আমি একটা মেয়ের সাথে প্রায়ই সেক্স করতাম।সেই মেয়েটার অন্য একজন বয়ফ্রেন্ড আছে আমারো গার্লফ্রেন্ড আছে,যাকে আমি কয়েক দিনের মধ্য বিয়ে করবো। এখন হঠাৎ করে ঐ মেয়েটা তাকে বিয়ে করার জন্য বিভিন্ন হুমকি ধমকি/চাপ দিচ্ছে।যা সে আগে কখনো বলে নাই, আগে আমাদের শুধু শারীরিক চাহিদা মিটানোর জন্যই মিলন হতো,অন্য কিছু ভেবে নয়।এখন তাকে একথা বললে বা তার বয়ফ্রেন্ড এর কথা বললে সে বলে আমি কিছু জানিনা আমি তোমাকেই ভালোবাসি এবং আমাকে তোমার বিয়ে করতে হবে।এখন আমার কি করনীয়?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

আপনার এই রকম ভাবে শারিরীক সম্পর্ক করা ঠিক হয় নাই । তবুও কিছু টিপস দিলাম । প্রথমে জেনে নিন যে মেয়েটির কাছে কোনো প্রমাণ আছে কি না । যে আপনে ওর সাথে সেক্স করেছেন । যদি না থাকে তাহলে মেয়েটির বয়ফ্রেন্ডকে বলুন মেয়েটিকে বিয়ে করে ফেলতে । আর আপনি জলদি একটা বিয়ে করে নিন । আর তাতে না হলে বাইরে কিছুদিন পালিয়ে থাকতে পারেন । এতে মেয়েটি নিরাশ হয়ে অন্য ছেলেকে বিয়ে করতে পারে ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
jahangir97

Call

যিনা হারামঃ আল্লাহ তাআলা যিনাকে হারাম ঘোষণা করে বলেনঃতোমরা যিনার কাছেও যাবে না। কেননা তা অত্যন্ত নির্লজ্জ এবং খারাপ কাজ সূরা বনী ইসরাঈলঃ ৩২।

 

রাসুলুল্লাহ  (সাঃ)বলেছেনঃকোন বেগানা নারীর প্রতি দৃষ্টি দেওয়া চোখের যিনা, অশ্লীল কথাবার্তা বলা জিহ্বার যিনা, অবৈধভাবে কাউকে স্পর্শ করা হাতের যিনা, ব্যাভিচারের উদ্দেশ্যে হেঁটে যাওয়া পায়ের যিনা, খারাপ কথা শোনা কানের যিনা আর যিনার কল্পণা করা আকাংখা করা মনের যিনা। অতঃপর লজ্জাস্থান একে পূর্ণতা দেয় অথবা অসম্পূর্ণ রেখে দেয় সহীহ আল-বুখারী, সহীহ আল-মুসলিম,সুনানে আবু দাউদ, সুনানে আন-নাসায়ী।

 

 

কোরআন শরিফ থেকে যিনার শাস্তিঃ আল্লাহ পাক যিনাকারী পুরুষ নারীর শাস্তির কথা ঘোষণা করে বলেনযিনাকার যিনাকারী পুরুষ এদের প্রত্যেককে একশকরে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান বাস্তবায়নে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে কোন দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হও। আর তাদের শাস্তি প্রদানকালে যেন মুসলমানদের একটি দল উপস্থিত হয়।” (সূরা-নূর, আয়াত-)

 

যিনার শাস্তি হাদিস শরিফ থেকেঃ রাসুলবলেছেনঃআমি স্বপ্নে একটি চুলা দেখতে পেলাম যার উপরের অংশ ছিল চাপা আর নিচের অংশ ছিল প্রশস্ত আর সেখানে আগুন উত্তপ্ত হচ্ছিল, ভিতরে নারী পুরুষরা চিল্লাচিল্লি করছিল। আগুনের শিখা উপরে আসলে তারা উপরে উঠছে, আবার আগুন স্তিমিত হলে তারা নিচে যাচ্ছিল, সর্বদা তাদের অবস্থা চলছিল, আমি জিবরীল আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞেস করলামঃ এরা কারা? জিবরাইল আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললঃ তারা হল, অবৈধ যৌনচারকারী নারী পুরুষ। সহীহ আল-বুখারী।

 

যিনার শাস্তি হাদিস শরিফ থেকেঃ হযরত আবূ হুরায়রা (রাঃ) যায়দ ইবনে খালিদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। দুই ব্যক্তি রাসূলুল্লাহএর নিকট অভিযোগ উত্থাপন করল। একজন বলল, ইয়া রাসূলুল্লাহআমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফয়সালা করে দিন। অপরজন ছিল অধিক বুদ্ধিমান। সেও বলল, হ্যাঁ, ইয়া রাসূলুল্লাহআমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফয়সালা করে দিন। রাসূলুল্লাহবললেন, আচ্ছা বল। লোকটি বলল, আমার ছেলে এই ব্যক্তির কাজ করত। সে তার স্ত্রীর সাথে যিনা করল। তখন তারা আমাকে বলল যে, আমার ছেলেকে প্রস্তর নিক্ষেপ করে হত্যা করা হবে। তখন আমি আমার ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে একশত বকরী আমার একটি বাঁদী দিয়ে দিলাম। তারপর আমি আলেমদের জিজ্ঞাসা করলাম। তাঁরা বলল, আমার ছেলেকে একশত বেত্রাঘাত করতে হবে এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর করতে হবে। আর তার স্ত্রীকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করতে হবে।

 

তখন রাসূলুল্লাহবললেন, শোন, আমার জান যার হাতে তার শপথ করে বলছি, আমি অবশ্যই তোমাদের মাঝে আল্লাহর কিতাব মোতাবেক ফয়সালা করব। তোমার বকরী এবং বাঁদী তোমার নিকট ফিরিয়ে দেয়া হবে। তোমার ছেলেকে একশত বেত্রাঘাত করে হবে এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর করা হবে। তারপর উনায়স আসলামী (রাঃ) কে বললেন, হে উনায়স! এই লোকের স্ত্রীর নিকট যাও। যদি সে স্বীকার করে, তবে তাকে প্রস্তর নিক্ষেপ করে হত্যা করো। তারপর মহিলাটি যিনার কথা স্বীকার করলে তাকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা করা হল।” (বুখারী, মুসলিম, তিরমিযী, নাসাঈ, আবূ দাউদ, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমদ, মুয়াত্তা মালিক, দায়িমী)

 

হে নারী পুরুষ সাবধান হও অবাধ যৌনচার থেকে….কারণ কেয়ামতের দিন নিজেদের বুঝা নিজেকেই উঠাতে হবে কেউ কারো গুনাহের বুঝা উঠাবে না….!!! আল্লাহ আমাদের সহী বুঝ দান করুক আমীন….!! 


░░░(¯`:´¯) ░░

░░(¯ `•.\|/.•´¯ )░

░(¯ `•.(۞).•´¯ )░(¯` :´¯)

░░(_.•´/|\ `•._) (¯ `•.\|/.•´¯ )

$♣♣♣অভিমানী ছেলে ♣♣♣$


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যিনা হারাম। জঘন্য পাপ। যেহেতু আপনি তার সাথে এই পাপ করেছেন তো তাকে বিয়ে করবেন, বিয়ে করে কোন মুফতি হুজুরের কাছে জিজ্ঞাসা করবেন সব (খুলে বলে)। তওবা করার সাথে সাথে ছাদগা দিতে হবে , নিয়ম কানুন হুজুরের কাছ থেকে জেনে নিন। ভাই আপনি অনেক বিপদে এবং বিপথে so দ্রুত কোন মুফতি হুজুরের কাছে জিজ্ঞাসা করবেন সব (খুলে বলে)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আমার মতে আপনি মেয়েটিকে বিয়ে করা উচিৎ। কারণ যিনা করা হারাম সুতারাং আপনি যার সাথে যিনা করছেন তাকে বিয়ে করে তওবা  করুন।আল্লাহ  ক্ষমাশীল হয়তো আপনিকে ক্ষমা করে দিবেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ