শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

 * মাসিকের সময় জরায়ু ও যোনির অম্লভাব থাকে নাতাই এটি খুব সহজেই রোগজীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে
 

* মিলনের সময় এবং পরবর্তীতে প্রচন্ড ব্যথা হতে পারে
*
রক্তপাত তুলনামূলক ভাবে বেশি হতে পারে
*
দেহ অপবিত্র লাগে বিধায় মানসিক অরুচি সৃষ্টি হতে পারে
*
পুরুষ লিঙ্গে রক্ত লেগে যৌনমিলনে তার অরুচি জন্মাতে পারে
*
পুরুষের কোন রোগ (Sexual transmited disease) থাকলে এসময় অতিদ্রুত নারী যোনিতে ছড়িয়ে পড়ে
*
তেমনি নারীদেহেও কোন রোগ (Sexual transmited disease) থাকলে পুরুষ দেহে দ্রুত ছড়াতে পারে
*
জরায়ু মুখ ঘোরে যেতে পারে, যা পরবর্তীতে মারাত্মক কুফল বয়ে আনতে পারে
ইসলামের দৃষ্টিতে এসময় যৌন মিলন হারাম। 


পবিত্র কুরআন এ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
আর আপনার কাছে জিজ্ঞেস করে হায়েয সম্পর্কেবলে দেন, এটা অশুচিকাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রীগণ থেকে বিরত থাকো এবং যতক্ষন না তারা পবিত্র হয়ে যায় ততক্ষণ তাদের নিকটবর্তী হবে নাযখন উত্তম রূপে পরিশুদ্ধ হয়ে যায়, তখন গমন কর তাদের কাছে, যে ভাবে আল্লাহ হুকুম দিয়েছেননিশ্চয়ই আল্লাহ তওবাকারী এবং যারা অপবিত্রতা হতে বেঁচে থাকে তাদেরকে পছন্দ করেন” (বাকারা/আয়াত-২২২)
সুতরাং স্বামীর জন্য জায়েয হবে না স্ত্রী সহবাস করা যতক্ষন না স্ত্রী হায়েয থেকে মুক্ত হয়ে গোসল করে পবিত্র হয়
হায়েয অবস্থায় স্ত্রী সহবাস যে একটি গর্হিত ও হারাম কাজ রাসূলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর হাদিস থেকেও তার প্রমান পাওয়া যায়
আমাদের প্রানপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা) বলেছেন- যে ব্যাক্তি হায়েয অবস্থায় সহবাস করে বা পিছনের রাস্তা দিয়ে স্ত্রীর সাথে মিলন করে কিংবা কোন গণকের কাছে গমন করে, তবে সে আমার নিকট যা অবতীর্ণ হয়েছে তা অস্বীকার করল” [তিরমিযী]
বর্তমান চিকিতসা বিজ্ঞান বলছে যে, মাসিক অবস্থায় মেয়েদের জরায়ু থেকে যে স্রাব আসে, তাতে রয়েছে বিষাক্ত কিছু যৌগতাই পুরুষদের সিফিলিস, গোনোরিয়া, লিংগ ছোট হয়ে যাওয়া, লিংগ বিকৃতিসহ নানা রোগের কারন মাসিক অবস্থায় সহবাস করা
ডিম্বানু ভেঙ্গে তা মাসিকের স্রাবের সাথে বেরিয়ে যায়মাসিকের সময় কোন ডিম্বানু থাকে নাযারা মনে করে মাসিকের সময় সহবাস না করলে সন্তান হয় না, এটা তাদের চরম মুর্খতাতবে কখনো কখনো মাসিকের সময় ডিম্বানু গঠিত হয়, যদিও এটা বিরল
মাসিকের সময় একটি মেয়ে খুবই অসুস্থ থাকে, এর সাথে থাকে অসহ্যকর ব্যাথা-বেদনা, বমি বমি ভাব, মাথা ব্যাথাএই অবস্থায় তার সাথে সহবাস করা, তার উপর অমানবিক জুলুম ছাড়া আর কিছুই নয়
মাসিক অবস্থায়ঃ
১) মাসিক অবস্থায় স্ত্রী সহবাস করা হারাম
২) মাসিক অবস্থায় স্ত্রীর নাভী থেকে হাঁটু পর্যন্ত দেখা বা স্পর্শ করা হারাম
৩) মাসিক অবস্থায় নামায পড়া যাবে না এবং তার কাযা মাফ
৪) মাসিক অবস্থায় রোযা রাখা যাবে না, কিন্তু তার কাযা আদায় করতে হবে
৫) মাসিক অবস্থায় কুরআন শরীফ স্পর্শ করা বা মুখে উচ্চারণ করা হারাম
৬) মাসিক অবস্থায় স্ত্রীর সাথে শোয়া, তাকে চুম্বন কিংবা আলিঙ্গন করা জায়েয
৭) মাসিক শেষ, কিন্তু গোসল করে নাই, এমতাবস্থায় সহবাস করা যাবে না
৮) মাসিক তিন দিনের কম বা ১০ দিনের বেশি হলে ইস্তিহাযাইস্তিহাযা অবস্থায় নামায পড়তে হবে
৯) মাসিক অবস্থায় কাবা ঘর তাওয়াফ করা ছাড়া হজ্বের অন্যান্য কাজ করা যায়
এখানে খুবই সহজ কিছু মাসয়ালা দেয়া হলোমাসিকের মাসয়ালার পরিসর অনেক বড় মাসিকের মাসয়ালা সমূহ মনে রাখা অনেক কঠিন কাজশতকরা ৫ ভাগ মেয়েও সঠিক মাসয়ালা মানা দূরে থাক, জানেও না
তবে কেউ যদি ভুলে, অনিচ্ছাকৃত এবং না জেনে তাহলে তার কোন গুনাহ হবে নাআর যদি ইচ্ছাকৃতভাবে করে থাকে তাহলে কাফফারা দিতে হবেকাফফারার পরিমাণ একদিনার বা অর্ধ দিনারকোনো কনো ফিকাহ বিদের মতে স্বামী দুটির যে কোন একটি দিতে পারবেআবার কেউ কেউ বলেন মাসিকের প্রথম দিকে করলে ১ দিনার, শেষের দিকে বা মাসিক শেষ কিন্তু গোসল করে নি এমতাবস্থায় করলে অর্ধ দিনার [কিতাবুল কাবার/ পৃষ্ঠা-৫৫]

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যে মানুষ যেন তার স্ত্রীর মাসিক স্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোণ মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব করা হলে সয়তান তার আগে থাকে এবং সেই শয়তান দারা অই মহিলা গর্ববতী হয় ও হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলাম এ বলা হয় “খুন্নাস”)। প্রমানসুত্রঃ সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম,হাকিম তিরমিজি। see more---> http://www.homeopathybd.com/hejra-kano-jonmo-nai/

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ