এর মূল কারন হল, ইসলাম শান্তির ধর্ম। মানুষের কল্যান কামনাই ইসলামের মূল শিক্ষা। পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক প্রতিবেশীদের প্রতি কেমন আচরন হবে, তা অনেক জায়গায় উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহপাক বলেছেন: كُنتُمْ خَيْرَ أُمَّةٍ أُخْرِجَتْ لِلنَّاسِ تَأْمُرُونَ بِالْمَعْرُوفِ وَتَنْهَوْنَ عَنِ الْمُنكَرِ وَتُؤْمِنُونَ بِاللّهِ وَلَوْ آمَنَ أَهْلُ الْكِتَابِ لَكَانَ خَيْرًا لَّهُم مِّنْهُمُ الْمُؤْمِنُونَ وَأَكْثَرُهُمُ الْفَاسِقُونَ তোমরাই হলে সর্বোত্তম উম্মত, মানবজাতির কল্যানের জন্যেই তোমাদের উদ্ভব ঘটানো হয়েছে। তোমরা সৎকাজের নির্দেশ দান করবে ও অন্যায় কাজে বাধা দেবে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। আর আহলে-কিতাবরা যদি ঈমান আনতো, তাহলে তা তাদের জন্য মঙ্গলকর হতো। তাদের মধ্যে কিছু তো রয়েছে ঈমানদার আর অধিকাংশই হলো পাপাচারী। (সূরা: আল ইমরান | আয়াত: ১১০) لَا يَنْهَاكُمُ اللَّهُ عَنِ الَّذِينَ لَمْ يُقَاتِلُوكُمْ فِي الدِّينِ وَلَمْ يُخْرِجُوكُم مِّن دِيَارِكُمْ أَن تَبَرُّوهُمْ وَتُقْسِطُوا إِلَيْهِمْ إِنَّ اللَّهَ يُحِبُّ الْمُقْسِطِينَ ধর্মের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করেনি এবং তোমাদেরকে দেশ থেকে বহিস্কৃত করেনি, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ তোমাদেরকে নিষেধ করেন না। নিশ্চয় আল্লাহ ইনসাফকারীদেরকে ভালবাসেন। (সূরা: আল মুমতাহিনা | আয়াত: ০৮) হযরত মোহাম্মদ (স:) বলেন: “সে প্রকৃত মুমিন নয় যার অত্যাচার থেকে তার প্রতিবেশি নিরাপদ নয়”। “যে ব্যক্তি পরিতৃপ্ত থাকে অথচ তার প্রতিবেশি ক্ষুধার্ত সে মুমিন নয়”। এখানে প্রতিবেশি বলতে মুসলিম-অমুসলিম সকলের কথাই বলা হয়েছে। কেবল মুসলিমজাতির কথা বলা হয়নি। রাসূল (সাঃ) অমুসলিম মেহমানদের সাথেও ভাল ব্যবহার করতেন। মুসলিম-অমুসলিম সকলের জন্য জন্য ইনসাফ ও সুবিচার করা ইসলামের নির্দেশ। মোট কথা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণ কামনা, সকলের সাথে উত্তম ও মার্জিত আচরণ, সৌহার্দ পূর্ণ ব্যবহার ও উদারতা বিশ্বনবী (সাঃ) এর মৌলিক শিক্ষা এবং ইসলামের বিশেষ বৈশিষ্ট্য।