শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কুরান ই একমাত্র ধর্ম গ্রন্থ যেখানে বলা হয়েছে বিয়ে কর মাত্র একজন কে(সুরা নিসার নিম্নবর্তী আয়াতের অংশে) ।পৃথিবীর আর অন্য কোন ধর্ম গ্রন্থ নেই যা পিরুষের স্ত্রী সংখ্যার সীমাবদ্ধতার কথা বলেছে।বরং অন্যসব ধর্ম গ্রন্থের মতে পুরুষ বিয়ে করতে পারে যত তার ইচ্ছা। "বিয়ে কর তোমাদের পছন্দের নারী দুজন অথবা তিনজন অথবা চারজন, কিন্তু যদি আশংকা কর যে তোমরা তাদের সাথে ভারসাম্যপূর্ণ আচরণ নাও কর‍তে পার তাহলে মাত্র একজন(৪:৩) ইসলাম দুজন থেলে চার জন স্ত্রী রাখার অনুমিত দিয়েছে তা এই কঠিন শর্তের দ্বারা যে তা তখনই সম্ভব যখন তোমরা তাদের মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ সুবিচারপূর্ন আচরন করতে পারবে। একইই সুরার ১২৯ নম্বর আয়াতে এরশাদ হয়েছে যে- "তুমি কখনই পেরে উঠবে না স্ত্রীদের মধ্যে সমতা বজাই রাখতে। "(৪:১২৯) কাজেই ইসলামে একাধিক স্ত্রী রাখা বিধান নই বরং ব্যতিক্রম। বহুলোক এই ভুল ধারণায় নিমজ্জিত যে বহুবিবাহ অত্যাবশ্যক। এবারে নিম্নে আলোচিত পয়েন্ট গুলো দেখেন। ক//গড় আয়ু পুরুষের থেকে নারীর বেশি- প্রাকৃতিক ভাবে নারী পুরুষ সমান হারে জন্মায় কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবেই নারী শিশুর রোগ পতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি। তাই সারা প্রিথীবিতে পুরুষ শিশুর মৃত্যুর হার বেশি। সাধারণ দুর্ঘটনাক্রমে পুরুষের বেশি মৃত্যু হয়। যুদ্ধে পুরুষ বেশি মারা যাই। তামাক সেবনের কারনে পুরুষ বেশি মারা যায়। মাদক দ্রব্যের কারনে পুরুষ বেশি মারা যায়। তাই সারা পৃথিবীর যে কোন সময়ের ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় যে বিপত্নি থেকে বিধবার সংখ্যা অনেক বেশি। খ//বিশ্বব্যাপী নারীর সংখ্যা বেশি-শুধু মাত্র আমেরিকায় ৭০ লাখের ও বেশি নারী পুরুষের তুলনায়। আবার অনেক জায়গায় সমকামী পুরুষ বেশি। ইংল্যান্ডএ চল্লিশ লাখ নারী বেশি।জার্মানিতে ৫০ লাখ, রাশিয়াতে নব্বই লাখ। আল্লাহ জানেন কথাই কত নারী বেশি। ভারতের মতো দেশে পুরুষের সংখ্যা বেশি কারন এরা নারী ভ্রূণ হত্যাই ব্যাস্ত। সব মিলিয়ে দেখলে সারা পৃথিবীতে নারীর সংখ্যা পুরুষের থেকে অধিক। এবার ভাবুন যদি আপনার বা আমার বোন এমন দেশে থাকে যেখানে নারীর সংখ্যা খুব বেশি আর সেখানে সব পুরুষ বিবাহিত হল একটি করে নারীর সাথে এবং আপনার বা আমার বোনের মতো অতিরিক্ত নারীরা স্বামী পেল না। তাদের কাছে এখন দুটো রাস্তা আছে এক নম্বর পাব্লিক প্রপার্টি হয়ে যাওয়া আর দু নম্বর ইসলামী শরিয়াত অনুযায়ী অন্য পুরুষের সমান মান মর্যাদার সাথে তার দ্বিতীয় পত্নী হওয়া। আপনি আমি নিশ্চয় দুনম্বর টা বেছে নেব। এই পশ্চিমারা বিয়ের আগে গড়ে ৮ জনের সাথে অবৈধ সম্বন্ধে লিপ্ত হয় তাতে এওদের কোন অসুবিধা নেই।বিয়ের পর ও গালফ্রেন্ড নামক ওবৈধ রক্ষীতা রাখে তাতে এদের কোন অসুবিধা হয় না। আর ইসলাম যখন পূর্ণ মান মর্যাদার সাথে বহু পত্নীর কথা বলে তখন এদের সেটা হজম হয় না। এরা নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলে তাদের বিভিন্ন এডে নোংরা বেশভূষায় জনগনের সামনে সাজিয়ে পেষ করছে,বিভিন্ন নোংরা ছবি বানাচ্ছে,চরিত্র গ্রাস করছে, নারিদের মান মর্যাদার মাম হ্রাস পাচ্ছে,, মায়ামি বিচে মেয়েরা নগ্ন হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বেড়ে চলছে এদের সমাজে রেপ, বেশ্যাবৃত্তি, আরাও কত কি। আমাদের কারোর এমোন নারীভক্ষমতা চাই না। ইসলাম কোনদিন মানুষকে বাধা দেই না, বরং মানুষকে বাধা মুক্ত করে পাক পবিত্র জিবন জাপনে সাহায্য করে। বহুবিবাহ নারিকে কিভাবে ক্ষমতায়নে বাধা দেয়?। বরং এটা তাদের জীবনকে মান মর্যাদার সাথে জাপন করতে সাহায্য করে। আমাদের ইসলাম সম্পর্কে বেশি করে জানা উচিত কারন এটাই একমাত্র সঠিক দ্বীন। আর এই পশ্চিমাদের নকল করার কথা ভাবা একদম ইসলাম বিরোধী এবং ধ্বংশের পথ। আল্লাহ আমাদের হেফাজত করুক এই সমস্ত পশ্চিমাদের প্রভাব থেকে। লেখায় ভুল ত্রুটি থাকলে এবং বানান বা টাইপিং ভুল থাকলে মাফ করবেন এবং বিষয় বস্তুর উপর ধ্যান দেবেন।ধন্যবাদ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ভাই মো: আব্দুল্লাহ গত কাল একটা প্রশ্নের উত্তরে এই সর্ম্পকে বলছিলাম।আবার বলছি ইসলামী এক মাত্র ধর্ম যেখানে বলাহয়েছে একটা বিয়ে কর, তবে যদি সুবিচার করতে পার তবে ১,২,৩,৪ টা ইসলাম একটা সিমানা বেধে দিয়েছে। যদি বর্তমান পৃথিবীর দিকে তাকান তাহলে দেখবেন বিভিন্ন দেশে পুরুষ আপেক্ষা নারীর সংখা আনেক বেশি।নারীদের চাইতে পুরুষদের মৃত্যু হার আনেক বেশি। রাস্তাই ,যুদ্ধে ইত্যাদি জায়গাই নারীদের চাইতে পুরুষ বেশি মারা যায়। তাতে করে নারী সংখা বেশি হয়েছে। এখন প্রশ্ন হল কেন ইসলাম একাধিক বিয়ের আনুমতি দেয়। নারী সংখ্যা যেহেতু বেশি তাই যদি প্রতেক্য পুরুষ একটা করে বিয়ে করে তাহলে অনেক মেয়ে আছে য়ারা স্বামী পাবেনা। তারা কি করবে? তাদের জনগনের সম্পত্তি হওয়া ছাড়া কোন উপাই নেই। আমি চাই না আমার বোন জনগনের সম্পত্তি হোক। আপনি চাইতে পারেন যে আপনার বোন জনগনের সম্পত্তি হোক এইটা আপনার ব্যপার। নারির ক্ষমতা একমাত্র ইসলাম দিয়েছে।আমার জানা মতে পৃথিবীর আন্য কোন ধর্ম দেয়নি। হিন্দু ধর্ম নারির কোন আধিকার দেয়নি । ভগবান শ্রী কৃষ্ণের একসাথে ১৬১০৮ জন স্ত্রী ছিল তার মদ্ধে ৮ জন ছিল বিবাহিত স্ত্রী আন বাকি গুলো ছিল গোপি বা দাসি। পশ্চিমারা নারী আধিকারের নামে তারা নারিকে নিয়ে গেছে রক্ষিতা আন উপপন্তির স্থানে ।এইটা নারী আধিকার নামে নারীকে শোষন করা। নারীর ক্ষমতা ইসলাম যতোটা দিয়েছে তা কোন ধর্ম দেয়নি তাই পশ্চিমা নারিরা দলে দলে ইসলাম গ্রহন করছে। হয়রত আয়শা,ফাতেমা [র:] রাবেয়া বসরি[র] ইসল ইসলামে আরো আনেক মহিলা রয়েছে য়ারা কবিতা গান সাহিত্য ইত্যাদি ক্ষেত্র. বিশেষ স্থান দখল করেছে। তবে ইসলাম নারীর রাষ্ট ক্ষমতা লাভ করতে সমর্থন করেনা। বিশ্ব নবি [স:] বলেন “যে দেশের রাষ্টিয় ক্ষমতা নারীর হাতে থাকে সে দেশ কোখন উন্নত হবে না”

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ