শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা বা ইরেকশন প্রবলেমের জন্য নানা ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা রয়েছে তবে এটি নির্ভর করে পুরুষত্বহীনতা কি কারণে হল তার ওপর। যদি মনোগত কারণে লিঙ্গঘটিত সমস্যা হয় তবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞই এর সঠিক চিকিৎসা করতে পারে। শারীরিক বা ফিজিওলজিক্যাল কারণে যদি ইরেকশন সম্পর্কীয় সমস্যা হয় তাহলে তার মূল চিকিৎসা করেন ইউরোলজিস্ট বা মূত্র ও জননতন্ত্র বিশেষজ্ঞ। কতক রোগীদের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, ইরেকশনের সাথে জড়িত রয়েছে মনোদৈহিক উভয় রকমের মেডিকেল জটিলতা। সেক্ষেত্রে সার্বিকভাবে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ এবং ইউরোলজিস্টের তত্ত্বাবধানে একত্রে চিকিৎসা নেয়া বাঞ্ছনীয়।

নানা ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার মধ্যে রয়েছে

    ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানের জন্য কেভারজ্যাক্ট নামক ইনজেকশন অথবা মিউস নামক এক ধরনের পদার্থ যা পেনিসে ঢোকাতে হয় এগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই লিঙ্গ উত্থান ঘটে থাকে।
    আপনি যদি কোনো ওষুধ সেবন করে থাকেন এবং ওষুধ সেবনজনিত কারণে ইরেকশনের সমস্যা দেখা দেয় তবে ডাক্তার আপনার জন্য ওষুধটি বদলিয়ে অন্য কোনো ওষুধ প্রেসক্রাইব করতে পারেন।
    নানা ধরনের ভ্যাকুয়াম বা খালিকরণ সংকোচনক্ষম ডিভাইস দিয়ে চিকিৎসা।
    পেনাইল ইমপ্ল্যান্টস(সার্জারির মাধ্যমে একপ্রকার চিকিৎসা)।
    তবে সবচেয়ে কার্যকর এবং স্থায়ী হলো হোমিওপ্যাথিক চিকিত্সা। হোমিও ঔষধসমূহ রোগের মূল থেকে সমস্যাটাকে নির্মূল করে বিধায় সেটা একবার ভালো হওয়ার পর আর পুনরায় দেখা দেয় না।

মনোগত কারণে যদি আপনার পুরুষত্বহীনতা ঘটে থাকে তবে অবশ্যই আপনার প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণ সেক্সুয়াল কাউন্সিলিং। অবশ্য ফিজিক্যাল ডিসঅর্ডারের জন্য যৌন অক্ষমতায় ভুগছে এমন অনেক পুরুষের জন্যও সাইকোথেরাপি বা আচরণগত চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রায় সময়ই দেখা যায় শারীরিক কারণের পাশাপাশি সাইকোলজিক্যাল পুরুষত্বহীনতার সাথে জড়িত থাকতে পারে।

তবে এটা ঠিক যে, ইরেকশন প্রবলেম বা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যার সঠিকভাবে সংজ্ঞায়িত করা এবং পরিমাপ করা যেহেতু জটিল তাই কোন চিকিৎসা পদ্ধতি কতটুকু কার্যকারী তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো পর্যন্ত নির্ধারিত হয়নি। তবে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে গড়পড়তা হিসেবে দেখা গেছে ইনজেকশন দিয়ে চিকিৎসা শতকরা ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে কার্যকর হতে পারে। তবে সাইকোলজিক্যাল চিকিৎসা যেহেতু দীর্ঘমেয়াদি তাই উচিত রোগীর পর্যাপ্ত ধৈর্য্যসহকারে মনোরগ বিশেষজ্ঞের সার্বিক তত্ত্বাবধানে থেকে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া।

অনেক পুরুষেরই আবার যৌনতার এই ব্যাপারটি নিয়ে একটু ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে । তারা একবার লিঙ্গ উত্থান ঘটার পরেও সাবলীলভাবে যৌন সম্পর্ক চালিয়ে যেতে পারে না। পঠকদের জানার জন্য ভলা হয় যে, একবার যৌনসঙ্গম করার পর পুরুষের পেনিস কিছু সময়ের জন্য আপাত ঘুমন্ত অবস্থায় বিরাজ করে। এসময়ে লিঙ্গ উত্থত হয় না তাই এটিকে কেউ যদি যৌন অক্ষমতা মনে করেন তাহলে তিনি মারাক্তক ভুল করছেন।

এই সময়টিতে সেক্স পার্টনারকে নিয়ে আউটার কোর্স বা সঙ্গম বহির্ভূত যৌন আচরণে যেমন- চুমু দেয়া, একজন অন্যজনকে অন্তরঙ্গভাবে জড়িয়ে ধরা,স্তনে এবং শরীরের নানা অংশে মেসেজ করা,মৃদু চাপ্পড় ইত্যাদি করতে পারেন। দেখা যাবে একটু সময় পেরিয়ে যাবার পর পেনিস ধীরে ধীরে আবার উত্থিত হবে। তাই পুরুষদের এ ব্যাপারটি নিয়ে মাথা না ঘামানোই উচিত।

সেক্স থেরাপি বা সেক্সুয়াল কাউন্সিলিং এক্ষেত্রে যদিও পুরুষকে ঘিরে তথাপি সেক্স পার্টনারের সহযোগিতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণও একটি উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। সেক্স পার্টনারের সঙ্গে কলহ, মনের মিল না থাকা, একজন অন্যজনকে তীব্রভাবে সন্দেহ করা, ঘৃণা,বিদ্বেষ,ক্ষোভ ইত্যাদি থাকলে অবশ্যই মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ