শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

Adab Az Jifafলেখকঃ শেইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ)

সংক্ষিপ্ত বর্ণনাঃ আমাদের বর্তমান মুসলিম সমাজ সবক্ষেত্রেই অমুসলিমদের অনুসরণ করার পাশাপাশি  ,কিছু ক্ষেত্রে অনুকরণও করছে। তাদের কৃষ্টি, কালচার, সংস্কৃতি, অপসংস্কৃতি গ্রহণ করছে। কোনরুপ যাচাই বাছাই না করেই তারা গড্ডালিকা প্রবাহে মিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে সংস্কৃতির ক্ষেত্রে আজ মুসলিমরা অসহায়। তারা যেন ইসলামী সংস্কৃতিকে ভুল আর বিজাতীয় অপসংস্কৃতিকেই সংস্কৃতি ভাবছি। এগুলোর অনুসরণ করছে। যত সব অপসংস্কৃতির এই প্রবাহ তার অন্যতম হলো আচার-অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক।

এরকম বিবাহের মতো এই পবিত্র কাজকেও আমরা আজ অনুষ্ঠাননির্ভর করে ফেলেছি। এর সাথে যা করছি তা পুরোটাই হিন্দুয়ানী এবং পশ্চিমা সংস্কৃতি। যার পুরোটাই অনৈসলামিক। বিবাহের মতো এই পবিত্র বিধান সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে এবং অপসংস্কৃতিকে তুলে ধরতে শাইখ নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ)-এর আদাবুয যিফাফ বা বাসর রাতের আদর্শ বইটি  ,অনন্য। এ বইয়ে তিনি সংস্কৃতির হক বাতিলের পার্থক্য তুলে ধরেছেন, যাতে উম্মাতে মুহাম্মাদী নিজস্ব সংস্কৃতিতে চলে আল্লাহর সান্নিধ্য অর্জন করতে পারে। শেইখ এই বই রচনায় তত্ত্ববহুল গভীর পান্ডিত্যের পরিচয় দিয়েছেন। এ কারণে জাতি তাঁর নিকট চিরকৃতজ্ঞঞ। বিশেষত: তিনি পুস্তকটিতে মহিলাদের স্বর্ণ ব্যবহার সম্পর্কে একটি  ,অধ্যায় রচনা করেছেন। বিষয়টি তত্ত্ববহুলে বটে কিন্তু এটি তার একটি স্বতন্ত্র গবেষণা ও তাঁর ব্যতিক্রমধর্মী ভুমিকা। বিষয়টি সঠিক হলে তিনি দ্বিগুন সাওয়াবের অধিকারী হবেন এবং ভুল হলেও একগুণ সওয়াবের অধিকারী হবেন।

পাঠকের প্রতি অনুরোধ সওয়াব প্রাপ্তির বাসনায় বিষয়ীট গবেষণাধীন রাখা উচিত হবে এবং বিবাদ-বিসম্বাদ মতানৈক্য এড়িয়ে ঐক্যে অটুুট থেকে মুসলিম সভ্যতা সংস্কৃতি পালনের মাধ্যমে তাকওয়াবান হওয়ার প্রতিযোগীতায় উপনীত হওয়া বাঞ্জনীয় হবে।

এই গুরুত্বপূর্ণ বইতি যারা বিবাহিত বা খুব শিঘ্রই বিবাহিত করতে যাচ্চেন তাদের সকলকে পড়ার অনুরোধ করা হচ্ছে। আল্লাহ এই বইটির প্রকাশক, ও যারা অনলাইনে প্রকাশের জন্য কাজ করেছেন তাদের সকলকে উত্তম প্রতিদান দান করুন। আমীন
 ,

 , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , ডাউনলোড

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
shohanrand1

Call

বাসর রাতের করনীয় । বাসর রাতে যা করতে হয়। বাসর রাতের নির্জন পরিবেশে যখন বর-কণের মাঝে প্রচন্ড মিলন স্পৃহা সৃষ্টি হবে তখন সহবাসের পূর্বক্ষণে তিনবার বিসমিল¬াহ সহ সূরায়ে ইখলাছ এবং সূরায়ে ফালাক ও সূরায়ে নাছ পড়ার পর নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে অতঃপর সহবাসে লিপ্ত হবে। بِسْمِ اللَّهِ ، اللَّهُمَّ جَنِّبْنَا الشَّيْطَانَ ، وَجَنِّبْ الشَّيْطَانَ مَا رَزَقْتَنَا অর্থঃ আল¬াহর নামে শুরু করছি। হে আল¬াহ! আমাদেরকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে দূরে রাখুন। আমাদেরকে যে সন্তান-সন্ততি দান করবেন, তাদেরকে শয়তানের অনিষ্ট থেকে দূরে রাখুন” তারপর বীর্যপাতের সময় বীর্যপাতের দোয়া মনে মনে পড়বে। যার অর্থঃ “হে আল¬াহ! আমাদের যে সন্তান দান করবেন তাতে শয়তানের কোন অংশ রাখবেন না। তাহলে হাদীসের ভাষ্যানুসারে সে সহবাস দ্বারা সন্তান জন্ম গ্রহণ করলে শয়তান তার কোন অনিষ্ট সাধন করতে পারবে না। শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলভী (রহঃ) বলেন, এ দ্বারা বুঝা যাচ্ছে যে, সহবাস-কালীন সময়ে এই দোয়া না পড়লে শয়তান প্রভাব বিস্তার করে এবং সন্তান-সন্ততির ভেতর অশান্তি ও হানাহানি সৃষ্টি হয়। -রিফাল মুসলিমীন সহবাসের সময় স্বামী-স্ত্রী একেবারে বিবস্ত্র হয়ে যাবে না। কারণ এতে সন্তান নির্লজ্জ হয়ে জন্মগ্রহণ করে। নবীজী (সঃ) সহবাসের সময় নিজেকে এবং স্ত্রীকে আপাদ মস্তক চাদর কিংবা কোন কাপড় দিয়ে ঢেকে দিতেন। কথা বলতেন ক্ষীণ কন্ঠে। আর স্ত্রীকে বলতেন, উত্তেজিত হবে না। ধীরস্থির থাকবে। নবীজী (সঃ) আরো বলেছেন, জানোয়ারের মত হঠাত করে স্ত্রীর উপর কেউ ঝাঁপিয়ে পড়বেনা, বরং তার উচিত হলো প্রথমে চুমু খেয়ে আলিঙ্গন করে এবং মিষ্টি মধুর কথায় তাকে আগ্রহী করে তোলা। বীর্যপাতের পর সাথে সাথে স্বামী সরে যাবে না বরং ঐ অবস্থাতেই কিছুক্ষণ পড়ে থাকবে। যাতে স্ত্রীর চাহিদা পুরা হয়ে যায়। কেননা কোন কোন মহিলার বীর্যপাত দেরীতে হয়। তারপর স্বামী-স্ত্রী উভয়েই আলাদা আলাদা কাপড় দিয়ে লজ্জাস্থান মুছে পৃথক হয়ে যাবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদের ইসলামী নিয়মানুযায়ী চলার তৌফিক দান করুন। আমিন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

প্রথম মিলন কালে আপনার স্ত্রী লজ্জায় আড়ষ্ট থাকেবেন এটাই স্বাভাবিক। বিশেষ করে পরিবারের ঠিক করা বিয়েতে অপরিচিত একজন পুরুষের সাথে একত্র বসবাস কেউ কি অতি সহজে নিতে পারবে? প্রথমবার শাররীক মিলনে নিচের বিষয়গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। আপনি হয়তো দ্বিতীয় কিংবা পরের বারের মিলনগুলো খেয়াল রাখবেন না – কিন্তু প্রথম মিলন সব যুগলেরই মনে থেকে যায়। প্রথম মিলন আশ্চর্য্যজনক ভালো কিংবা ফ্লপ যাই হোক স্বামী-স্ত্রী প্রথম মিলনকে ট্রেজেডি হিসেবেই মনে রাখে।

image

সঠিক সংকেতের জন্য অপেক্ষা করুন:-

প্রথম মিলন সর্বনাশা হতে পারে যদি মানসিক প্রস্তুতির সংকেত দেয়া-নেয়ায় ভুল বুঝাবুঝি থাকে। যেহেতু আপনারা দুইজনেই সারা জীবনের জন্য বিবাহের মাধ্যমে একটি সামাজিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তাই বাসররাতে কথা বলা কিংবা ভাব বিনিময়ের মাধ্যমে সম্পর্কের স্বাভাবিকতা এবং পরষ্পরের মানসিক দুরত্ব কমিয়ে আনুন। দুজন-দুজনের চিন্তা চেতনার একটি স্বরুপ জেনে নিন। তাড়াহুড়ো করবেন না। আমাদের দেশে “বাসর রাতে বিড়াল মারা” বলে একটা প্রবাদ প্রচলিত আছে। পুরুষ অনেকটা মরিয়া হয়ে যান নিজেকে বাঘ বলে জাহির করতে। কিন্তু বিড়াল মারার সুত্রটা আসলে আমাদের একপ্রকার ভুল ধারনার জন্ম দিচ্ছে। অনেক মেয়ে মানসিক ভাবে প্রস্তুত থাকেনা – সেই অবস্থায় যদি স্বামী বিড়াল মারতে যায় তাহলে বিষয়টি রেপ করার মত হয়ে যায়। ভারতের কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে বাসররাতে স্বামী-স্ত্রী শাররীক মিলন না করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে আপনি কিভাবে আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে স্বাভাবিক হবেন তা আপনার বিবেচনায় রাখবেন আগে থেকে।

জন্মনিরোধকের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে রাখুন:-

প্রথমবারের শাররীক মিলনে বিবাহিত যুগলের জন্মনিরোধক ব্যবহার দুজনের জন্য সমানভাবে মঙ্গলজনক। হয়তো কনডম কিংবা খাবার বড়ি ব্যবহার না করার ফলে আপনাদের “যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ” কিংবা “গর্ভধারনের” ভয়ে মিলনের আসল আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। প্রথমদিন যৌন বাহিত ছোঁয়াচে রোগ থেকে রক্ষা পাবার জন্য কনডম ব্যবহারই সবছে ভাল – যদিও এটি ১০০% আত্মরক্ষা মুলক নয়। তাছাড়া আপনার স্ত্রী হয়তো মা হবার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত নয়। তাই বিয়ের পর পরষ্পরের শাররীক সমস্যার (যদি থাকে) ইতিহাস জেনে এবং সন্তান নেয়ায় দুই জনের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী নিয়ন্ত্রনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে।

কোন ভাবেই স্বয়ং-সম্পুর্ন মিলনের প্রত্যাশা করবেন না:-

৮০% থেকে ৯০% ক্ষেত্রে প্রথম মিলনে যুগলের বিন্দুমাত্রও সফলতা থাকেনা। শাররীক মিলন যতটা না শরীরের; তার চেয়ে বেশি মানসিক মিলন। একজন মানুষ যখন অন্য মানুষের শরীর / ভাললাগার বিষয়বস্তু সম্পর্কে পুর্নমাত্রায় জানে – তখনি শুধু সুখকর যৌনমিলন সম্ভব। প্রথম মিলনে পরষ্পরের ভাললাগার অনুভুতিগুলোর সংমিশ্রন হয়না। তাছাড়া প্রথম মিলন সম্পর্কে পুরুষ/নারী এত বেশি দুশ্চিন্তা অথবা পুর্বপরিকল্পনা করে যে সে মূল কাজে এসে নার্ভাস হয়ে যায়। আর পরিকল্পনা অবস্থা/ব্যক্তি বেধে পার্থক্য হয় – তাই আগ থেকে করা প্ল্যান কার্যকর করা নাও যেতে পারে। তাই সময়ের সাথে চলুন। অন্তরঙ্গ মুহুর্তে অর্জিত ভাললাগাগুলো উপভোগ করুন। প্রথম রাতে আপনার প্রিয়জনের শরীর সম্পর্কে জানার চেয়ে বড় রোমাঞ্চকর আর কি হতে পারে। সম্পর্কে সময় দিন – পরষ্পরের শরীর সম্পর্কে যত জানবেন মিলন তত বেশি উপভোগ্য হবে।

গভীর নিঃশ্বাস নিন:-

প্রথমবারের মত কারো সাথে শাররীক মিলন করতে গেলে চিন্তিত এবং অস্বত্বিতে পড়তে পারেন। আপনার শরীর এবং মনকে প্রশান্ত করার জন্য বড় করে নিঃশ্বাস নিন এবং শ্বাস ছাড়ুন। ঠিকঠাক কাজ করার জন্য আপনার মস্তিস্কের প্রয়োজনীয় মাত্রায় অক্সিজেন দরকার। মানসিক চাপে ঠিকমত শ্বাস-প্রশ্বাস না নিলে অনেকগুলো সমস্যা যেমন মাথাধরা, মাথাব্যথা সহ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হতে পারেন। এটি খুবই লজ্জাজনক হবে যদি আপনি সামান্যতম যৌনমিলনও করতে না পারেন। স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিন – মনকে চিন্তামুক্ত রাখুন। প্রথম মিলেনে বিড়াল মারার আইডিয়া বাদ দিন। স্বাভাবিক আচরন করুন – আপনি আপনার জীবনসঙ্গীর সাথে আছেন – যার সাথে আপনার সারাজীবন সামনে পড়ে আছে। প্রথম রাতকে স্বরনীয় করে রাখতে বিড়াল না মারলেও সমস্যা নেই। তাকে ভরসা দিন আপনি তার জন্য কতটা।

কোনভাবেই পুর্ন-যৌন-তৃপ্তির মিথ্যে ভান করবেন না:-

পুর্ন-যৌন-তৃপ্তির মিথ্যে ভান করা আপনার নিজের সাথে এবং আপনার সঙ্গীর সাথে প্রতারণা করার শামিল। এটি হয়তো পরবর্তীতে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে, কারন বস্তুত আপনি ভুল তথ্য আদান-প্রদান করেছেন “আপনার শরীর কি চায় এবং কিসে আপনাকে যৌন ক্ষুধার্ত করে তোলে?”

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ