shohanrand1

Call

কথায় আছে কোন জিনিস তৈরি করা ঠিক যতটা কঠিন, সেটা ভেঙে ফেলা ঠিক ততটাই সহজ ৷ তার সবচেয়ে বড়সড় উদাহরণ, প্রেমের সম্পর্ক ৷ আজকাল মানুষের প্রমে পড়তে যত না সময় লাগে, তার অনেক কম সময় লাগে একটা সম্পর্ক ভেঙে ফেলতে ৷ কিন্তু, সম্পর্ক কি এতটাই ঠুনকো যে চাইলেন ভেঙে ফেলা যাবে? অনেক সময় কিছু তর্ক বা ঝগড়া কিন্তু সম্পর্কের ভাঙনের কারণ হতে পারে ৷ তাই আপনি যদি ব্রেকআপ না চান, তবে কয়েকটা বিষয় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে ৷ নিজের সম্পর্ককে আপনি নিজেই বাঁচিয়ে নিতে পারবেন ৷ সঙ্গীকে বদল করার চেষ্টা করবেন না প্রথম যেদিন আপনার সঙ্গীকে দেখে আপনার ভাল লেগেছিল, তাকে সেইভাবেই থাকতে দিন ৷ তাকে বদলানোর চেষ্টা করবেন না ৷ অন্যের সঙ্গে তুলনা করে তাকে কখনও পালটে যেতে বলবেন না ৷ এতে আপনার সঙ্গী নিজের প্রতি হীনমন্যতায় ভুগতে পারে ৷ আবার অনেক সময় হয়ত এমনও হতে পারে, যাতে আপনার কথায় বিরক্ত হয়ে তিনি নিজেকে পাল্টে নিলেন আর তখন তার জীবনে আর আপনার জন্য কোন জায়গাই থাকল না ৷ কাউকে ভালবাসলে তাকে তার মতো করেই ভালবাসুন ৷ সঙ্গীর সবকথা মন দিয়ে শুনুন সঙ্গীর সবকথা যে আপনার ভাল লাগবে, তা একেবারেই নয় ৷ কিন্তু, তাই বলে সঙ্গীর কথা একেবারেই এড়িয়ে যাবেন তা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয় ৷ সঙ্গীর সবকথা মন দিয়ে শুনুন ৷ এতে তার মনের যাবতীয় অনুভূতি এবং তিনি কী ধরনের মানুষ তা অনায়াসে বুঝতে পারবেন আপনি ৷ এর ফলে আপনাদের সম্পর্ক অনেক বেশি মজবুত হবে ৷ দু’জনের মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি যেন না আসে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই একটা সম্পর্ক কেবল মাত্র তৃতীয় কোন ব্যক্তির কারণেই ভেঙে যায় ৷ তাই, চেষ্টা করুন আপনাদের দু’জনের সমস্যা দু’জনের মধ্যেই রাখতে আর দু’জনে মিলেই তার সমাধান করতে ৷ এতে সম্পর্কের গোপনীয়তা বজায় থাকে ৷ সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তি আসা মানেই আপনাদের সম্পর্কের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সে জেনে যাবে এতে আপনাদের দু’জনের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে ৷ দু’জনের পরিবারই সমান গুরুত্বপূর্ণ নিজের পরিবারকে গুরুত্ব সকলেই দেন ৷ কিন্তু, একই সঙ্গে সঙ্গীর পারিবারিক দিকটাকেও কিন্তু আপনাকে সমান গুরুত্ব দিতে হবে ৷ সঙ্গীর পরিবারের সঙ্গে সেভাবে যুক্ত না হলেও খেয়াল রাখুন যাতে আপনার জন্য আপনার সঙ্গীর পারিবারিক জীবনে কোন সমস্যা না হয় ৷ ঝগড়া পুষে রাখবেন না সম্পর্কে প্রেম থাকলে সেখানে ঝগড়া থাকবেই ৷ কিন্তু, তাই বলে পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া করেই যাবেন, তা হলে সম্পর্ক বেশিদিন টেকানো যায় না ৷ একটু আধটু ঝগড়া সম্পর্কে আরও গাঢ় করে তোলে ৷ কিন্তু সেই ঝগড়া অনবরত করতে থাকা বা রাগ পুষে রেখে কথা না বলা, দেখা না করা ইত্যাদির ফলে সম্পর্কে ভাঙন ধরতে বাধ্য ৷ সঙ্গীকে তার মতো করে সময় কাটাতে দিন আপনি তার সঙ্গে প্রেম করছেন বলে তার সমস্ত সময় শুধু আপনার জন্যই, এই ভাবনা একেবারেই ভুল ৷ প্রেমের বাইরে আপনার যেমন একটা বন্ধুর জগত আছে তেমনই তারই বন্ধু রয়েছে সেটা আপনাকে বুঝতে হবে ৷ তাই একে অপরকে স্পেস দিন ৷ নিজের নিজের বন্ধুর সঙ্গেও সময় কাটান ৷ সব সময় একে অপরের সঙ্গে আটকে থাকলে সম্পর্কে অস্বস্তি বাড়তে পারে ৷ সঙ্গীর মেয়ে বা ছেলে বন্ধু নিয়ে অযথা প্রশ্ন নয় আপনার সঙ্গীর ছেলে বা মেয়ে বন্ধু থাকতেই পারে ৷ তাই বলে প্রেমিকের মেয়ে বন্ধু রয়েছে বলে অযথা সন্দেহ বা প্রতিক্রিয়া একেবারেই দেখাবেন না ৷ নিজের মনে বিশ্বাস রাখুন আপনার সঙ্গী কেবল আপনারই ৷ অন্য কেউ তার বন্ধু হওয়া মানেই তিনি আপনার থেকে দূরে সরে যাবেন তা একেবারেই নয় ৷ অতীত নিয়ে অযথা প্রশ্ন করবেন না প্রত্যেক মানুষের জীবনেই অতীত থাকতে পারে ৷ এমন হতে পারে আপনার আগে হয়ত আপনার সঙ্গীর জীবনে অন্য কেউ ছিল ৷ কিন্তু তাই বলে সে নিয়ে তাকে অযথা প্রশ্ন করবেন না ৷ এমনকি ঝগড়া হলেও প্রথম প্রেমের কথা টেনে আনবেন না ৷ এতে আপনার সঙ্গী বিরক্তও যেমন হবেন, তেমনই মনে মনে সে আপনার প্রতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগবেন ৷ সম্পর্কে স্পেস দিন সকলেই নিজের সঙ্গীকে জীবনে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দেন ৷ সেটা করা ভাল ৷ কিন্তু তাই বলে সঙ্গী যদি অন্য কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন আর আপনাকে সময় দিতে না পারেন তবে সে নিয়ে অযথা ঝগড়া করবেন না ৷ অনুমতি না নিয়ে ব্যক্তিগত জিনিস ধরবেন না সঙ্গী হয়ত আপনার থেকে কিছু লুকিয়ে রাখেন না, কিন্তু তাই বলে অনুমতি না নিয়ে তার ব্যক্তিগত কোন জিনিস ধরবেন না ৷ প্রত্যেকেরই নিজস্ব জগৎ আছে এবং গোপনীয়তাও রয়েছে ৷ তাই অনুমতি নিয়ে তার জিনিসগুলি ধরুন একে অপরের প্রতি সম্মান বাড়বে ৷

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ