Call

মা-মেয়ের মধ্যে বন্ধুত্বও অনিবার্য একটি দিক। বন্ধুদের ক্লোজ ডোর সিক্রেট, স্কুল-কলেজের টিচারদের নিয়ে গসিপ, এমনকি নতুন বয়ফ্রেন্ডের কথা বলার মত বন্ধু মা ছাড়া আর কে হতে পারে! অবশ্য এ জন্য মাকেই প্রথম বন্ধুত্বের উষ্ণ হাত প্রসারিত করতে হবে। শুধু শেয়ারই নয়, সমান তালে পরামর্শ আদান-প্রদান বা লেটেস্ট কোন বিষয় নিয়ে হইচই, তর্কও। বাড়িতে একদল বন্ধু এলে বাবা যেখানে রাশভারী মুখে বেশ কিছুটা দূরে থাকেন, মা সেখানে বন্ধুদের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতে পারেন। আসলে সে জন্যই বোধহয় মা-মেয়ের সম্পর্ক এতো স্পেশাল! গল্পচ্ছলে শেয়ার করতে পারেন ছেলেবেলার সেই সব স্মৃতি, যা হয়তো কখোনোই বলা হয়নি কাউকে। আবার সমস্যা যেখানে জটিল, ক্ষত যেখানে গভীর, সেখানেও মা বা মেয়ের মতো পরস্পরকে প্রলেপ আর কেউ দিতে পারেননা। এতো ঘনিষ্ঠ আর নিঃস্বার্থ সম্পর্ক আর হয়নাপরিবারের অন্য মানুষ, যতই কাছের হোন না কেন, মা বা মেয়ের মতো পরস্পরের চারিদিকে এরকম নিরাপত্তা বলয় তৈরি করতে পারেননা। মনে রাখতে হবে, স্নেহ যেহেতু নিম্নগামী, তাই সমাধানের উদ্যোগ মাকেই প্রথম নিতে হবে। রাগ, বিদ্বেষ, অভিমান কোনটাই জমিয়ে রাখা ঠিক নয়। শুরুতেই সংঘাতের কারন গুলি বের করে নির্মুল করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজন এই নতুন সময়, বয়সকে বোঝার চেষ্টা করা, সেই সাথে নিজের মেয়েটিকেও। মনে রাখতে হবে, আমার সন্তান হলেও সে সম্পুর্ন একটি আলাদা সত্ত্বা তাকে আমার বুদ্ধি দিতে পারি, কিন্তু বোধ নয়। প্রয়োজনে নিজের পুরোনো ধ্যান-ধারনা ও বিচারভঙ্গি কিছুটা বদলানো, খোলামেলা আলোচনা, মেয়ের অভিভাবকের চাইতে অনেক বেশী বন্ধু হয়ে ওঠার চেষ্টা করতে হবে। একঘেয়ে বস্তা বস্তা উপদেশ আর অনুশাসন নয়, বদলে সহযোগিতা ও সমর্থনের মধ্যে দিয়ে মেয়ের বিশ্বাস ও বন্ধুত্ব অর্জন করতে হবে। দেখবেন, বকে ধমকে যে কথা শোনাতে পারেননি, তার চেয়ে অনেক বেশী কথা শুনবে মেয়ে বন্ধুত্বের খাতিরে। অযথা পরস্পরকে সন্দেহ করবেন না। জোর করে আধিপত্য স্থাপনের চেষ্টা করবেন না। ক্রমাগত অভিযোগ করবেন না। এতে আপনারও খারাপ লাগবে, আর সন্তানও কষ্ট পাবে। কোন সমস্যা হলে মেয়ের থেকে লুকোবেন না। মনে রাখবেন মা-মেয়ের মত ভাল বন্ধু আর হয়না। মেয়ে উদ্যত ব্যবহার করলে তাকে প্রথমেই শাসন করবেন না। সহমর্মিতা দেখান। সময় দিন। নিজের স্নেহ, ধৈর্য ও বিচক্ষনতা দিয়ে ওকে শোধরাবার চেষ্টা করুন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ