কাচা আদা খেলেকি মাথা ব্যাথায় উপকার পাওয়া যায় বা অন্য কি উপকার আছে ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কাঁচা আদার উপকারিতাঃ ১) খেতে একেবারেই ইচ্ছে হচ্ছে না? অসুস্থ বোধ করছেন খাবার দেখলেই? কোনো সমস্যাই নয়। খাওয়ার আগে ১ চা চামচ তাজা আদা কুচি খেয়ে নিন। মুখের রুচি ফিরে আসবে। ২) হাতে পায়ের জয়েন্টে ব্যথা হলে সাহায্য নিতে পারেন আদার তেলের। খানিকটা অলিভ অয়েলে আদা ছেঁচে নিয়ে ফুটিয়ে নিন ৫ মিনিট। ঠাণ্ডা হলে ছেঁকে এই তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন হাতে পায়ের জয়েন্টে। আদার অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান দূর করে দেবে ব্যথা। ৩) প্রতিদিন মাত্র ১ ইঞ্চি পরিমানের আদা কুচি খাওয়া অভ্যাস সাইনাসের সমস্যা প্রতিরোধে সহায়তা করে। ৪) বমি বমি ভাব হচ্ছে? কিংবা মাথা ঘুরানো? একটুখানি আদা স্লাইস করে লবণ দিয়ে চিবিয়ে খেয়ে নিন। দেখবেন বমি ভাব একেবারেই কেটে গিয়েছে। ৫) হজমে সমস্যার কারণে পেতে ব্যথা হলে আদা কুচি খেয়ে নিন। আদা পেতে গ্যাসের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে বেশ কার্যকরী। ৬) খাবারের পুষ্টি দেহে সঠিকভাবে শোষণ করার ক্ষমতা বাড়ায় আদা। তাই প্রতিদিন খুব সামান্য পরিমাণে হলেও আদা খাওয়া অভ্যাস করা উচিত সকলের। ৭) বুকে সর্দি কফ জমে গিয়েছে? নিঃশ্বাস টানতে সমস্যা হচ্ছে? ২ কাপ পানিতে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। পানি যখন অর্ধেক হয়ে আসবে জ্বাল হয়ে তখন ছেঁকে নামিয়ে ১ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে পান করে ফেলুন। বেশ আরাম পাবেন। সর্দি কফের সমস্যা না যাওয়া পর্যন্ত এই আদা চা পান করে চলুন। ৮) ত্বকে পড়ে যাচ্ছে বয়সের ছাপ? এক কাজ করুন প্রতিদিন সামান্য আদা কাচা চিবিয়ে খাওয়ার অভ্যাস করুন। আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিএইজিং উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহের টক্সিন দূর করে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে ত্বকে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করে অনেকটা সময়। কাঁচা রসুনের উপকারিতাঃ ১) হৃদপিণ্ডের সুস্থতায় কাজ করে। কোলেস্টেরল কমায়। এতে করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে। ২) শিরা উপশিরায় প্লাক জমতে বাঁধা প্রদান করে। রক্ষা করে শিরা উপশিরায় মেদ জমার মারাত্মক রোগ অথেরোস্ক্লেরোসিসের হাত থেকে। ৩) উচ্চ রক্ত চাপের সমস্যা দূর করে। ৪) গিঁট বাতের সমস্যা থেকে রক্ষা করে। ৫) ফ্লু এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। ৬) অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান দেহে খারাপ ব্যাকটেরিয়া প্রবেশ, জন্ম এবং বংশবিস্তারে বাঁধা প্রদান করে। ৭) যক্ষ্মা রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ৮) দেহের বিভিন্ন অংশের পুঁজ ও ব্যথাযুক্ত ফোঁড়ার যন্ত্রণা কমায়। ৯) যৌনমিলনের অসাবধানতা বশত রোগ ট্রিকোমোনিয়াসিসের হাত থেকে রক্ষা করে। ১০) হজমশক্তি বাড়ায় ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। ১১) কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। ১২) গলব্লাডার ক্যান্সার মুক্ত রাখে। ১৩) স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। ১৪) রেক্টাল ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Rabbe

Call

রসুন এক দারুণ পেনিসিলিন জাতীয় মসলা। রসুন মানুষের দেহে এমনকোনো রোগ বালাই নেই যার প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে না। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ ওয়েবসাইট ‘মেডলাইন প্লাস’ জানিয়েছে, বিশ্বের অসংখ্য মানুষ কোলন, রেক্টাল, পাকস্থলী, ব্রেস্ট, প্রোস্টেট, মূত্রথলি ও ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে রসুন ব্যবহার করে থাকেন।রসুন কারো কারো কাছে এটি মিনারেলসের মিনি স্টোর হিসেবে পরিচিত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ফসফরাস, অ্যালুমিনিয়াম, ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, কপার, ম্যাঙ্গানিজ, ক্লোরিন, সেলেনিয়াম, জিংক ও ভিটামিন ‘সি’। এটি চমৎকার অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টি-ফাংগাল, অ্যান্টি-ভাইরাল হিসেবে কাজ করে, যা আমাদের বিভিন্ন রোগবালাই থেকে দূরে রাখে। সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন কেন খাবেন তাহলে আসুন জেনে নেয়া যাক:প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক :রসুনে থাকা ভিটামিন ‘সি’র কথা বিশেষভাবে বলতে হয়। কেননা এই ভিটামিন স্কার্ভি রোগের প্রতিরোধক ও প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। একই সঙ্গে তা রক্তনালি নমনীয় রাখে।রক্ত চলাচলে সহায়তা :রসুনে ‘অ্যাজোইন’ নামক এক রাসায়নিক পদার্থ রয়েছে। এ পদার্থ নির্বিঘ্নে রক্ত চলাচলে সহায়তা করে। পাশাপাশি রক্ত জমাট বাঁধা প্রতিরোধ করে। একই সঙ্গে রক্তের কোলেস্টরেল কমাতে বিশেষ ভূমিকা রাখে।হরমোন নিঃসরণ :রসুনে থাকা সালফার আমাদের শরীরের নানা হরমোন নিঃসরণ করতে সহায়তা করে।হৃদরোগজনিত সমস্যা :হৃদজনিত বিভিন্ন সমস্যায় ভীষণ কার্যকর এ ভেষজ। ডাক্তারি পরীক্ষায় প্রমাণিত, এটি উচ্চ রক্তচাপও কমিয়ে দেয়।রোগজীবাণু ধ্বংস :রসুনে থাকা ‘অ্যালিসিন’ পদার্থ ক্ষত সারাতে ভূমিকা রাখে। তাছাড়া পদার্থটি যক্ষা, আমাশয়, টাইফয়েড প্রভৃতির রোগজীবাণু ধ্বংস করে।ঠান্ডা কমায় :ঠান্ডা লাগা, গলা বসে যাওয়া কিংবা গলাব্যথা, মাথাব্যথা, গেঁটে বাত, হাঁপানি, ব্রংকাইটিসের সমস্যায় রসুন চিবিয়ে খেলেএ ধরণের সমস্যাগুলো একেবারেই থাকে না।ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে :ডায়াবেটিকদের জন্য উপকারী মসলা এই রসুন। এটি ব্লাড সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে।হজমের সমস্যা দূর করে :লিভারের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় এবং হজমের সমস্যা দূর করে এ ঔষধি। অ্যালার্জি সারিয়ে তুলতে এর ভূমিকা সুবিদিত।ডায়রিয়া নিয়ন্ত্রণে আনে। শুধু যে রান্নার কাজে মশলা হিসেবে আদার ব্যবহার হয় তা নয়, শরীরের নানা রোগ উপশম করতেও এর জুড়ি মেলা ভার। আদা একটি অন্যতম উপকারি মসলা। এতে রয়েছে প্রচুর ভেষজ গুন। আদাখেলে শরীরের কি কি উপকার হয়, তা সংক্ষেপে দেয়া হল:১.আদার রস শরীর শীতল করে এবং হার্টের জন্য উপকারী।২.আদার রস এর সাথে লবন মিশিয়ে পান করলে, হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে, মল পরিস্কার করে, আমাশা সারায়, খিদে বাড়ায়, বায়ুও কফ দূর করে।৩.আদা এবং পাতিলেবুর রসের মিশ্রনে লবন মিশিয়ে খেলে মুখে রুচি বাড়ে এবং পেটের গ্যাস জনিত ফোলা কমে যায়।৪.কাশি এবং হাঁপানির জন্য আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করলে বেশ উপশম হয়।৫.গর্ভবতী মায়েদের সকালবেলা, বিশেষ করে গর্ভধারণের প্রথম দিকে সকালবেলা শরীর খারাপ লাগে। কাঁচা আদা দূর করবে এ সমস্যা।৬.অসটিও আর্থ্রাইটিস, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস-এই অসুখগুলোয় সারা শরীরের প্রায় প্রতিটি হাড়ের জয়েন্টে প্রচুর ব্যথাহয়। এই ব্যথা দূর করে আদা। তবে রান্না করার চেয়ে কাঁচা আদার পুষ্টিগুণ বেশি।৭.আদা লিভারের শক্তি এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিকরে, কৃমি নিঃসরণ করে, নাক, কান, গলা জনিত রোগের উপশম করে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
MHR

Call

আদার উপকারিতা আসুন জেনে নিই আদার নানা গুণ সম্পর্কে – ১/জ্বর, ঠাণ্ডা লাগা, ব্যথায় আদা উপকারী। কারণ আদায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা বডি টেম্পারেচারে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে ঠাণ্ডার সময় তাই আদা চা খেতে পারেন। ২/ঋতু পরিবর্তনের সময় অ্যাজমা, মাইগ্রেনের মতো সমস্যা প্রায়শই দেখা যায়। এই সময়ে ডায়েটে আদা রাখুন। সর্দি-কাশির প্রকোপের সময় মুখে আদা রাখলে, আরাম পাবেন। ৩/গা গোলানো ও বমিভাব থেকে রেহাই পেতে কয়েক কুচি আদা চিবিয়ে খেয়ে দেখুন। সমস্যা অনেকটা কমবে। ৪/আর্টারি ওয়ালে ব্যাড কোলেস্টেরল ও ফ্যাটি অ্যাসিড জমে করোনারি হার্ট ডিজিজের সমস্যা দেখা যায়। ফলে রক্ত চলাচলে অসুবিধে দেখা যায়। আদা রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। লিভার ও ব্লাডে কোলেস্টেরল অ্যাবজর্বশন কম রাখতে আদা সাহায্য করে। ৫/অতিরিক্ত ওজন ঝরাতেও আদা সাহায্য করে। টিস্যু বেশি এনার্জি ব্যবহার করায়, বেশি ক্যালরি বার্ন হয়। ৬/অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর আদা ক্যান্সার ও হার্টের সমস্যা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ওভারিয়ান ক্যান্সার প্রতিরোধে আদা উপকারী। ১০০ গ্রাম আদায় রয়েছে – এনার্জি: ৮০ ক্যালরি কার্বোহাইড্রেট: ১৭ গ্রাম ফ্যাট: ০.৭৫ গ্রাম পটাশিয়াম: ৪১৫ মিলিগ্রাম ফসফরাস: ৩৪ মিলিগ্রাম আদার আরো কিছু ওষুধি দিক – ১. আর্থ্রাইটিসের সমস্যায় ভুগলে সারা দিনের খাবারে অল্প পরিমাণে আদা রাখার চেষ্টা করুন। আদা দিয়ে চা খেতে পারেন, সালাদে আদার সরু, লম্বা কুচি মেশাতে পারেন। ব্যথার সমস্যা ধীরে ধীরে কমবে। ঘন ঘন ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়ার অভ্যাস কমিয়ে আদা খেয়ে দেখতে পারেন। আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমাতে জিঞ্জার অয়েল উপকারী। ২. গর্ভবতী মহিলাদের সকালে খারাপ লাগার সমস্যা কমাতে আদা সাহায্য করে। ৩. আদা হজমে সাহায্য করে। সতর্কতা – ১. গলস্টোনের সমস্যা থাকলে কত পরিমাণ আদা খাবেন, ডাক্তারের থেকে জেনে নিন। ২.গর্ভাবস্থায় সারা দিনে ২৫০ গ্রামের বেশি আদা খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া বাঞ্ছনীয়। ২২ ডিসেম্বর ২০১৪, ৮:৪০ রাত পিএনএস ডেস্ক অনেকের কাছেই সকালে খালি পেটে কাঁচা রসুন খাওয়াটা ভীষণ অস্বাস্থ্যকর মনে হতে পারে। কিংবা অনেকেই মনে করতে পারেন যে এটা স্রেফ একটা কুসংস্কার। কিন্তু আসলেই কি তাই? একদম না! খালি পেটে রসুন খাওয়া দেহের জন্য ভীষণ স্বাস্থ্যকর একটি ব্যাপার। বরং খালি পেটে রসুন খেলে এমন কিছু উপকার হয়, যেটা অন্য খাবারের সাথে রান্না করা করা অবস্থায় খেলে হয় না। চলুন, জেনে নিই খালি পেটে রসুন কীভাবে খাবেন ও কেন খাবেন। কীভাবে খাবেন খালি পেটে রসুন অবশ্যই খেতে হবে সকালে, নাস্তা করার আগে। চিবিয়ে খেতে না চাইলে পানি দিয়ে গিলে ফেলুন দুই কোয়া রসুন। তবে হ্যাঁ, অবশ্যই টুকরো করে নেবেন। উপকারিতা খালি পেটে রসুন খেলে রসুনের কার্যকারিতা আরো বেড়ে যায়, এটি পরিণত হয় একটি শক্তিশালী অ্যান্টিবায়োটিকে। গবেষকদের মতে খালি পেটে রসুন খাওয়া হাইপারটেনশন ও স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে, অন্যদিকে হজমের গণ্ডগোল রোধ করে। স্ট্রেস থেকে পেটে গ্যাসের সমস্যা হলে সেটাও প্রতিরোধ করে খালি পেটে রসুন। অন্যদিকে পেটের গণ্ডগোল জনিত অসুখ, যেমন ডায়রিয়া হলে এই খালি পেটে রসুন দ্রুত তা সারিয়ে দেয়। সকালে খালি পেটে রসুন খাওয়া শরীরের রক্ত পরিশুদ্ধ করে ও লিভারের ফাংশন ভালো রাখতেও সহায়তা করে। যাদের রসুনে অ্যালার্জি আছে তাঁরা এড়িয়ে চলুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ