আমর fever টা ৯৮ থেকে ১০০ degree এর বিতর থাকে কিছু ভাল লাগে না খেতে ইচ্ছে করে না।আমার gilbert Jaundice আছে। fever টা উঠানামা করে। এখন আমি কি করতে পারি।
Share with your friends
HridoyJoy

Call

জ্বর সারানোর জন্য কিছু খাবার খেতে পারেন। যেমন: আদা : চা অথবা গরম জলে লেবুর সঙ্গে মিশিয়ে আদা কুচি খেতে পারেন। এটি ব্যাকটেরিয়াজনিত ইনফেকশনের সঙ্গে লড়াই করে। চিকেন স্যুপ : জ্বরের মাঝে চিকেন স্যুপ একটি আদর্শ খাবার। এটি শুধু জ্বর সারাতেই নয়, শরীরের বল যোগাতেও সহায়ক। বেশি করে আদা ও গোল মরিচ দিয়ে পান করুন চিকেন স্যুপ। তুলসীপাতা : ১ চা চামচ জিরা এবং ৪-৬টা তুলসীপাতা এক গ্লাস পানিতে নিয়ে সিদ্ধ করে সেখান থেকে প্রতিদিন দুইবার ১ চা চামচ করে খেলে জ্বর দ্রুত কমবে। মৌসুমি ফলমূল : মৌসুমি ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেনট, যেগুলো জ্বর থেকে দ্রুত সারিয়ে তোলে। চালের সুজি : জ্বরের সময় আরেকটি উপকারী খাবার হলো চালের সুজি, সঙ্গে সামান্য আদাকুচি ও সিদ্ধ করা সবজি। কিশমিশ : জ্বরে আক্রান্ত রোগীর জন্য কিশমিশ একটি উপকারী খাবার। কিশমিশে আছে ভিটামিন-সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে। শিং-মাগুর মাছের ঝোল : জ্বর মাঝে দ্রুত সুস্থ হতে ও শক্তি ফিরে পেতে দেশি শিং ও মাগুর মাছের ঝোল একটি আদর্শ খাবার। গোলমরিচ ও লবঙ্গ : নরম ভাত, খিচুড়ি অথবা আলু সিদ্ধর সঙ্গে একটু গোলমরিচ ও লবঙ্গ মিশিয়ে খেলে জ্বরে উপকার হবে। টমেটো ও গাজরের স্যুপ : জ্বরের রোগীর জন্য আরেকটি উপকারী খাবার হলো টমেটো ও গাজরের স্যুপ। আর ভাল ডাক্তারের পরামর্শ নিন। অবহেলা করা ঠিক নআআ।।।

Talk Doctor Online in Bissoy App
MHR

Call

প্রকৃতির হাওয়া বদল হতে শুরু করেছে। দিনে গরম লাগে, আবার রাতের দিকে শীত শীত ভাব। এই গরম-ঠান্ডার মধ্যে ভাইরাস তার প্রভাব বিস্তার করে। এই জ্বর বায়ুবাহিত হওয়ায় দ্রুত একজনের মাধ্যমে আরেকজন সংক্রমিত হয়। তবে এমন ভাইরাল জ্বরকে প্রতিরোধ করা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন অনুষদের ডিন এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ভাইরাস জীবাণুর সংক্রমণের কারণে এ জ্বর হয়। এটি সাধারণত ৭-১৪ দিন স্থায়ী হতে পারে। ওষুধ ও পুষ্টিকর খাবার খেলে এই সময়ের মধ্যে জ্বর ভালো হয়ে যায়। ভাইরাল জ্বরে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। ভাইরাল জ্বরের অন্যতম প্রধান লক্ষণ হলো শরীরের পেশিতে প্রচণ্ড ব্যথা, চোখ লাল হওয়া, মাথা ভারী মনে হওয়া, নাক দিয়ে পানি পড়া ইত্যাদি। তবে শিশুদের মুখ লাল হয়ে যায়, শরীরের তাপমাত্রা বেশি, মাথাব্যথা, সর্দি ও কাশি হতে দেখা যায়। এই জ্বর চেনার উপায় হঠাৎ জ্বর আসা ও সাত-আট দিন ধরে চলতে থাকা। শরীরের তাপমাত্রা ১০২-১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট থাকে। বেশির ভাগ সময় জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা থাকে। বিশেষ ক্ষেত্রে জ্বরের সঙ্গে পেটব্যথা, বমি, সর্দি, কাশি থাকে। শরীর, মুখ, হাত ও পায়ে অসহ্য ব্যথা থাকে। ডায়রিয়া দেখা দিতে পারে। জ্বরের সঙ্গে গলাব্যথা হতে পারে। বিস্বাদ, বমি বমি ভাব ও খিদে কমে যায়। মাত্রা খুব বেশি হলে শিশুরা অজ্ঞান হয়ে যেতে পারে। কী করবেন জ্বর থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বর কমানোর ও শরীরের ব্যথা কমানোর ওষুধ খেতে পারেন। তবে যেহেতু জ্বর সাধারণত ৭-১০ দিন স্থায়ী হয় সেহেতু শুধু ওষুধের ওপর নিভর্রশীল না হয়ে ঘরে বসেও জ্বর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। বাসায় জ্বর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো শরীর নরম কাপড় ভিজিয়ে মুছে ফেলতে হবে। মাথা পানি দিয়ে ধুয়ে বাতাস করে জ্বর কমাতে হবে। জ্বর কখনোই বাড়তে দেওয়া যাবে না। খাওয়াদাওয়া স্বাভাবিক রাখতে হবে। শরীরে যাতে পুষ্টির অভাব না হয়, সে জন্য পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। শরীরের রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায় পুষ্টিকর খাবার। আর রোগপ্রতিরোধক্ষমতা ঠিক থাকলে সেই ক্ষমতা দিয়ে সাধারণ ভাইরাল জ্বর ভালো হয়ে যায়। অসুস্থ ব্যক্তিকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে। বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। বাইরের খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। সর্দি-কাশি, গলাব্যথা হলে সকাল-বিকেল আদা চা বা কফি খাওয়া যেতে পারে। সতর্কতা  চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।  ছোঁয়াচে বিধায় ভাইরাল জ্বর হলে রোগীকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে হবে।

Talk Doctor Online in Bissoy App