প্রাপ্তবয়ষ্ক এবং সুস্থ ব্যক্তিরা প্রতিদিন ১০০ গ্রামের বেশি মাংস খাবেন না। যাদের হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, হৃৎপিণ্ডের রক্তনালীতে রিং বসানো হয়েছে, রক্তে ক্ষতিকারক কলেস্টেরলের মাত্রা বেশি, হাঁটলে বা জগিং করলে যাদের বুক ব্যথা হয় তারা অবশ্যই দৈনিক ৫০ গ্রামের বেশি মাংস খাবেন না। মাংসের ঝোল বর্জন করুন। কারণ ঝোলেই সবচেয়ে বেশি চর্বি থাকে। ইনসুলিন নির্ভরশীল ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের কোরবানির ঈদে গ্লুকোমিটার দিয়ে রক্তের গল্গুকোজ চেক করুন। গরুর মাংসে যাদের অ্যালার্জি আছে তারা আগেই প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিয়ে রাখুন। বেশি মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বেড়ে যায়। যাদের এনালফিশার বা পাইলস জাতীয় রোগ আছে তাদের পায়ুপথে জ্বালাপোড়া, ব্যথা ইত্যাদি বাড়তে পারে, এমনকি পায়ুপথে রক্তক্ষরণ পর্যন্ত হতে পারে। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি, সরবত, ফলের রস, ইসবগুলের ভুসি ও অন্যান্য তরল খাবার বেশি করে খাবেন। যারা কিডনির সমস্যায় ভোগেন তাদের কোন ক্রমেই অতিরিক্ত গোশত খাওয়া ঠিক হবে না। রান্নার আগে গরুর মাংসের চর্বি বাদ দিয়ে খুব ছোট ছোট টুকরা করে নিন। কোরবানির মাংসের দৃশ্যমান চর্বি মাংস কাটার সময়ই বাদ দিন। চর্বি কমাতে রান্নার আগে মাংসকে আগুনেও ঝলসে নিতে পারেন। মাংসকে হলুদ-লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে ফ্রিজে ঠাণ্ডা করুন, চর্বি মাংস থেকে বেরিয়ে জমাট অবস্থায় থাকবে। বাড়তি চর্বিটুকু চামচ দিয়ে আঁচড়িয়ে বাদ দিন। মাংসকে ঝাঁঝড়া পাত্রে রেখে অন্য একটি পাত্রের উপর বসিয়ে চুলায় দিন। ধীরে ধীরে নিচের পাত্রটিতে মাংসের চর্বি জমা হবে। এ পদ্ধতিতেও মাংসের চর্বি দূর করা যায়। মাংস ভালভাবে সংরক্ষণ করা জরুরী। ফ্রিজে সংরক্ষণ সম্ভব হলে ভাল। ফ্রিজ না থাকলে সঠিকভাবে মাংস জ্বাল দিয়ে রাখতে হবে। এমনকি মাংস সিদ্ধ করে শুকিয়ে শুঁটকির মতো করে অনেকদিন খাওয়া যেতে পারে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ