ত্বক রাখুন পরিষ্কার নিয়মিত মুখের ত্বক পরিষ্কার করুন। ঘাম ও মুখের তৈলাক্ত ভাবের কারণে অস্বস্তি হয় বলে নিজের সুবিধামতো সময়ে বারবার মুখ ধুয়ে নিতে চেষ্টা করুন। মুখ ধোয়ার পানিতে দু-এক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিতে পারেন, তাতে সতেজ অনুভূতি পাবেন। বাজারে যেসব ফেসওয়াশ কিনতে পাওয়া যায়, তা যদি আপনার ত্বকে মানিয়ে যায়, তবে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। দিনে অন্তত দুবার গোসল করুন। গরম পানিতে নিমপাতা ডুবিয়ে রেখে সেই পানিতে গোসল করতে পারেন, এতে বিভিন্ন জীবাণুর সংক্রমণ থেকে বাঁচবেন। নিমযুক্ত সাবানও ব্যবহার করতে পারেন। পাউডার ব্যবহার করলেও তা দিন শেষে পরিষ্কার করে ফেলবেন। মেকআপ হবে যেমন— যে প্রসাধনীই ব্যবহার করুন না কেন, তা হতে হবে ওয়াটার-বেসড বা পানিনির্ভর। অর্থাৎ অয়েল- বেসড বা তেলের প্রাধান্য বেশি এমন কোনো প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। ফাউন্ডেশন লাগাতে হবে খুব কম। ফেসপাউডার লাগালে কোনো ক্ষতি নেই। এমন আইলাইনার লাগানো উচিত, যেন তা ভিজে গেলেও মুছে না যায়। ত্বকের ঘরোয়া যত্ন মুলতানি মাটি, চন্দনের গুঁড়া, কাগজিলেবুর রস এবং সর তোলা দুধ বা টকদই একত্রে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন ১০-১৫ মিনিট। এতে ত্বকের বাড়তি তেল ও ময়লা বেরিয়ে যাবে। তবে কাগজিলেবুর রস সরাসরি ব্যবহার না করে এটিকে গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। আর চন্দনের পরিবর্তে চাইলে ভিজিয়ে রাখা মসুরের ডাল বেটে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। খাদ্যাভ্যাসে আনুন পরিবর্তন সুষম খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। অতিরিক্ত চর্বিজাতীয় খাবার খাবেন না। ভাজাপোড়া কম খাবেন। ছোট মাছ, শাকসবজি খাবার অভ্যাস গড়ে তুলুন। প্রচুর পানি পান করুন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই লেবুপানি পান করতে পারেন। উঠতি বয়সীরা লেবুপানির সঙ্গে একটু মধুও যোগ করতে পারেন। ফলের রসও পান করতে পারেন।