shohanrand1

Call

জবাবে বলব, যে হেদায়াত প্রাপ্ত হওয়ার যোগ্য, তাকে আল্লাহ ঠিকই হেদায়াত দান করবেন। পক্ষান্তরে যে পথভ্রষ্ট হওয়ার যোগ্য, তাকে তিনি পথভ্রষ্টই করেন। এরশাদ হচ্ছে, ﴿فَلَمَّا زَاغُوا أَزَاغَ اللَّهُ قُلُوبَهُمْ ۚ وَاللَّهُ لَا يَهْدِي الْقَوْمَ الْفَاسِقِينَ﴾ [سورة الصف: 5] ‘অতঃপর তারা যখন বক্রতা অবলম্বন করল, তখন আল্লাহ তাদের অন্তরকে বক্র করে দিলেন। আল্লাহ ফাসিক্ব সম্প্রদায়কে পথপ্রদর্শন করেন না’ (ছফ ৫)। এখানে আল্লাহ স্পষ্টই বললেন, বান্দা নিজেই নিজের পথভ্রষ্ট হওয়ার কারণ। উল্লেখ্য, বান্দা জানে না যে, তার ভাগ্যে হোদয়াত লেখা আছে নাকি গোমরাহী! তাহলে কেন সে খারাপ পথ বেছে নিয়ে তাক্বদীরের দোহাই দেয়?! সে সৎপথ বেছে নিয়ে কি বলতে পারতো না যে, আল্লাহ আমাকে হেদায়াত দান করেছেন? আমরা তাকে বলব, তোমার হেদায়াত প্রাপ্ত হওয়া না হওয়ার বিষয়টি যেমন সুনির্ধারিত, তেমনি তোমার রিযিক্বও সুনির্ধারিত। তুমি হাযার চেষ্টা সত্ত্বেও তোমার জন্য নির্ধারিত রিযিক্বের সামান্যতম কমও পাবে না বা বেশীও পাবে না। তাহলে কেন তুমি রাত-দিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করো? রিযিক্বের অন্বেষণে আত্মীয়-স্বজনের মায়া ত্যাগ করে দেশের বাইরে পাড়ি জমাতেও তুমি দ্বিধাবোধ কর না কেন? তুমি আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে রিযিক্ব আসার অপেক্ষায় বাড়ীতে হাত গুটিয়ে বসে থাক না কেন? দুনিয়া অন্বেষণের কাজে তুমি তোমার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা ব্যয় কর; কিন্তু আখেরাত অন্বেষণের কাজে তোমার এত অবহেলা কেন? অথচ দু’টিই তাক্বদীরে লিখিত আছে? তুমি অসুস্থ হলে কেন ডাক্তারের কাছে যাও? সবচেয়ে ভাল চিকিৎসালয় এবং যোগ্য ডাক্তার খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা কর কেন? এসব ক্ষেত্রে কেন তুমি তাক্বদীরের উপর নির্ভর করে হাত গুটিয়ে বসে থাক না? অতএব বুঝা গেল, মানুষের নিজস্ব ইচ্ছা শক্তি রয়েছে, কেউ তাকে বাধ্য করে না। ফলে সে দুনিয়ার কাজে যেমন ব্যস্ত, তাকে আখেরাতের কাজে তার চেয়ে অনেকগুণ বেশী ব্যস্ত হতে হবে। প্রবৃত্তির তাড়নায় অযথা হাত গুটিয়ে বসে থাকলে নিশ্চিত ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।[142] [142]. মুহাম্মাদ ইবনে ছালেহ উছায়মীন, রিসালাহ ফিল-ক্বাযা ওয়াল-ক্বাদার, (রিয়ায: মাদারুল ওয়াত্বান, প্রকাশকাল: ১৪২৮ হিঃ), ১৪-১৮।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ