শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

ইদানিং সোশাল মিডিয়াতে একটা ছবি খুব দেখা যাচ্ছে , একটা বোরখা পরা মহিলা হেটে যাচ্ছে তার দিকে “হা” করে ২জন মোটরবাইক আরোহী চেয়ে আছে। আর নীচের দিকে আরেকটা ছবিতে একজন মর্ডান নারী শার্ট-প্যান্ট পরে হেঁটে যাচ্ছে কিন্তু তার দিকে কেউ তাকাচ্ছে না । ছবিটিতে লেখা আছে “ IT’S NOT ABOUT THE DRESS IT’S ABOUT THE MENTALITY”। খুব সুন্দর একটা কথা ।

এখন কথা হচ্ছে এই ছবির সত্যতা বাস্তবিক অর্থে আসলে কতখানি । “টিজিং” নিয়ে কথা বলার আগে জানতে হবে “টিজার” কারা ? সব ছেলেই কি টিজার? না । কথাটা সত্য না। যদি মানুষিকতার দিক দিয়ে বলা হয় , ২৫% ছেলে আছে যারা সর্বদাই টিজ করবে।কি বাচ্চা, কি বুড়ো, কি তরুনী । তাদের কাছে কোন পার্থক্য নেই । এরা কুকুর সামিল । এদের হাত থেকে তাদের নিজেদের মা-বোন রক্ষা প্য কিনা তা নিয়ে আমি সন্দিহান । আবার বিপরীত ২৫ % ছেলেও আছে যারা কখনও টিজ করে না । এখন কথা হচ্ছে বাকী ৫০% কারা ??এরা হচ্ছে মাঝা-মাঝি । এরা,হয়ত প্রত্যক্ষ ভাবে টিজ করে না, কিন্তু পরোক্ষ ভাবে ঠিকই করে । হয়ত সে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিচ্ছে তখন পাশে দিয়ে কোন মেয়ে যাচ্ছে বন্ধুদের সাথে সেও যোগ দেয় । তারা কি মেয়ে দেখলেই টিজ করে ?? না । এখানেই চলে আসে কিছু ফ্যাক্টর । যার মধ্যে পরিবেশ , পরিস্থিতি, সামাজিক অবস্থান,অনেক কিছুই আছে । তবে সবচেয়ে বড় ফ্যাক্টর কিন্তু ভিকটিমের অ্যাপিয়ারেন্স। আর অ্যাপিয়ারেন্সের মাঝে পোশাক অবশ্যই বড় একটা ফ্যাক্টর । এই ছবিতে যা দেখানো হয়েছে তার কোন মিল বাস্তবে আমি পাইনি । আজ পর্যন্ত নিজের সামনে কোন বোরখা পরা মেয়েকে কেউ এমন হা করে দেখছে আর মর্ডান কালচার ফলো করা কাউকে , কেউই নোটিশ করছে না, এটা হয় নি ।

একটা ছোট স্ট্যাটিস্টিক দিই । আমার পরিচিতদের সাহায্যে ছোট গন্ডির মাঝেই একটা জরিপ করলাম । আমাদের মেডিকেলে যারা বোরখা পরে তাদের কখনও টিজের শিকার হতে হয়েছে কিনা? ১৯ জনের কাছে থেকে জানা হয়েছিল তার মাঝে কেবলমাত্র ১জন বলেছে সে দু-একবারের মত টিজের শিকার হয়েছে । এবং সে নিজেও বলেছে যে অন্যদের থেকে তার টিজের শিকার হবার ঘটনা খুবই নগণ্য । এখন প্রশ্ন হচ্ছে যারা বলছেন, শুধুমাত্র মেন্টালিটিই সব তাদের কাছে প্রশ্ন, ড্রেস যদি ফ্যাক্টর নাই হয় তাহলে বোরখা পরা মেয়েদের “টিজিং” এর শিকার হবার হার এত কম কেন হবে ? না, আমি কখনও বলছিনা সব মেয়েকেবোরখা পরেই চলতে হবে । এটা অবশ্যই তার নিজস্ব রুচিবোধের ব্যাপার । কিন্তু একটা ছোট জিনিসখেয়াল করি ? যখন কেউ শুধুমাত্র তার ফিটিং পায়জামাটা টাখনু থেকে ২ ইঞ্চি উপরে উঠিয়ে চলাফেরা করে, সেটা একটা ছেলের কাছে দেখতে যে কতটা ওড লুকিং লাগে ? আর সেটা থেকেই কিন্তু পরবর্তীতে এই টিজটাও চলে আসে ।

ছোট বেলা থেকে আমরা ভাবতে থাকি বাইরের দেশের সব ভালো । একটু বড় হবার পরে বুঝি বাইরের দেশ মানে উন্নত দেশ অর্থাৎ ইউরোপ , আমেরিকা, জার্মানির, কানাডার মত দেশগুলো । কথাটা সত্য না । আপনি যদি টপ টেন রেপ ক্রাইম দেশগুলোর নাম দেখেন তাহলে বিস্মিত হবেন। কারন নাম গুলো হচ্ছে যথাক্রমে দক্ষিন আফ্রিকা, সুইডেন, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইন্ডিয়া , নিউজিল্যান্ড, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া , জিম্বাবুয়ে, ডেনমার্ক । যদি সামাজিক অবস্থাই সবকিছু হত তাহলে সুইডেনের মত দেশে কেন প্রতি তিনজন টিন নারীর মাঝে একজন সেক্সুয়াল অ্যাসল্টের শিকার হয় ? উত্তর খুঁজতে গেলে কি শুধুই মানুষিকতা আসবে? মানুষিকতা অবশ্যই দায়ী কিন্তু আপনার পোশাকও যে কখনও বাধ্য করে সেটা ও মাথায় রাখা জরুরী। কারন, এক হাতে কখনও তালি বাজেনা। শুধুমাত্র মানুষিকতার দোহাই দিয়ে ইভটিজিং এর কীট থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ