শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
KironKhan

Call

বাংলাদেশে ইন্টারনেট বিজনেস বলতে ই-কমার্স শব্দটাই বেশি ব্যবহার হয়। অনলাইনে ওয়েবসাইট থেকে কেনা গেলে সেটা ই-কমার্সই বলে। সেই অর্থে বিষয়টা ঠিক আছে । কিন্তু এই ই-কমার্স মানেই পুরো ইন্টারনেট বিজনেসকে বুঝায় না । সেই বিষয় আরেক দিন লিখবো। ধরে নিলাম আপনি অনলাইনে একটা ওয়েব সাইট খুলে তা থেকে কিছু বিক্রয় করতে চাচ্ছেন। এই ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করতে গেলে আপনার কি লাগবে তাই নিয়ে আজ লিখছি।

এখানকার পত্রিকায় , সোশ্যাল মিডিয়া , এখন পর্যন্ত নেয়া উদ্যোগ গুলোর দিকে তাকালে সহজেই মনে হতে পারে ই-কমার্স মানে অনেক বড় কিছু , অনেক টাকা লাগবে এবং কারিগরি বিষয়ে অনেক দক্ষ হতে হবে। আসলে বিষয়টি মোটেও সেকরম নয়। ইন্টারনেটের এতো জনপ্রিয়তার অন্যতম কারন ব্যাক্তি পর্যায়ে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ের উদ্যোগ । আপনি যদি ওয়েব ব্রাউজ করে থাকেন দেখবেন এমন অনেক সাইট আপনি পেয়ে যাবেন যা থেকে অল্প কিছু প্রোডাক্ট বিক্রি হচ্ছে । সাইটটি ভালোই উপার্জন করছে ।

ক্ষুদ্র পরিসরে  -কর্মাস সাইট  তৈরি করার জন্য যা লাগবেঃ

) লাভ জনক  মৌলিক  আইডিয়া বের করাঃ আইডিয়াটা মৌলিক হওয়া খুব গুরুত্বপূর্ন । অন্যের দেখাদেখি আপনিও একই ব্যবসা শুরু করতে না চাওয়াই ভালো । বাংলাদেশে অনলাইনে কেনা বেচা মাত্র শুরু হলো । চাইলেই অনেক সহজেই ভালো কিছু আইডিয়া খুজে পাবেন।  খুব ভালো হয় যদি আপনি যে বিষয়ে ভালো জানেন তা নিয়ে শুরু করা । অথবা আপনার শখ বা যে বিষয়ে আপনার বেশ আগ্রহ আছে সেই বিষয়ও আপনি নির্বাচন করতে পারেন। যদি মাথায় কিছু না আসে তাহলে যখন বিভিন্ন ধরনের সাইট ব্রাউজ করেন তা দেখে আইডিয়া নেয়ার চেস্টা করতে পারেন । এমন অনেক সাইট আছে যার মতো আমাদের এখানেও করা যায়। এমন কিছু পেলে লিখে রাখতে পারেন । অনেক গুলো আইডিয়া জমলে সেগুলো সাম্ভাব্যতা যাচাই করে কোন একটা নির্বাচন করতে পারেন।

) টার্গেট মার্কেট নির্দিস্ট করা :– আপনি সবাইকে টার্গেট করলে ভূল করবেন।সবার জন্য প্রোডাক্ট নিয়ে ব্যবসা শুরু করাও ভুল ।যাদের অনেক বাজেট অনলাইন মেগাস্টোর করতে চায় তাদের জন্য বিষয়টা ঠিক আছে।আপনার উচিত হবে নির্দিস্ট একটা নিশ নিয়ে কাজ করা । অনলাইন বিজনেসের ক্ষেত্রে নিশ মার্কেটিং একটা খুব জনপ্রিয় ধারনা। এই ভালো একটা নিশ কে টার্গেট করে এগুলো ভালো করবেন।

) ব্যবসার জন্য পরিক্লপনা তৈরিঃ এখানেই আমরা অনেক ভূল করি । আমাদের সাথে পাশ্চাত্যের ব্যবসায়ীদের পার্থক্য এখানে । আমরা ব্যবসার জন্য পরিক্লপনা না তৈরি করেই ব্যবসা শুরু করে দেই । এজন্য অধিকাংশ ব্যবসায়ী মাঝখানে এসে হোছট খায় অথবা জানে না গন্তব্য কি । আমার মতে খুব সংক্ষিপ্ত হলেও মানে এক দুই পাতার হলেও একটা পরিকল্পনা আপনার অবশ্যয় করা উচিত । কিভাবে তৈরি করতে হবে এই পরিক্লপনা ও নিজের ব্যবসা তৈরি করা নিয়ে বিনা ফিতে myownbusiness.net এই সাইটটি থেকে কোর্স করে নিতে পারেন । এখন প্রায়  ফ্রিল্যান্সার থেকে উদ্যোক্তা হওয়া নিয়ে সভা সেমিনার হচ্ছে , পত্র-পত্রিকায় লেখালেখি হচ্ছে। উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য এই সাইটটির কোর্সটি বেশ কাজে দিবে।

) সাইট তৈরি /টেকনিক্যাল সলিউশ্যান : পৃথিবীব্যাপি ওয়ার্ডপ্রস সেই ক্ষেত্রে খুবই জনপ্রিয় । একটা প্রিমিয়াম থিম ( ৫০-৬০ ডলার ) , একটা ই-কমার্স প্লাগিন ( jigoshop , woocommerce )  দিয়ে শুরু একটা স্টোর তৈরি করা খুব সহজ। jigoshop ফ্রি ভার্সন দিয়ে চেস্টা করতে পারেন।  বিকাশ , ক্যাশ অন ডেলিভারির কারনে   মুটামুটি বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আপনাকে অফলাইনে অর্থ সংগ্রহ করতে হবে  । যেকোনো ই-কমার্স প্লাগিন ক্রেডিট কার্ড পেমেন্ট গ্রহন করতে পারে। বাংলাদেশের ক্রেডিট কার্ড গুলো যদি সমস্যা করে তাহলে  যারা ক্রেডিট কার্ডে পেমেন্ট করতে চাইবে তাদের জন্য আলাদা প্লাগিন তৈরির অথবা এড-অন তৈরির প্রয়োজন হতে পারে। এস এস এল কোম্পনী গুলো এই প্লাগিন তৈরি করে দিলে বিষয়টি খুব সহজ হয়ে যাবে। এছাড়া পেপল যদি আসে পুরো বিষয়টা একেবারে সহজ হয়ে যাবে।

অনলাইনে পুরোপুরি পেমেন্ট সংগ্রহ করা বাংলাদেশে এখনো বিষয়টি একেবারে সহজ নয় । যে পরিমানে খরচ পড়ে তাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য একটু সমস্যা । তবে এগিয়ে যেতে হবে । অনেক উদ্যোগ তৈরি হলে আস্তে আস্তে বিষয়গুলোর সহজ সমাধান তৈরি হবে । আপনি জানেন টেকনোলজী দ্রুতই পরিবর্তন হচ্ছে । দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সব কিছু ।  সবকিছু ঠিক হলেই শুরু করবেন এমনটা করলে ভুল হবে। আপনারও তৈরি হতে সময় লাগবে । তাই এগিয়ে যেতে হবে যা আছে তাই নিয়ে । বাংলাদেশে এখনো বিষয়টি একেবারে সহজ নয় । যে পরিমানে খরচ পড়ে তাতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য একটু সমস্যা । তবে এগিয়ে যেতে হবে ।  আপতত ক্যাশ অন ডেলিভারি , বিকাশ  ও ব্যাংক পেমেন্টের মাধ্যমে পেমেন্ট সংগ্রহ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনার একটা ক্লিন ইমেইজ তৈরি করে নিতে হবে জেনো ক্রেতা সহজেই আপনাকে বিশ্বাস করে।

সাইট তৈরিতে খরচ কেমন হবেঃ

  • ডোমেইন হোস্টিং : বছরে প্রায় ৫ -১৫ হাজার টাকা ।
  • ওয়ার্ডপ্রেস থিম – ৪০০০ হাজার টাকা
  • প্লাগিন – ফ্রি । পরে দরকার হলে কিনে নিতে পারেন । তাও খুব বেশি খরচ পড়বে না ।
  • ডিজাইন কাস্টোমাইজেশন , লগো তৈরি :  নির্ভর করবে আপনি কি করতে চান । প্রিমিয়াম থিম গুলোর তেমন কিছু প্রয়োজন হয় না । হেডার, লগো পরিবর্তন করেই মৌলিক একটা ডিজাইন তৈরি করা যায় । সেই ক্ষেত্রে ধরুন আরো ৫০০০ টাকা । কমে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
  • আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার না জানেন ইউটিউব থেকে শিখে নিতে পারেন । আর অন্য কারো সাহায্য নিতে চাইলে নিতে পারেন ।

     ২০,০০০ -৩০,০০০ হাজার টাকার মধ্যেই খুব ভালো মানের একটা সাইট আপনি তৈরি করে নিতে পারবেন

) সাপ্লাইন চেইন ঠিক করা : ঠিক করতে হবে প্রোডাক্ট কোথা থেকে আসবে অথবা কিনবেন অথবা নিজেই বানাবেন কিনা, স্টক কিভাবে মেইনটেইন করবেন , অর্ডার হওয়ার পর কিভাবে ক্রেতার কাছে পৌছাবেন । এই ক্ষেত্রে শামীম ভাইয়ের পরামর্শটি খুবই গুরত্বপূর্ন।ভালো কোন কুরিয়ারের সাথে চুক্তি করতে পারেন।

) টিম তৈরি করা : সাফল্য নির্ভর করবে কেমন টিম আপনি তৈরি করতে পারছেন।  কে কি ধরনের ভুমিকা পালন করছে। একটা লিস্ট করে নিতে পারেন কি ধরনের স্কিল এই ধরনের ব্যবসা করতে লাগবে । প্রথমেই সব ধরনের স্কিলের কর্মী  স্থায়ীভাবে নিয়োগ না দিয়ে ফ্রিল্যান্সার কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের কাছে আউটসৌর্সিং করতে পারেন । ব্যবসা বাড়ার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রথমে খন্ডকালীন , পরর্বত্তীতে পূর্নকালীন কর্মী নিয়োগ করতে পারেন।

) মার্কেটিং : সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন । অনলাইনে কেনাবেচা করা শুরু করার অর্থই হলো আপনি ইন্টারনেট থেকে ক্রেতা সংগ্রহ করবেন । সেই ক্ষেত্রে ইন্টারনেটে একটি সাইটকে প্রচার করার বিষয়টা অনেক বেশি জরুরী । আপনার মার্কেটিং কৌশল অফ লাইন এবং অনলাইনের সংমিশ্রনে হতে হবে।কিন্তু অনলাইন মার্কেটিংয়ে আপনার ব্যর্থতা কিংবা সফলতাই ঠিক করে দেবে আপনার অনলাইন ব্যবসার ভবিষ্যত । এবং আপনি প্রথমেই যে টার্গেট গ্রুপকে নির্দিস্ট করে ছিলেন তাদের কাছে পৌছানো , তাদেরকে ক্রেতা বানানো , তাদের ধরে রাখার জন্য সার্চ, সোশ্যাল , ইমেইল মার্কেটিং সহ অনলাইনের আরো যে যে পদ্দ্বতি গুলো প্রযোজ্য তা সঠিক ভাবে কাজে লাগানো এবং   ক্রমাগত কাজে  লাগিয়ে যাওয়ার উপর নির্ভর করবে আপনার সাফল্য ।

আসলে  অফলাইন বিষয়গুলোর চেয়ে  ওয়েব টেকনোলজি ,ইণ্টারনেট মার্কেটিং আপনার সাফল্যের সাথে জড়িত ।

 ) রেজাল্ট পর্যালোচনা করা -প্রতিটি বিষয়ে কেমন করছেন তা পর্যালোচনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ন । প্রথম দিকে এই পর্যালোচনার কাজটি বেশি করতে হবে। প্রথম দিকে ধরে নেয়া যায় যে আপনি অভিজ্ঞ নয় । আপনার ভুল হওয়ার সুযোগ অনেক বেশী থাকবে । ভুল গুলো চিন্থিত করে সুধরানোর তড়িত ব্যবস্থা নেয়া অনেক জরুরী হবে।

) থার্ড পার্টি পেমেন্ট গেইটওয়ে : বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেন না । ক্যাশ অন ডেলিভারী আপনাকে এমনিতেই প্রথমে রাখতে হবে । সেই ক্ষেত্রে প্রথম দিকে আপনার ব্যবসার কনসেপ্টটি কাজ করছে তা  বুঝা জরুরী। তাই শুরুতে কিছুদিন  ক্রেডিট কার্ড ছাড়া বিকল্প পদ্বতিগুলোতে পেমেন্ট সংগ্রহ করতে পারেন। শুরু করা সব সময় একটু কঠিন ও ঝামেলার । তাই যত সহজেই শুরু করা যায় ভালো । অনেকে হয়তো এই পেমেন্ট গেটওয়ে কিভাবে সেট-আপ করবেন তা না বুঝার কারনে আবার কারিগরি জটিলতা ও বাজেটের কারনেই শুরু করবে না। সাফল্য আসার সাথে সাথে আপনার  অনেক কিছুই পরিবর্তন ও উন্নত করে নিতে পারবেন। ওয়েব সাইট ডেভেল্পমেন্ট এর সাথে থার্ড পার্টি পেমেন্ট গেইটওয়ে লাগবে ক্রেতার কাছ থেকে পেমেন্ট নেওয়ার জন্য। এর জন্য ১৫-২০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। আমার মতে সম্পুর্ন ই-কমা্স সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট হচছে পূরো বিজনেস এর ৫% ইনভেস্টমেন্ট। বাকি ৯৫% ইনভেস্টমেণ্ট হচ্ছে মার্কের্টিং ইনভেস্টমেন্ট। বাংলাদেশের বশিরভাগ উদ্দোক্তা ৯৫% মা্কের্টিং ইনভেস্টমেন্ট কে উপেক্ষা করে ই-কমা্স সিস্টেম ডেভেলপমেন্ট কে ১০০% বিজনেস ইনভেস্টমেন্ট ররে নেন। যার ফলে গত কয়েক বছ রে অনেক উদ্দোক্তা কে দেখেছি শুরু তে খুব ধুম ধাম করে শুরু করলেও কিছু দিন পর হাল ছেরে দিতে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

একটি ই-কমার্স বাণিজ্য শুরু করে তেমন বেশী কিছু দরকার হয়না বলে আমার ধারনা। এর কারণ হচ্ছে বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসা নিয়ে যেটুকু জ্ঞান অর্জন করেছি সেটি থেকে এটুকু বুঝতে পারছি আমাদের দেশের ই-কমার্স ব্যবসা পরিচালনা করতে বা মার্কেটিং করতে বেশী কষ্ট করতে হবেনা।

আর এখন তো ফেসবুক, গুগল, ইউটিউব রয়েছে যেখানে সহজেই মার্কেটিং করে নিজের পরিচয় বহন করা যায়।

ই-কমার্স ব্যবসার জন্য এখন আর মাইকিং করে প্রচার করার দিন নেই বললেই চলে। শুধুমাত্র বুস্ট করে দিলেই ভালো ফলাফল পাওয়া যায়।

শুধু দরকার আইডিয়া এবং মার্কেট রিসার্চ।

সব কিছুই জানানোর চেষ্টা করবো ধীরে ধীরে।

আপনাকে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে সেটি হচ্ছে, আপনাকে জানতে হবে আগামীতে বাংলাদেশের জন্য ই-কমার্স ব্যবসা কেমন লাভজনক হবে এবং এর ভবিষ্যৎ কি?

একটি ব্যবসা শুরু করতে হলে সেই ব্যবসা সম্পর্কে আগে থেকে সব কিছু যাচাই করে নিতে হয়। পুরো পৃথিবীতে ই-কমার্স আগামীতে এই ব্যবসার কেমন প্রভাব এবং কেমন লাভজনক হবে সেটি জানা জরুরী।

বাংলাদেশে ই-কমার্স সম্ভাবনা কেমন হবে জেনে নিন।

একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান শুরু করতে হলে প্রথমেই নিজ দেশের কি কি নিয়ম কানুন রয়েছে সেগুলো সম্পর্কে নিজের ধারণা ভালো থাকতে হবে।

শুরু ব্যবসা শুরু করে দিলেই হবেনা। এমন অনেক প্রতিষ্ঠান ছিল যেগুলো দেশের নিয়ম গুলো সঠিক ভাবে ফলো না করার কারনে আজ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে।

আপনি ব্যবসা শুরু করতে চাইলে জেনে নিন আমাদের দেশে কি কি নিয়ম রয়েছে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করার জন্য।

বাংলাদেশের ই-কমার্স ব্যবসা করতে হলে যে সমস্ত নিয়ম জানতে হবে।

নিয়ম জানার পর যে কাজটি থাকে সেটি হচ্ছে নিজের ব্যবসার জন্য প্রপার একটি আইডিয়া। আপনি যদি প্রডাক্টের জন্য সঠিক আইডিয়া নিতে না পারেন তা হলে আপনার ব্যবসা হয়ত বেশীদিন টিকবেনা।

দেশের মানুষের কোন ধরণের প্রডাক্ট বেশী চাহিদা রয়েছে তাছাড়াও এমন কি প্রডাক্ট রয়েছে যেগুলো দিয়ে ব্যবসা শুরু করলে কোন রকম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাড়া ব্যবসায় লাভবান হওয়া যায়।

বাংলাদেশের ই-কমার্স ব্যবসার জন্য যে সমস্ত আইডিয়া আপনি আপনি গ্রহন করতে পারেন।

আশা করছি আপনি সব কিছু বিস্তারিত জেনে নিয়েছেন। আপনি যদি এখনো লিংক গুলো থেকে তথ্য গুলো না জেনে থাকেন তাহলে অনেক কিছু অজানা থেকে যাবে।

একজন উদ্যোক্তার উচিৎ সব কিছু সঠিক এবং বিস্তারিত জানা।

সব কিছু জানার পর আপনাকে নিজের ই-কমার্স ব্যবসার পরিচয় বহন করতে হলে প্রথমেই একটি ফেসবুজ পেজ তৈরি করতে হবে। কারণ বর্তমানে ব্যবসা বলুন আর ব্যক্তিগত পরিচয় বলুন সব ক্ষেত্রে নিজের একটি ফেসবুক পেজ থাকতেই হবে।

এই ফেসবুক পেজ নিজেই তৈরি করে নিতে পারবেন।

কিছু ইউটিউব ভিডিও দেখুন ফেসবুক পেজ এবং গ্রুপ সম্পর্কে সব কিছু জানতে পারবেন।

ফেসবুক পেজের পাশাপাশি নিজের কোম্পানির নামে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হয়। নিজের ব্যবসার জন্য এমন নাম দিতে হবে যেন মানুষ একবার দেখলে মনে রাখতে পারে।

সেই নামের একটি ডোমেইন নিতে হবে সাথে হস্টিং। ভালো হয় কোন একজন ডেভেলপার দিয়ে কাজ করিয়ে নিলে। কারণ ই-কমার্স ওয়েবসাইটে অনেক ফাংশনালিটি থাকে।

তাছাড়াও আপনি জেনে নিতে পারেন কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হয় এবং খরচ কেমন হতে পারে?

সব কিছু করার পর,

  1. প্রডাক্ট সোর্সিং
  2. কিছু জনবল নিয়োগ
  3. মার্কেটিং ( ফেসবুক, ইমেইল, গুগল, ইউটিউব, কন্টেন্ট )
  4. কম্পিটিটর কে কে আছে
  5. মানুষকে কিভাবে স্যাটিস্ফাই করা যায়
  6. প্রথমে কি পরিমান ইনভেস্ট করতে হবে
  7. মানুষের কিসের প্রতি চাহিদা বেশী

ইত্যাদি করতে পারলেই আপনি সফল ভাবে ই-কমার্স ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।


আশা করছি আপনি আপনার উত্তর গুলো পেয়ে গিয়েছেন।

মনে রাখবেন নিজে ব্যবসা শুরু করতে হলে সেই ব্যবসা সম্পর্কে সব কিছু একদম বিস্তারিত ভাবে জেনে নিতে হবে। লেগে থাকলে সবি সম্ভব। আর রাখতে হবে আল্লাহর উপর ভরসা।


ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ