ঘরোয়া উপাদান দিয়ে খুশকি দূর করার কিছু পন্থা এখানে দেওয়া হল। লেবু দুই টেবিল-চামচ লেবুর রস মাথার ত্বকে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। মিনিট খানেক অপেক্ষার পর অল্প পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে। খুশকির সমস্যা পুরোপুরি দূর না হওয়া পর্যন্ত এইভাবে চুলে লেবু ব্যবহার করা যাবে। আপেল সাইডার ভিনেগার কুসুম গরম পানির সঙ্গে খানিকটা আপেল সাইডার ভিনেগার মিশিয়ে নিতে হবে। পুরো মিশ্রনের পরিমাণ নির্ভর করকে চুলের ঘনত্ব এবং দৈর্ঘ্যের উপর। পুরো চুল এই মিশ্রণে ভিজিয়ে কিছুক্ষণ আলতো হাতে মাথার ত্বকে ঘষে নিতে হবে। এরপর চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে গোসলের আট থেকে দশ ঘণ্টা আগে যেন চুলে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার ব্যবহার করা হয়। তেল মাথার ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে চুলের গোড়ায় খুব ভালোভাবে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করতে হবে। এতে চুলের গোড়ায় জমে থাকা খুশকি আলগা হয়ে আসবে। অন্যদিকে চুলে নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহার করলে ফাঙ্গাসের কারণে খুশকির প্রকোপ কমাতে সাহায্য করবে। তাছাড়া চুলে গোড়ায় ময়েশ্চারাইজ করে খুশকি এবং চুলকানি থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করবে নারিকেল তেল। মাথার ত্বকে তেল ম্যাসাজ করে ২০ মিনিট পরে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
আসছে না আসছে করেও কিন্তু শেষেমেষ শীত এসে হাজির। নানা রকম সবজিতে ভরে গেছে বাজার। তাই শীত মানেই জমিয়ে খাওয়ার আয়েস। তবে ত্বক ও চুলের ক্ষেত্রে শীতকালটা কিন্তু মোটেও সুবিধার নয়।
শীতকালে চুল হয়ে ওঠে রুক্ষ-সুক্ষ। উপরন্তু বাড়তি পাওনা খুসকি। শীতকালে মাথার স্কাল্প শুষ্ক হয়ে ওঠে আর তাতেই এই সমস্যা। এছাড়া বিভিন্ন কারণেও খুসকি হতে পারে। যেমন-ব্যাকটেরিয়াল বা ফানগাল ইনফেকশন। চুলে ঠিক মত শ্যাম্পু না করা ও চুল ঠিক মত না আঁচড়ানো অথবা পুষ্টির অভাবে, এইসব কারণ হতে পারে খুসকির।
তবে আজকাল বাজার ভরে গেছে অ্যান্টি ড্যানড্রাফ শ্যাম্পুতে। কিন্তু এই শ্যাম্পুতে থাকা কেমিকেল খুসকি তো তাড়ায় কিন্তু চুল হারিয়ে ফেলে তার প্রাণ। অন্যদিকে আবার শ্যাম্পু ব্যবহার করা বন্ধ করলে ফিরে আসে খুসকি। তাই চিরতরের জন্য এই খুসকি বিদায় করতে আপনাদের জন্য রইল সহজ কিছু ঘরোয়া উপায়।
১) ২ চা চামচ গোলমরিচ গুঁড়ো আর দইয়ের একটি মিশ্রণ বানিয়ে ভাল করে চুলের গোরায় লাগান। এক ঘণ্টা রেখে কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) অলিভ ওয়েল বা তিল তেল সারা রাত চুলে লাগিয়ে সকালে স্নান করার ১ ঘণ্টা আগে চুলের গোরায় লেবুর রস লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
৩) ভিনিগার আর জল সমপরিমাণে মিশিয়ে সারারাত চুলের গোরায় লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৪) সারারাত মেথি ভিজিয়ে রাখুন, সকালে ভাল করে বেটে নিয়ে চুলের গোরায় লাগান। ২,৩ ঘণ্টা রেখে শিকাকাই বা রিঠা দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫) আপেল থেকে তার রস বার করে নিন। এই রস দিয়ে ভাল করে চুল ম্যাসাজ করুন, খুসকির হাত থেকে মুক্তি পাবেন।
৬) বিট মূলের রস,ভিনিগার আর আদার রস একসঙ্গে মিশিয়ে ভাল করে চুলের স্কাল্পে ম্যাসাজ করে কিছুক্ষণ পরে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত খুসকি দুর হবে।
৭) অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারীর পাতা বেটে ১৫-২০ মিনিট চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৮) চুলে শ্যাম্পু করার সময় এক চা চামচ বেকিং সোডা ভাল করে শ্যাম্পুর সঙ্গে মিশিয়ে তা দিয়ে চুল ধোবেন। একবার শ্যাম্পু করলেই তফাত বুঝতে পারবেন |
৯) নিম পাতার অনেক রকম অ্যান্টি ব্যায়োটিল, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ফানগাল গুণ আছে, তাই যাদের অনেক খুসকি আছে তারা নিমের পাতা বেটে আধ ঘণ্টা মাথায় লাগিয়ে রাখুন,পরে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দু’বার লাগান। আর খুসকি থাকবে না।
১০) রসুন যা সহজেই পাওয়া যায়, খুসকি সারানোর জন্য এটা খুবই ভাল। রসুনের পেস্ট বানিয়ে চুলে অধঘন্টা লাগিয়ে রাখুন পরে কোন মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।