প্রত্যক্ষ ভাবে সরকার কিন্তু দায়ী নয়। তারা কিন্তু সব কাগজপত্র, প্রনাণাদি যাচাই করেই মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অনুমোদন দেয়। এক্ষেত্রে দাবিদারই মূল অপরাধী, তবে তার উপর হয় অর্থের নয়তো রাজনৈতিক হাত থাকে। ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি-- আমার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা পাশাপাশি ইউপি মেম্বার ও ভাইস চেয়ারম্যান। কিছুমাস আগে নতুন মুক্তিযোদ্ধাদের শনাক্তকরণ পক্রিয়া চালু হওয়ার পর আমি দেখেছি যে জনৈক বড় রাজনৈতিক নেতা আমার বাবার কাছে এসে মুক্তিযুদ্ধের নানা তথ্য যেমন: বন্দুকের নাম, প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ইত্যাদি জেনে নিচ্ছেন যাতে করে ইন্টার্ভিউতে ওসব বলতে পারেন। এক্ষেত্রে আমার বাবার হয়তো কাজটা করা উচিত হয়নি, কিন্তু তবুও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার কেইবা হতে চায়? যাই হোক এখন উপরোক্ত ব্যাক্তি যখন সরকারের কাছে প্রমাণ পেশ করবে তখন সব কিন্তু নির্ভূল হবে, সন্দেহ করার কোনো চান্সই থাকবেনা। তো কিভাবে সরকার প্রমাণ করবে যে উনি মুক্তিযোদ্ধা নন? অর্থাৎ দোষী অবশ্যই অবৈধ দাবিদার।