শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানে সহায়তা করে এরকম কোনো মেডিকেশন বা ওষুধ সেবনে (ইনজেকশন বা অন্য কোনো ওষুধ) চার ঘন্টার চেয়ে বেশি স্থায়ীভাবে ইরেকশন থাকে তবে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। নিন্মোক্ত মেডিকেল জটিলতায় ইরেকশনের সমস্যা হতে পারেঃ পা, পশ্চাদদেশে বা পেনিসে অথবা শুক্রাশয়ে কোনো ধরনের ইনজুরি । যৌনঙ্গ এলাকায় চুল বা বগলের নিচে হঠাৎ করে চুলের পরিমানে হ্রসি পেলে এবং স্তরের বৃদ্ধি ঘটলে। ওপরের জটিলতাগুলোতে ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরি। যদি এক থেকে দুই সপ্তাহের মাঝে শতকরা ২৫ ভাগ ক্ষেত্রে আপনার ইরেকশন না হয় এবং সাথে নিচের উপসর্গ বা লক্ষণগুলো থাকে তাহলেও ভালো ফিজিশিয়ানের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। ইরেকশনের সমস্যাটি যদি পশ্চাদদেশে অবিরত ব্যথাসহকারে হয়ে থাকে। লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা যদি নতুন কোনো ওষুধ সেবনজনিত কারণে অথবা ওষুধের ডোজের পরিবর্তনজনিত কারণে হয়ে থাকে। যে কোনো ধরনের সমস্যা যাতে আপনার আত্ম ইমেজ পরিবর্তিত হয়/নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা জন্মে। পর্যাপ্ত পরিমাণ য্তন নেয়ার পরেও যদি সমস্যার কোনো সাবধান না ঘটে। আপনার যদি ইরেকশন প্রবলেমের সাথে সমন্বিত হয় মূত্রতন্ত্র সম্পর্কীয় কোনো সমস্যা, তলপেটে ব্যথা বা পশ্চাদদেশের নিচের দিকে ব্যথা, জ্বর অথবা আঘাতজনিত কারণে অন্য কোনো উপসর্গ থাকে তাহলেও জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। হঠাৎ করে দুই এবার ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থান না ঘটা সাময়িক হতে পারে। এটি আশা করা যায় ধীরে ধীরে অবস্থায় ফিরে যাবে। তাই এক্ষেত্রে আগেই ধারণা করা উচিত নয় যে, উত্থানজনিত সমস্যাটি আবারও ঘটবে যদি সম্ভব হয় তবে উত্থানজনিত যে সমস্যাটি ঘটেছিল সেটির কথা ভুলে যান এবং পরবর্তীতে আপনি আরো সুখকর যৌনানুভূতি লাভ করবেন মনে মনে এমন ধারণাটি পোষণ করুন। যৌন পার্টনারের সঙ্গে আপনার সমস্যা নিয়ে, যৌন আচরণে আপনার কোনো ভয়-ভীতি বা দুশ্চিন্তা থাকলে একেবারে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করুন। এতে অনেক বিষয়ে ডাক্তারের সাহায়তা ব্যতীত একটি ভালো পারস্পারিক সমঝোতায় পোঁছানো যায়। যদি দুই সপ্তাহের ভেতরে আপনাদের সমস্যাটির সমাধান না হয় এবং প্রতি চারবারে একবার করে ইরেকশনের সমস্যা হয় তবে এ বিষয়ে কোনো প্রফেশনাল বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত। একটি গবেষণা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, অনেক পুরুষ তাদের পুরুষত্বহীনতা বা যৌন অক্ষমতার বিষয়টি সেক্স পার্টনারের নিকট কৌশলে এড়িয়ে যেতে চান এবং অনেকদিন ভোগার পর গোপনে গোপনে ডাক্তারের পরামর্শ নেন। এ বিষয়ে সঠিক পরামর্শ হল আপনার যদি ইতিমধ্যে দীর্ঘমেয়াদি ইরেকশন বা উত্থানজনিত সমস্যা থাকে তাহলে সবরকম লাজ লজ্জা ঝেড়ে আপনার সেক্স পার্টনারকে খুলে বলুন এবং প্রথমে একজন ই্উরোলজিস্ট ও তাতে কোনো শারীরিক কারণ খুঁজে না পাওয়া গেলে সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অতি সত্ত্বর নিন। এ বিষয়ে কতক হেলথ প্রফেশনাল রয়েছে। যেমন- সাধারণ ফিজিশিয়ান, মেন্টাল হেলথ প্রফেশনাল। কতকক্ষেত্রে দেখ যায় যৌনতা বিষয়ক এবং ইরেকশন সম্পর্কিত নানা আলোচনায় তারা এসব প্রফেশনালদের সামনে এক ধরনের অস্বস্তি এবং অস্বাচ্ছন্দ্যবোধে ভুগে থাকে।ফলশ্র“তিতে তারা তাদের মূল যৌন সমস্যার কথা ডাক্তারের কাছে মুখ খুলে বলতে পারেন না। অবশ্য এটা ঠিক যে, ডাক্তার এবং রোগী উভয়ের কিছু ক্রটি বিচ্যুতি থাকতে পারে। অনেক সাধারণ ফিজিশিয়ানসহ মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন যারা নিজেরাও যৌনতা নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে খোলামেলা আলাপ-আলোচনা করতে পারেন না। আপনার ইরেকশন প্রবলেম বা লিঙ্গ উত্থানজনিত সমস্যা যদি সাইকোলজিক্যাল বা মানসিক সমস্যার কারণে হয়ে থাকে তবে আপনার নিম্নোক্ত হেলথ প্রফেশনালের পরামর্শ নেয়া উচিত। সাইকিয়াট্রিস্ট বা মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সাইকোলজিস্ট বা মনোবিজ্ঞানী সেক্স কাউন্সিলর কাপল বা মেরিটাল থেরাপিস্ট(দাম্পত্য সম্পর্কীয় বিশেষজ্ঞ)।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ