ধূমপানের ফলে যেমন একটি মানুষ তিলে তিলে শেষ হয়ে যায় তেমনি মাদক দ্রব্যের ফলেও একটি মানুষ কুড়ে কুড়ে নি:শেষ হয়ে যায়। এই মাদকাসক্তি তথা নেশার কারণগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো। বেকারত্ব: একজন ছাত্র লেখাপড়া করে সর্বোচ্চ ডিগ্রী অর্জন করেও চাকুরী পায়না, তখন সে হতাশাগ্রস্থ হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে এক সময় সে নেশার জগতে প্রবেশ করে। সঙ্গীদের চাপ: স্কুল, কলেজে পড়াকালীন সময় একজন ছাত্র যখন দেখে যে, তার অন্য বন্ধুটি নেশা করে। তারা তাকে নেশার জগতে আসার জন্য আহ্বান করে। এতে সে উৎসাহ পায়। ফলে সে নেশা করতে অভ্যস্থ হয়। তাছাড়া অনেক বন্ধু বান্ধব আছে যারা তার অপর বন্ধুকে জোর পূর্বক নেশা করায়। যৌবনের বিদ্রোহী মনোভাব: অনেক যুবক আছে যখন তাঁদের যৌবন চাঙ্গাহয়ে উঠে তখন তারা যে কোন অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। যার ফলে মাদকদ্রব্যের মত নেশায়ও তারা অভ্যস্থ হযে যায়। পারিবারিক পরিমণ্ডলে মাদকের প্রভাব: অনেক পরিবারে দেখা যায় পিতা নেশা করে। ছেলে তার পিতাকে অনুসরণ করে নেশা করতে থাকে। পিতাতখন তার ছেলেকে শাষণ করতে পারে না। ধর্মীয় অনুভূতির অভাব: ধর্মীয় জ্ঞান না থাকার কারণে অনেকে মাদকের সুফল-কুফল সর্ম্পকে জানেনা। ফলে তারা মাদকাসক্তিতে আসক্ত হয়। মাদকের সহজলভ্যতা: এখন দেশের আনাচে কানাচে যেখানে সেখানে অতি সহজে হাতের নাগালে নেশা জাতীয় দ্রব্য পাওয়া যায়। তার ফলে মাদক গ্রহণকারীর সংখ্যা বাড়ছে। শিক্ষা কার্যক্রমে বিষয়টি অনুপস্থিত: মাদক দ্রব্যের কুফল সর্ম্পকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষা দেয়া হয় না। যার ফলে ছাত্র-ছাত্রীরা এ সর্ম্পকে অজ্ঞথাকে। আর এ অজ্ঞতার ফলে মাদক দ্রব্য সেবনকারী অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়েই চলছে। আনন্দ লাভ: কয়েকজন বন্ধু মিলে বিভিন্ন পার্টি বা অনুষ্ঠানে নেশা করে আনন্দ ফূর্তি করে। যার ফলে মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। নেশার প্রতি কৌতূহল: অনেকে আছে তার অপর বন্ধুকে মদ পান করতে দেখে আসক্ত হয়। জীবনের প্রতি আস্থাহীনতা: জীবনের প্রতি যখন কোন মানুষের বিতৃষ্ণা এসে যায় তখন সে জীবনের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলে। ফলে মাদক দ্রব্য সেবন করে। অর্থাভাব: অর্থের অভাবে অনেক সময়যুবকরা মাস্তানি, চুরি, ছিনতাই, রাহাজানি, দস্যুতা, ডাকাতি, অপহরণ, মুক্তিপণ আদায় থেকে শুরু করে খুন-খারাবি পর্যন্ত করতে দ্বিধাবোধ করে না। যার ফলে সে নেশা পানে আসক্ত হয়ে পড়ে।