শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
MituShaleh

Call

বাচ্চারা সবথেকে বেশী ষ্পর্শকাতর হয়ে থাকে । অতি সাধারণ তিরস্কারেও তারা তিব্রভাবে আহত হয়, মারধর তো পরের ব্যাপার । একটি মানুষের সারাজীবনের গতিধারা নির্ধারন হয়ে থাকে বাচ্চা বয়সেই । শিশুকালে যে কোন কিছুই, মনজগতকে তিব্রভাবে আলোরিত করে । সেটা হতে পারও ভালবাসা পেয়ে, হতে পারে অবহেলা পেয়ে । অন্তত, আর কিছু না পাড়ুন বাচ্চাকে প্রহার থেকে বিরত থাকুন । শিশুরা সাধারণত বাড়ির বড়দের দেখেই কিছু শেখে। সে ক্ষেত্রে শিশুদের কিছু শেখানোর আগে দেখে নিতে হবে যে নিজেদের ব্যবহারে কোনো পরিবর্তন আনা প্রয়োজন কি না। ছোট ছোট আচরণ, যেমন—সময়ের কাজ সময়ে করা, জামাকাপড় ছেড়ে ভাঁজ করে রাখা, ঘর থেকে বেরোনোর আগে আলো-পাখা বন্ধ করা, খাবার নষ্ট না করা ইত্যাদি শিশুর সুঅভ্যাস গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। শিশুকে শৃঙ্খলা শেখানোর বা শাসন করার কোনো নির্দিষ্ট পদ্ধতি হয় না। আপনাকে প্রথমে শিশুর সঙ্গে বন্ধুর মতো মিশতে হবে। তার সমস্ত কথা মন দিয়ে শুনতে হবে। তবেই আপনি শিশুকে পুরোপুরি বুঝতে পারবেন। আসল কথা হলো, শিশুকে ভালোমন্দ শেখানো। শিশুকে তার দায়িত্ব বুঝতে দিন। অনেক সময় এ রকম হয় যে, আপনি রেগে গিয়ে হয়তো সন্তানকে মেরে বসবেন বা নিজের ঘরে যেতে বলবেন। কিন্তু ভেবে দেখুন তো, এতে তার কি কোনো উপকার হবে। পরিবর্তে আপনি যদি সন্তানকে আপনার কাজে সাহায্য করতে বলেন তা হলে তার প্রতি মনোযোগ দেওয়াও হবে আর আপনার কাজ করতেও সুবিধে হবে। সন্তানকে বাড়ির বিভিন্ন কাজকর্মে ইনভলব করুন। ওর মতামত নিন। এতে ও নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে এবং আপনার কথা শুনতে আপত্তি করবে না। সন্তানকে শাসন করার সময় মোটিভেট করা খুব জরুরি। যেমন ধরুন আপনার সন্তান হোমওয়ার্ক করতে চাইছে না। আপনি হয়তো অনেক বুঝিয়েও তার সঙ্গে পেরে উঠছেন না। না বকে আপনি বলতেই পারেন, যে হোমওয়ার্ক না করলে ও কার্টুন দেখতে পারবে না বা বাইরে খেলতে যেতে পারবে না। ওর কাছে এটা মোটিভেশনের মতো কাজ করবে। দেখবেন এতে প্রথম দিকে কাজ না হলেও পরে ও নিজেই হোমওয়ার্ক করার জন্যে আগ্রহ দেখাবে। সন্তানকে এই সময় উত্সাহ দিন। আপনি হোমওয়ার্ক শুরু করতে সাহায্য করুন। মাঝেমধ্যে গিয়ে দেখুন শিশুর কোনো অসুবিধে হচ্ছে কি না। ও যা কাজ করছে তার প্রশংসা করুন। এইভাবে ওর নিজের কাজের প্রতি সচেতনতা গড়ে তুলুন। অনেক সময় মা-বাবারা শাসন করতে গিয়ে সন্তানের সঙ্গে অতিরিক্ত কঠোর হয়ে পড়ে। তাঁদের মনে রাখতে হবে শাসন করা মানেই কিন্তু কঠোর মনোভাব পোষণ করতে হবে তার কোনো মানে নেই। উল্টো যদি আপনি আদর করে ওকে সঠিক বেঠিকের পার্থক্য শেখান, তা হলে সন্তান অনেক তাড়াতাড়ি বুঝে যাবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ