এক জন শিশু যখন জন্ম গ্রহণ করে তখন সে নিষ্পাপ থাকে, সে যেকোনো ধর্মের পরিবারে জন্মগ্রহনকারীই হোক না কেনো। আর আল্লাহ স্বয়ং নিজে সৃষ্টিকর্ত। এক জন মুসলিম হিসাবে আমার প্রশ্ন? সৃষ্টিকর্তা কেনো নিষ্পাপ শিশুকে মুসলিম ব্যাতীত অন্য ধর্মে জন্ম গ্রহন করান? [[অন্যান্য ধর্মের নিকট এই প্রশ্ন খারাপ লাগতে পারে, সেজন্য আমি দুঃখিত]]
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

[বি:দ্র: অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের কাছে অনুরোধ থাকবে আমার উত্তরে আপনারা কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাবেননা। এটা সম্পূর্ণ আমাদের ধর্মীয় (ইসলাম) দৃষ্টিকোণ]] শিশুর কোনো দোষ নেই। কোনো অন্যান্য ধর্মের অনুসারীদের ঘরে জন্ম নেওয়া শিশু মারা গেলে সে জান্নাতেই যাবে, জাহান্নামে নয়। এবার আসি দ্বিতীয় প্রসঙ্গে। সৃষ্টিকর্তা কেনো তাদের অন্য ধর্মাবলম্বীদের ঘরে জন্মগ্রহণ করান? আল্লাহ আমাদের প্রত্যেককে নানাভাবে পরীক্ষায় ফেলেন। এ পরীক্ষা থেকে উত্তোরণের জন্য তিনি আমাদের বিবেকও দিয়েছেন। আর অন্যান্য ধর্মে জন্ম নেওয়া শিশুরা যখন বেবেকবান তথা শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক হয় তখন তাদের জন্য পরীক্ষাটা হলো তার বিবেক তাকে কি বলছে? সে যে ধর্ম সে পালন করছে তার কি আদৌ কোনো ভিত্তি বা সত্যতা আছে? সে কি সঠিক স্রষ্টার উপাসনা করছে? যদি সে তার ভুল বুঝতে পারে তখন সে উক্ত ধর্ম ছেড়ে দেবে, অর্থাৎ সে "লা ইলাহা" কালেমার এই অংশটুকুর অনুসারী হবে। এবার তার জন্য দ্বিতীয় পরীক্ষা হবে, আসল সৃষ্টিকর্তাকে খোঁজা, আর নিরপেক্ষ ভাবে কেউ যদি সব ধর্ম নিজ বিবেক, বিজ্ঞান আর বাস্তবতা দিয়ে বিচার করে তাহলে সে অবশ্যই বুঝতে পারবে যে ইসলামই ধর্মই একমাত্র সত্য ধর্ম। ফলে সে "লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মোহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ" এর সম্পূর্ণ অংশ মেনে নিবে। আল্লাহ যাকে যত কঠিন পরীক্ষার সম্মুখীন করেন, তাতে উত্তীর্ণদের তিনি তত বিশাল পুরষ্কারই প্রদান করেন। একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের উচিত এসব অমুসলিমদের সত্যের বানি পৌঁছে দিয়ে তাদের বিবেককে জাগ্রত করা, যা আমরা করিনা বললেই চলে। আশা করি আপনি পুরো ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন, আসলে আল্লাহ যা করেন তার পিছনে অবশ্যই কোনোনা কোন উদ্দেশ্য থাকে। তিনি তো মহান, তাই হয়তো আমরা সেসব উদ্দেশ্যের সবটা বুঝতে পারিনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ