Call

ইসলামে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা পোশাক নির্ধারন করা হয়েছে। ১.পুরুষদের ক্ষেত্রে নাভী থেকে হাটুর নিচ পর্যন্ত ঢেকে রাখা পুরুষ সমর্থন করে। ২.স্বাধীন মহিলাদের ক্ষেত্রে হাতের তালু, মুখমন্ডল, পায়ের টাকনু ব্যাতিত সকল অঙ্গ ঢেকে রাখা ফরজ। এর থেকে কম কেউ পরিধান করলে তা ইসলাম গ্রহন করে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

ইসলামে ১০ প্রকারের পোষাক পরিধান হারাম । বাকী সকল প্রকার পোষাক পরিধান করা বৈধ । হারাম পোষাক হল ১/ পুরুষের জন্য নারীর পোষাক । ২/ নারীর জন্য পুরুষের পোষাক । ৩/ নারী- পুরষ উভয়ের জন্য এমন পাতলা পোষাক যা পরিধান করলে শরীরের ভেতর পর্যন্ত দেখা যায় । ৪/ নারী- পুরষ উভয়ের জন্য এমন  টাইট পোষাক যা পরিধান করলে শরীরের আয়েব বা উচু-নিচু স্থান চোখে পড়ে । ৫/ পুরুষের জন্য রেশমী বা সিল্কের পোষাক । ৬/  নারী- পুরষ উভয়ের জন্য এমন   পোষাক যা পরিধান করলে অহংকার প্রকাশ পায় । ৭/ পুরুষের জন্য লাল বা হলুদ রংয়ের পোষাক পরিধান করা নিষেধ । ৮/ পুরষের জন্য টাখনুর নিচে জুলিয়ে কাপড় পরিধান করা হারাম । ৯/ নারী- পুরষ উভয়ের জন্য এমন  পোষাক যা পরিধান করলে বিধর্মী বলে মনে হয় । যেমন- হিন্দুদের পৈতা,অথবা ধুতি-পাঞ্জাবী, বৌদ্ধদের গেরুয়া রংয়ের পোষাক, খৃষ্টানদের নান বা ফাদারগণ যে পোষাক পড়ে । শিখদের পাগড়ী ও বালা ।মেয়েরা হিন্দুদের মত হাতে শাখা ও কপালে সিঁদুর পড়া বা কপালে টিপ দেয়া । খৃষ্টাদের ক্রস গলায় পরিধান করা । ১০/ পুরুষেরা সকল প্রকার অলংকার পরিধান করা হারাম । এসব ছাড়া বাকী সকল প্রকার পোষাকই বৈধ ও সুন্নতও বটে । কারণ- সকল দেশের আবহাওয়া সমান নয়, তাই পোষাক ভিন্ন ভিন্ন হওয়াই স্বাভাবিক। অথচ, রাসুল সঃহলেন বিশ্ব নবী । তাই ইসলাম মুসলীমদের জন্য কোন ইউনিফর্ম নির্ধারণ করেনি । শুধু নিষিদ্ধগুলোর বর্ণনা দিয়েছে  যাতে করে পৃথিবীর সব প্রান্তে থেকেই সব ধরনের পোষাক পড়েই ইসলাম মানা যায় । 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ