ্যাপস স্টোরঃ সব ডিভাইসের জন্য এক উইন্ডোজের একই ভিত্তিতে আসছে ‘ইউনিভার্সাল অ্যাপস’ ফিচারটি। এই ফিচারে উইন্ডোজ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যে কোনো অ্যাপ একইসঙ্গে সবগুলো ডিভাইসেই চলবে। সব ডিভাইসের জন্য একটি মাত্র অ্যাকাউন্টঃ উইন্ডোজ ১০-এ একই ইন্টারফেইস ব্যবহার করে একসঙ্গে ডেস্কটপ কম্পিউটার, উইন্ডোজ ট্যাবলেট এবং উইন্ডোজ স্মার্টফোন ব্যবহার করা যাবে। প্রয়োজন নেই একাধিক অ্যাকাউন্টের। নতুনত্বে কন্টিনিউয়াম ফিচারঃ কন্টিনিউয়াম ফিচারতি অপারেটিং সিস্টেমের জন্য একবারে নতুন ও অত্যাধুনিক একটি ফিচার। উইন্ডোজ ১০-এর কন্টিনাম ফিচারটি কম্পিউটার ব্যবহারের সময় কি-বোর্ড, মাউস, নাকি স্ক্রিন ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটা চিহ্নিত করে ব্যবহারকারীর সামনে যথাযথ ইন্টারফেইস তুলে ধরবে। মাইক্ক্রোসফটের একজন কর্মী টেরি মেয়ারসন বলেন, উইন্ডোজ ১০ অপারেটিং সিস্টেম তৈরির প্রকল্পটি অভ্যন্তরীণভাবে দীর্ঘদিন ধরে থ্রেসহোল্ড নামে পরিচিত ছিল। এটি মাইক্রোসফটের নতুন ধরনের একটি পদ্ধতি, যাতে মোবাইল ডিভাইসও সমর্থন করবে। উইন্ডোজ ১০ নামটির অর্থ হচ্ছে- লাফ। এটি এক্সবক্স থেকে পিসি, ফোন, ট্যাবলেট এমনকি ক্ষুদ্র স্মার্টপণ্যগুলোতেও চলবে।