Call

স্বাভাবিকভাবেই কোন কিছু সম্পর্কে ইতিবাচক চিন্তা ভাবনা আমাদের মনকে যেমন প্রফুল্ল রাখে একইভাবে জীবন যাপনও বেশখানিকটা সহজ আর সাবলীল করে দেয়। ঠিক একইভাবে নেতিবাচক চিন্তা আপনার মনকে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত করে তুলবে  একই ভাবে আপনাকে করবে অবসাদগ্রস্ত।

কোন কাজে আপনি সফল হতে পারবেন না। নেতিবাচক চিন্তা পরাজয়ের আগেই আমাদের পরাজয়ের স্বাদ পাইয়ে দেয়। এমন কিছু নেতিবাচক চিন্তা আছে যেগুলোর জন্য অন্যরা আমাদের থেকে দূরে সরে যায় বা আমরা নিজেদের সহজ ও স্বাভাবিকভাবে আর দশটা মানুষের কাছে তুলে ধরতে পারিনা।

সবকিছু ব্যক্তিগতভাবে নেওয়া

একসঙ্গে যখন অনেকগুলো মানুষ আড্ডা কিংবা কোন গল্পে মেতে উঠে তখন এমন অনেক রকম কথাবার্তাই সেখানে আলোচনা হতে পারে যেগুলো হয়তো আপনার সাথে মিলে যায়। আর এই ক্ষেত্রে আপনি যদি ভেবে বসেন এই আলোচনা বা সমালোচনা যেটাই হচ্ছে তার সবটা আসলে আপনাকে শুনিয়ে করা হচ্ছে তাহলে এটি হবে আপনার সবচেয়ে বড় নেতিবাচক চিন্তা। আর আপনার এই চিন্তাধারার কারণে অন্যরা আপনার সঙ্গ ত্যাগ করতে বাধ্য হবে। তাই সবকিছু ব্যক্তিগতভাবে নেওয়ার অভ্যাস বা চিন্তা আপনি নিজেই ত্যাগ করুন।

অন্যকে বদলানোর চেষ্টা

মনে রাখবেন সবার একটি নিজস্ব সত্ত্বা থাকে, একটি নিজস্ব দুনিয়া থাকে। আর কাউকে আপনি ততক্ষণ অবধি বদলাতে পারবেন না যতক্ষণ না সে নিজে থেকে নিজেকে বদলায়। আমাদের একটি খুব বাজে অভ্যাস বা চিন্তা হল নিজের অধিকার অন্যর উপর খাটিয়ে তাকে আমূল বদলে দেওয়ার একটি নিষ্ফল চেষ্টা করা। যার ফলাফল দাঁড়ায়, হতাশা আর অবসাদ। আপনার এই অযাচিত অধিকার বোধ থেকে জন্ম নেওয়া অন্যকে বদলানোর চেষ্টা আপনার হওয়া অন্যতম নেতিবাচক চিন্তা। যার ফলে অন্যরা নিজেকে আপনার থেকে দূরে সরিয়ে নেবে।

নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করা

আমাদের করা নেতিবাচক চিন্তাধারার মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ কিন্তু মারাত্মক চিন্তা হলো অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা করা। আপনি যদি কথায় কথায় নিজেকে আর দশটা মানুষের সাথে তুলনা করতে থাকেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই অন্যরা আপনার প্রতি বিরক্তিবোধ করবে চাইবে আপনাকে এড়িয়ে চলতে। সহজ করে বলতে গেলে বলতে হয় আপনি যা তা সহজেই অন্যরা জানতে পারে তাই কখনোই নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করার কোন বাড়তি দরকার পড়েনা। তাই নিজেকে যদি অন্য সবার সাথে মিলেমিশে রাখতে চান তাহলে অন্যর সাথে নিজের তুলনা করা অভ্যাস বাদ দিন।

অন্যের দোষ ধরা

যখন কেউ আপনার কাছে তার সম্পর্কে বা তার সাথে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা নিয়ে আলোচনা করে তখন আপনার উচিৎ আগ্রহ নিয়ে তার কথা শোনা বা বোঝার চেষ্টা করা। কিন্তু আপনি এসবে ধারে কাছে না গিয়ে যদি উল্টো করে তার দোষ ধরাতে নিজেকে বেশী ব্যস্ত করে ফেলেন তাহলে অন্যরা আপনাকে সব সময় এড়িয়ে চলতেই চেষ্টা করবে। তাই আপনি যদি চান অন্য সবার মতো আপনার চারপাশটা বন্ধু আর প্রিয় মানুষে ভোরে থাক তাহলে অন্যর দোষ ধরার মতো খারাপ বা নেতিবাচক চিন্তা বাদ দিন।

নিজেকে অপরাধী ভাবা

আপনার সাথে যাই ঘটুক না কেন সব সময় যদি নিজেকে সেই ঘটনার জন্য দায়ী ভাবতে থাকেন একসময় অন্যরা আপনার উপর আপনাআপনি বিরক্তবোধ করতে শুরু করবে। শুধু তাই নয় নিজেকে যেকোন কিছুর জন্য দায়ীভাবা একটি মানসিক রোগ ও বলা যায়। তাই আপনার করণীয় হবে শুধু শুধু নিজেকে কোন ব্যাপারের জন্য দায়ী ভাবা চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে আসা।

ভালো খারাপ মিলিয়ে আমাদের জীবন। ভালোটাকে যেমন আমরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেনে নিতে শিখি একইভাবে খারাপটাও মেনে নেওয়ার মানসিকতা আমাদের তৈরি করা উচিৎ। তবেই হয়তো এইসব নেতিবাচক চিন্তা ভাবনা আমাদের মধ্যে কোনরূপ খারাপ প্রভাব ফেলতে পারবেনা।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ