হ্যালো, জিয়া আপনার জনা উচিৎ যে ,হস্তমৌথুন স্বাস্থ,যৌন ক্ষমতা,ও মানসিকতার জন্য অত্যান্ত ক্ষতি কারক। তাই আপনি সুস্থ হতে চাইলে সর্বপ্রথম আপনাকে হস্তমৌথুন সম্পুর্ন ভাবে ছেরে দিতে হবে । এবং ভাল ডাক্টারের পমামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে । মনে রাখবেন, আপনি হস্তমৌথুন থেকে বিরত থাকতে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলবেন। কেননা, ইসলাম হস্তমৌথুন সহ যাবতীয় বিকৃত সেক্স এবং অবৈধ সম্পর্ক সম্পুর্ন রৃপে নিসিদ্ধ করে দিয়েছে। সকাল সকাল ঘুমিয়ে পরবেন এবং খুব ভোরে জেগে উঠবেন,ফজরের নামাজ পরবেন ,একটু ঘোরাফেরা করবেন ভালো লাগবে, খারাপ চিন্তা মাথায় আসবেনা । আশা করি আআপনি স্বাভাবিক হতে পারবেন।
প্রশ্নটি করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি আপনার মাধ্যমে অনেকেই বিষয়টি সম্পর্কে ভালো ধারণা লাভ করবে। আপনার স্বাস্থ্য কেন এমন হয়ে আছে তা আমাদের বিস্তৃত বিশ্লেষণ করে বুঝানোর প্রয়োজন নেই। কিছু ভুল করে আসছিলেন সেই প্রথম যৌবন থেকেই, যা এদেশের তরুণরা নিজেদের শরীর সম্পর্কে ঐ বয়সে যৌনতা সংক্রান্ত সঠিক জ্ঞানটা না থাকার কারণে করে থাকে এবং নানা প্রকার কুসংস্কার মনে মনে লালন করতে থাকে।
আপনি হস্তমৈথুন করে আসছেন অনেক দিন যাবৎ। হয়ত এর মারাত্মক কুফলগুলি সম্পর্কে জানতেন না অথবা জানলেও অভ্যাসে পরিনত হওয়ার কারণে ছাড়ার কোনো উপায় ছিল না। আপনি যার কাছেই যাবেন অথবা এলোপ্যাথদের কাছে ট্রিটমেন্ট নিতে গেলেও সবাই আপনাকে কিছু নিয়ম কানুন আর উপদেশ দিয়ে ছেড়ে দিবে। কারণ একমাত্র হোমিওপ্যাথিতেই এর কার্যকর ট্রিটমেন্ট বিদ্যমান। হোমিও ঔষধ এক্ষেত্রে সরাসরি মনের উপর ক্রিয়া করে মন থেকে এই চিন্তা গুলি দূর করে অভ্যাসটাকেও নির্মূল করে দেয়। এছাড়া আপনি যতই উপদেশ পালন করতে চেষ্টা করেন না কেন কতটা লাভ হয় তার প্রমান আপনি নিজেই। তাই আপনার প্রতি পরামর্শ সবার আগে এই বদঅভ্যাস দূর করে যৌন ক্ষমতা স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসার জন্য ভালো এবং অভিজ্ঞ একজন হোমিওপ্যাথের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত জানান এবং কিছুদিন ট্রিটমেন্ট নিন। প্রপার হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা নিলে অচিরেই আপনার সব সমস্যাগুলি নির্মূল হয়ে আবার সুস্বাস্থ্য এর অধিকারী হয়ে উঠবেন ইনশাল্লাহ।
ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুনের খতিকারক দিক সমুহ:
ইসলামের দৃষ্টিতে এটা হারাম এবংকবীরা গুনাহ। শরীয়ত অনুযায়ী যারা
হস্তমৈথুন করে তারা সীমালংগনকারী ।শারীরিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা
হয়েছে। পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যে্সব সমস্যায় ভুগতে পারে তার মধ্যে একটি হল
[১ ] পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে
ধীরে ধীরে নপুংসক (Impotent) হয়ে
যায়। অর্থাৎ যৌন সংগম স্থাপন করতে
অক্ষম হয়ে যায় ।[২] আরেকটি সমস্যা হল অকাল
বীর্যপাত। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে
সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয় । বৈবাহিক
সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না ।[৩ ] অকাল বীর্যপাত হলে বীর্যে
শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় । তখন বীর্যে
শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০মিলিয়নের কম ।।
যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার
দেখা দেয় ।
(যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর
সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত ।
স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকেযদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয়না। )[৪ ] । অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষে যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয় ।Dr.Liu বলেন –
“There is a huge change in body
chemistry when one
masturbates excessively”
আর শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয়-
১ ) Nervous system, heart, digestive
system, urinary system এবং আরো
অন্যান্য system ক্ষতিগ্রস্ত হয় । পুরো
শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ –
বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায় ।
২ ) চোখের ক্ষতি হয় ।৩ ) স্মরণ শক্তি কমে যায় ।৪ ) মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক
সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে।
৫ ) আরেকটি সমস্যা হল Leakage of semen। অর্থাৎ সামান্য উত্তেজনায়
যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হয় । ফলে অনেক মুসলিম ভাই নামায পড়তে
পারেন না ।মহান আল্লাহ্ তা’ আলার স্মরণ থেকে মুসলিমদের দূরে রাখে
হস্তমৈথুন।রসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) বলেছেন-“যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের
মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুইপায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের)
নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চয়তা দিব । ” –
(বুখারী ও মুসলিম)
যৌন স্বাস্থ্যে সমস্যা থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় যৌন সমস্যা নিয়ে লজ্জায় কেউ আলোচনা করে না। প্রকৃতিতেই লুকিয়ে আছে যৌন স্বাস্থ্য সমস্যার অনেক সমাধান। প্রতিদিন খাবার তালিকায় কিছু পরিবর্তন নিয়ে এলেই স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন লাভ করা সম্ভব। আসুন জেনে নেই যৌন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এমন ৭টি খাবারের কথা।
01 | পালং শাক ও অন্যান্য সবজি |
02 | চিনি ছাড়া চা |
03 | রঙিন ফল |
04 | ডিম |
05 | বাদাম ও বিভিন্ন বীজ |
06 | তৈলাক্ত মাছ |
07 | ডার্ক চকোলেট |
ইসলামী দৃষ্টিকোন থেকে হস্তমৈথুন গর্হিত অপরাধ, কবিরা গুনাহ, হারাম। নিঃসন্দেহে পরিত্যাহ্য।
মেডিকেল সাইন্স এর বক্তব্য অনুসারে তা তেমন কোন ক্ষতিকর নয়।তবে কোনই যে ক্ষতি নাই, তা বলা যাবে না।
যতটা না শারিরীকভাবে ক্ষতি হয়, তার চেয়ে বেশী ক্ষতি হয় মানষিক ভাবে।
আপাতত পরামর্শ,
নিজের কাছে নিজে তওবা করা, নিজের কাছে নিজে ওয়াদা করা, আর না করার।
আপাতত কোন ঔষুধ না খেয়ে -
কিছু পুষ্টিকর কিন্তু উত্তেজক নয়, এমন খাদ্য গ্রহন করা,
রাত্রী বেশী না জাগা,
মোবাইল বেশী ব্যবহার না করা,
কোন রকম ফাষ্টফুড না খাওয়া,
উত্তেজন কোন গল্প, নাটক, মুভি, সিনেমা, অসৎ বা নোংরা বন্ধু ইত্যাদি এড়িয়ে চলা,
নিজ নিজ ধর্ম একাগ্রতার সাথে পালন করা।
মা-বাবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখা, তাদের প্রতিটি কথা মেনে চলা।
ইনশা আল্লাহ্ উপকার পাবেন।