মাসিকের সময় তলপেটে ব্যথা একটা সাধারণ ব্যাপারই বলতে হয়। কিন্তু একটু সচেতন থাকলে এই ব্যথা এড়িয়ে চলা সম্ভব। এর রয়েছে কিছু ঘরোয়া সমাধান যা ডাক্তারের কাছে না গিয়েও প্রাথমিক পর্যায়ে যে কেউ নিজেই সারিয়ে তুলতে পারেন। এবার আসুন এ রকম কিছু পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নিই। পদ্ধতি - ০১ :- কোন বোতলে গরম পানি ভরে বা কাপড় গরম করে তলপেটে ২০/২৫ মিনিট ছ্যাক লাগান। এটা সপ্তাহে টানা ৩/৪ দিন করুন। এতে ধীরে ধীরে মাসিকের সময় ব্যাথা কমে যাবে। পদ্ধতি - ০২ :- এছাড়া আরেকটা পদ্ধতি আছে- সিজ বাথ। ৩ মিনিট গরম পানিতে কোমর ডুবিয়ে বসে থাকতে হবে। পরের ২/১ মিনিট ঠাণ্ডা পানিতে। এভাবে ২০/২৫ মিনিট সিজ বাথ নিতে হবে। এটাও সপ্তাহে টানা ৩/৪ দিন নিতে হবে। শুধু পানি বা পানিতে কিছু লবন, বেকিং সোডা বা ভিনেগারও ব্যবহার করা যায়। পদ্ধতি - ০৩ :- আরেকটা পদ্ধতি আছে- কেজেল ব্যায়াম। এটাও খুব উপকারী। এগুলো করলে যোনি মধ্যে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া বাধাপ্রাপ্ত না হয়ে আবার ঠিকঠাক হয়ে যাবে, ব্যাথাও কমে যাবে। কেজেল ব্যায়াম/ কেজেল এক্সারসাইজ :- কেজেল ব্যায়াম/ কেজেল এক্সারসাইজ/ কেজেল এক্সারসাইজ (Kegel exercises) প্রস্রাবের উপর নিয়ন্ত্রণ এবং শ্রোণী এলাকা (পেলভিস) অর্থাৎ তলপেটের নিম্নভাগের মাংশপেশীর সমস্যা রোধ করতে সাহায্য করে। এখানে কেগেল ব্যায়াম কিভাবে সঠিক ভাবে করতে হয় তার একটা স্টেপ বাই স্টেপ গাইড দেয়ার চেষ্টা করা হলো। কেগেল ব্যায়াম শ্রোর্ণী মেঝের পেশীকে দৃঢ এবং শক্তিশালী করে যাজরায়ু, মূত্রথলি এবং পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থাকে সাহায্য করে। আপনি প্রায় যে কোনো সময়ে শুয়ে বা বসেকেগেল ব্যায়াম করতে পারেন। এমনকি গর্ভবতী অবস্থায়ও করা যেতে পারে। কেন কেগেল ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ- সেটা আগে বুঝতে হবে।