শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
MituShaleh

Call

বছরে আপনি ব্যক্তিগত যে আয় করেন, এর একটি ভাগ সরকারকে দিতে হবে। একে আয়কর বলা হয়। আয়কর না দিলে শাস্তির বিধান আছে। নিয়মিত আয়কর না দিলে রাষ্ট্রের অনেক সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হতে হয়। আয়কর প্রদানের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মানতে হয় এবং জানতেও হয়। নইলে আয়কর দেওয়ার ক্ষেত্রে হতে পারেন জটিলতার সম্মুখীন। আয়কর রিটার্ন কী এবং কারা দেবেন? আয়কর কর্তৃপক্ষের কাছে একজন করদাতার বার্ষিক আয়ের সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করার মাধ্যম হচ্ছে আয়কর রিটার্ন। আয়কর আইন অনুযায়ী জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্ধারিত ফরমে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হয়। বর্তমান অর্থবছর থেকে কোনো ব্যক্তি করদাতার আয় যদি বছরে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হয়, তবে তাঁকে রিটার্ন দিতে হবে। নারী এবং ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সের পুরুষ করদাতার আয় যদি বছরে ৩ লাখ টাকার বেশি, প্রতিবন্ধী করদাতার আয় যদি বছরে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি এবং গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার বেশি হয়, তাহলে তাঁকে রিটার্ন দিতে হবে। তবে আয়ের পরিমাণ যা-ই হোক না কেন, কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক—১. আয় বর্ষে করযোগ্য আয় থাকলে; ২. আয়বর্ষের পূর্ববর্তী তিন বছরের যেকোনো বছর করযোগ্য আয় নিরূপিত হলে; ৩. সিটি করপোরেশন অথবা বিভাগীয় ও জেলা শহরের পৌরসভায় বসবাসকারীদের: ক. একটি গাড়ির মালিক হলে; খ. মূল্য সংযোজন কর আইনে নিবন্ধিত কোনো ক্লাবের সদস্য হলে; ৪. সিটি করপোরেশন, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ট্রেড লাইসেন্স ও ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকলে; ৫. চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, আয়কর আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, প্রকৌশলী, স্থপতি, সার্ভেয়ার অথবা সমজাতীয় পেশায় নিয়োজিত সব ব্যক্তি; ৬. চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ অথবা কোনো বাণিজ্য সংগঠনের সব সদস্য; ৭. পৌরসভা, সিটি করপোরেশন অথবা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব পদপ্রার্থী; ৮. সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের ঠিকাদারি কাজে টেন্ডারে অংশগ্রহণকারী সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ