আমাদের স্রষ্টা মহান আল্লাহ তায়ালাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে অনেক বেশি মায়া করেন, ভালোবাসেন। তারপর যাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করতে হবে, ভালোবাসতে হবে, তিনি হলেন আমাদের প্রিয় নবী ও রাসূল হযরত মোহাম্মদ (সাঃ)। তিনি তাঁর উম্মতকে অনেক বেশি মায়া করেন, ভালোবাসেন। তাঁকে সম্মান করা ও ভালোবাসা ব্যতীত আল্লাহর ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব নয়। এরপর যাকে সবচেয়ে বেশি সম্মান করতে হবে, ভালোবাসতে হবে, তিনি হলেন আমার আপনার জনম দুঃখী মা। এই মা তার সন্তানকে নিজের জীবনের চাইতেও অনেক বেশি ভালোবাসেন। তারপর যাকে সম্মান করতে হবে, ভালোবাসতে হবে, তিনি হলেন আমার আপনার বাবা। এই বাবা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সন্তানের লালন-পালন করেন। তারপর স্ত্রী তার স্বামীকে সম্মান করবে, ভালোবাসবে। আবার স্বামী তার স্ত্রীকে সম্মান করবে, ভালোবাসবে। মহান আল্লাহ স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসার বরকতে তাদেরকে সন্তান দান করেন। তারপর আমাদের শিক্ষক, ওস্তাদ সবচেয়ে বেশি সম্মান, ভালোবাসা পাবে। এই শিক্ষক, ওস্তাদের কাছে আমরা জ্ঞানচর্চা করে সত্যিকার মানুষে পরিণত হই। তারপর আত্মীয়-স্বজন, পাড়া-প্রতিবেশী, বন্ধু-বান্ধব, দেশের মানুষকে সম্মান করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। পৃথিবীর সকল মুসলমানকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। মুসলিম অমুসলিম নির্বিশেষে সকল মানুষকে সম্মান করতে হবে, মায়া করতে হবে, ভালোবাসতে হবে। ধন্যবাদ।
অবশ্যই "মা" হাদিসে এসেছে,হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণনা করেন যে: ‘একদিন একজন লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দরবারে হাযির হয়ে আরয করল, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! আমার কাছে সবচেয়ে উত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিকারী কে? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি জিজ্ঞেস করল, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। সে লোকটি আবারও প্রশ্ন করলো, তারপর কে? তিনি বললেন, তোমার মা। লোকটি আবারও জিজ্ঞেস করল, তারপর কে? তিনি বললেন, তারপর তোমার পিতা’ [বুখারী হাদিস নং৫৯৭১] সুতরাং এ হাদিস থেকে এটাই বুঝা যায় যে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসূল (সাঃ) এর পর সব থেকে সম্মানিত, সবথেকে বেশি ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য,সর্বোত্তম ব্যবহার পাওয়ার অধিকারী হলেন "মা" এবং তার পরে বাবা।