শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
shohanrand1

Call

আর মনে রাখতে হবে, তোমাকে, যে কারণে তাওবা করতে হবে, তার অন্যতম কারণ হল, যাতে আল্লাহর আনুগত্য করা ও বন্দেগী করার সৌভাগ্য তোমার লাভ হয়। কারণ, গুনাহের খারাব পরিণতি হল, গুনাহের কারণে বান্দা যাবতীয় কল্যাণ হতে বঞ্চিত হয় এবং অপমান অপদস্থ হয়। গুনাহ একজন মানুষকে আল্লাহ তা’আলার আনুগত্যের দিকে অগ্রসর হওয়া ও তাঁর গোলামীর দিকে অগ্রগামী হওয়া থেকে বাধা দেয়। এ ছাড়া যার গুনাহের বোঝা ভারি হয়ে যায়, তার জন্য নেক কাজ করা এবং কল্যাণকর কাজে তৎপর হওয়া আর সহজ থাকে না। সব সময় গুনাহে লিপ্ত থাকার কারণে মানুষের অন্তরসমূহ কালো হয়ে যায়। ফলে অন্তরসমূহ অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় এবং তা পাথরের মত কঠিন হয়ে পড়ে। তাতে আর কোন ইখলাস থাকে না ইবাদাত বন্দেগীতে কোন মজা ও স্বাদ উপভোগ করে না। আল্লাহ তা’আলা যদি তার প্রতি অনুগ্রহ না করেন তাহলে গুনাহ গুনাহগার ব্যক্তিকে কুফর ও বেঈমানীর দিকে টেনে নিয়ে যায়। কী আশ্চর্য! যে গুনাহ ও পাপাচারে লিপ্ত তাকে কীভাবে আল্লাহ তার গোলামীর সুযোগ দিবেন। কীভাবে তাকে তার দীনের খেদমতের জন্য ডাকবেন যে সর্বদা তার নাফরমানীতে মশগুল এবং অবাধ্যতায় নিমগ্ন। কীভাবে তাকে মুনাজাতের জন্য কাছে টেনে আনবে যে ময়লা আবর্জনা ও নাপাকীতে আকুণ্ঠ নিমজ্জিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেন إذا كذب العبد تنحى عنه الملكان من نتن ما يخرج من فيه فكيف يصلح هذا اللسان لذكر الله عز وجل “যখন কোন বান্দা মিথ্যা কথা বলে তখন তার মুখ থেকে যে দুর্গন্ধ বের হয় তাতে তার থেকে দুইজন ফেরেশতা দূরে সরে যায়। ফলে এ জিব্হা কীভাবে হবে আল্লাহর যিকির করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবে?”[4] সুতরাং, এতে বিন্দু পরিমাণও সন্দেহ নাই, যে লোক আল্লাহর নাফরমানী ও তার হুকুমের বিরোধিতার উপর অটল থাকে, সে কখনো আল্লাহর আনুগত্য করা ও ভালো কাজ করার তাওফীক লাভ করতে পারে না এবং তার জন্য নিজ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলিকে আল্লাহর ইবাদাতে কাজে লাগানো সহজ হয় না। সে যদি খরচ করে তবে তাকে অনেক কষ্টে খরচ করতে হয়, তাতে সে মানসিক স্বস্তি ও আন্তরিক তৃপ্তি পায় না এবং ইবাদাতে কোন স্বাদ উপভোগ করে না। এমন হবার মূল কারণ হচ্ছে, সে সব সময় গুনাহতে নিমগ্ন থাকে এবং আল্লাহর দরবারে তাওবা করা ছেড়ে দেয়। সুতরাং, আপনাকে আল্লাহর দরবারে বার বার তাওবা করতে হবে এবং গুনাহের কাজসমূহ হতে বিরত থাকতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, يا أيها الناس توبوا إلى الله فإني أتوب في اليوم مائة مرة رواه مسلم “হে মানব! তোমরা আল্লাহর দরাবরে তাওবা কর। আমি দৈনিক আল্লাহর নিকট একশত বার তাওবা করি”।[5] আল্লাহ আমাদের বেশি বেশি করে তাওবা করার তাওফীক দান করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ