অজান্তে মুখ বা জিহ্বায় কামড় পড়লে, শক্ত টুথ ব্রাশ বা সুচালো বাঁকা দাঁতের আঘাতে, দাঁতে ক্ষয়রোগ এবং মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় না থাকলে ঘন ঘন মুখে ঘা হয়ে থাকে। এছাড়া নানা ধরনের ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ, ভিটামিনের অভাব, বিভিন্ন ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়ও ঘা হতে পারে। তবে সাধারণত সবচেয়ে বেশি যে কারণে মুখে ঘা হয় তাকে বলে অ্যাপথাস আলসার। জিহ্বা, মাড়ি ও মুখের ভেতর দিকে অনেকটা ব্রণের মতো দেখতে সাদা ফুসকুড়ি বের হয়। বিশেষ কোনো ভিটামিনের স্বল্পতা, কোনো দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে মুখে ঘা হয়ে থাকে। তবে রক্ত পরীক্ষার পর জেনে নিতে হবে কী কারণে এ ধরনের ঘা হচ্ছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে সেরে যাবে। যেভাবে প্রতিরোধ করবেন প্রচুর পানি পান করুন। লবণ-পানি দিয়ে বারবার কুলি করুন। মেডিকেটেড মাউথওয়াশ বা অ্যান্টিসেপটিক জেল ব্যবহার করতে পারেন। মাড়িতে প্লাক জমলে তা অবশ্যই স্কেলিং করিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের সঠিক চিকিৎসা বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ভিটামিন ‘বি’-এর স্বল্পতা যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখ অপরিষ্কার, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন। ধূমপান, জর্দা দিয়ে পান খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করুন। মুখ ও জিহ্বার পরিচ্ছন্নতা প্রতিদিন দুইবার অন্তত দুই মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ করবেন। দুই থেকে তিন মাস অন্তর ব্রাশ পরিবর্তন করবেন। চিনি, চিনির তৈরি খাবার যেমন মিষ্টি, চকলেট, জুস, কোমল পানীয় ইত্যাদি বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আঠালো চকলেট আরও ক্ষতিকর। প্রতিদিন লবণ-পানি দিয়ে কুলি করার অভ্যাস ভালো। ধূমপান পরিত্যাগ করুন। গুল-জর্দা বা তামাক ব্যবহার করবেন না। বছরে একবার অন্তত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। ---কালেক্টেড!
নিসিন্দা পাতার রস দিয়ে পাক করা ঘি দিনে রাতে দু বার লাগাবেন | অথবা ভেড়ার দুধ ২০ মি.লি রে শুকনো অন্তমূল ঘষে মাঝে মাঝে ঘা,ক্ষত স্হানে লাগান | অথবা পাপড়ী খয়ের চূর্ণ ১ ড্রাম,১৫ ফোঁটা লবঙ্গের তেল,তার সাথে যজ্ঞ ডুমুরের রস মিশিয়ে পাতলা করে দিনে ২-৩ বার ব্যবহার্য | অথবা অরহড়ের কয়েকটি কচিপাতা ভাল করে ধুয়ে থেঁতো করে আস্তে আস্তে চিবান ৩-৪+ দিন | সূত্রঃ দেশীয় লতা-পাতায় চিকিৎসার নিয়মাবলী |