নির্দিষ্ট হারে সুদ হারাম তবে লভ্যাংশ হালাল। যদি কোন মুলধনের উপর নির্দিষ্ট হারে লভ্যাংশ দিতে কাউকে বাধ্য করা হয় তাহলে সেটা হারাম কিন্তু যদি ব্যবসার লাভ/লস অনুসারে লাভ/লস উভয়ই প্রদান করা হয় তাহলে সেটা হালাল। এখন যদি অাপনি ব্যক্তিগত গাড়ী কেনার জন্য লোন নেন সেটা বিলাসী পণ্য তাই এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট হারে সুদ দিলে হারাম হবে না কিন্তু যদি ব্যবসা করার জন্য লোন নিয়ে গাড়ী কেনেন তাহলে সেটার উপর নির্দিষ্ট হারে শুধুমাত্র লভ্যাংশ প্রদানে বাধ্য হন তাহলে সেটা হারাম হবে। সকল ব্যাংকগুলো সরকারের অনুমোদন সাপেক্ষে পরিচালিত হয় তাই তাদের ব্যাপারে সরকারের ব্যক্তিরাই অাল্লাহর কাছে জবাব দিবেন। অামরা চাইলেও ব্যাংকিং সিস্টেমকে পরিহার করতে পারব না কারন অামরা সরকারের সকল নিয়ম মানতে বাধ্য, এক্ষেত্রে সরকারী কোন নিয়মের জন্য যদি অামাদের ছোট-খাট অনিয়ম সহ্য করতে হয় অাল্লাহর কাছে তার জবাব সরকার দিবেন।
মোটেই যায়েজ নয়,এরা তাদের নিজ সারথের জন্য বলেছে, • হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা চক্রবৃদ্ধি হারে সুদ খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় কর। যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার। (সুরা আলে ইমরান-১৩০) • যারা সুদ খায় তারা ( কেয়ামতের দিন ) সে ব্যক্তির মত দাঁড়াবে, যাকে শয়তান আপন স্পর্শ দিয়ে মোহাবিষ্ট করে দেয়। তাদের এ অবস্হার কারণ, তারা বলে বেড়াতোঃ ব্যবসা তো সুদের মতই। অথচ আল্লাহ ব্যবসাকে হালাল আর সুদকে হারাম করেছেন।(সূরা আল বাকারা- ২৭৫) • আল্লাহ তা’আলা সুদকে নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান খয়রাতকে বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে। ( সূরা আল বাকারা - ২৭৬, আশাকরি বুঝতে পেরেছেন,১ম হাদিসের মাধ্যমে।